1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গুটেনবের্গ আফগানিস্তানে যুদ্ধ এলাকায়

৩০ আগস্ট ২০১০

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী কার্ল-থিওডোর সু গুটেনবের্গ সপ্তাহান্তে আফগানিস্তানে জার্মান সৈন্যদের পরিদর্শন করেছেন, তবে খাস যুদ্ধের এলাকায়, বুলেট প্রুফ ভেস্ট পরে৷ বাস্তব পরিস্থিতি সচক্ষে দেখা দরকার, বলেছেন গুটেনবের্গ৷

https://p.dw.com/p/Oz60
হেলিকপ্টারে কুন্দুস যাওয়ার পথে গুটেনবের্গছবি: AP

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী যে এই প্রথম আফগানিস্তানে গেলেন, এমন নয়৷ তবে তিনি এই প্রথম যুদ্ধের এলাকায় পা দিলেন৷ কুন্দুসে জার্মান সেনাবাহিনীর মূল শিবির থেকে হেলিকপ্টার যোগে বাগলানে উড়ে গেলেন গুটেনবের্গ৷ দেখলেন দ্রুত প্রতিক্রিয়া গোষ্ঠীর দমকল বিভাগের একটি প্রত্যন্ত ঘাঁটি৷ তাঁর ভাষায়:

‘‘আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে, শুধু বাড়িতে বসে অথবা আফগানিস্তানের শিবিরগুলো থেকে সৈন্যদের বাস্তবকে চাক্ষুষ করা নয়, বরং যেখানে যুদ্ধ চলে, সেখানে একেবারে রণাঙ্গণে যাওয়া, এবং সৈন্যদের এই অনুভূতি দেওয়া যে, আমরা তাদের সমর্থন করি৷... আবার স্বদেশেও স্পষ্ট করে দেওয়া যে, এই সৈন্যরা এখানে ৮, ৯, ১০, ১১ সপ্তাহ ধরে কখনো-সখনো অত্যন্ত কষ্টকর অবস্থায় কি বিপজ্জনক কাজটা করছে৷''

গুটেনবের্গ এবার আফগানিস্তানে গেছেন জার্মান সংসদ সভাপতি নরবের্ট লামের্ট'এর সঙ্গে৷ উভয়েই ইতিপূর্বে কুন্দুসে নতুন ‘পার্টনারিং' নীতির কথা শোনেন, যা সেপ্টেম্বরেই শুরু হবে: আফগান সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের সঙ্গে জার্মান সৈন্যরা একযোগে কাজ করবে৷ গুটেনবের্গের বিবৃতিতে:

‘‘পার্টনারিং-এর নীতি ও পরিকল্পনা কার্যকরী হবে - আমার এই ধারণাই হয়েছে, এমনকি প্রত্যাশারও বেশী৷ অপরদিকে এখানে আমাদের কিছুটা ধৈর্য্য ধরতে হবে৷ এবং এখানে কি ঘটছে, স্বদেশে তা বোধগম্য করতেও আরো অনেক কিছু করতে হবে৷''

স্বদেশে গুটেনবের্গ ঝড় তুলেছেন তাঁর জার্মান সেনাবাহিনীর সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়ে৷ সৈন্যসংখ্যা কমানো, বাধ্যতামূলক সামরিক সেবা তুলে দেওয়া ইত্যাদি বিতর্কিত পদক্ষেপ৷ তিনি দেখেন, আফগানিস্তানেও জার্মান সৈন্যরা এ'সব বিষয়ে আগ্রহী৷ তাঁর অভিজ্ঞতা:

‘‘সৈন্যরা সংস্কারটা বোঝে, কেননা সেটা তাদেরই বাস্তবের প্রতিফলন৷ এবং তাদের বক্তব্য: আমাদের একটা ভবিষ্যৎ চাই৷ এবং এমন সব সিদ্ধান্ত চাই, যা শুধু এ্যাড হক নয়, অথবা রাজনীতির বাগাড়ম্বর নয়৷''

গুটেনবের্গ সৈন্যদের আশ্বস্ত করেছেন যে, তারা দেশে ফেরার পরও দেখবে, জার্মান সেনাবাহিনী তুলে দেওয়া হয়নি!

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম