1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গুপ্তচর বিনিময় করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া

৮ জুলাই ২০১০

যুক্তরাষ্ট্রে আটক সন্দেহভাজন রুশ গুপ্তচরদের মুক্তির জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া৷ এজন্য রুশ কারাগারে আটক বেশ কিছু গুপ্তচরকে তারা যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিতে রাজি হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/ODhh
ছবি: picture alliance/dpa

গত মাসের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি রাজ্য থেকে মোট ১০ জনকে রুশ গুপ্তচর হিসেবে গ্রেফতার করে মার্কিন পুলিশ৷ দুই দেশের মধ্যে যখন সম্পর্কটা বেশ উষ্ণ হয়ে উঠছিল, ঠিক তখন এই ধরণের ঘটনা বেশ অসুবিধায় ফেলে দিয়েছে রাশিয়াকে৷ বুধবার রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইতার তাস জানিয়েছে, আটক হওয়া ১০ সন্দেহভাজন গুপ্তচরকে ফেরত আনতে গুপ্তচর বিনিময়ের পরিকল্পনা করছে ক্রেমলিন৷ এজন্য তারা নিজ দেশে আটক বেশ কিছু গুপ্তচরকে মার্কিন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেবে৷

একাধিক বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, গুপ্তচর বিনিময়ের তালিকায় রয়েছেন অন্যতম পরমাণু বিশেষজ্ঞ ইতর সুতয়াগিন৷ ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়৷ তাকে এতদিন ধরে রাখা হয়েছিল রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলের খোলমোগোরি কারাগারে৷ তবে কয়েকদিন আগে তাকে মস্কোর লেফোরতোভো কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে৷ ইতিমধ্যে তাকে তার পরিবারের সঙ্গেও দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ ইগর সুতয়াগিনের ভাই দিমিত্রি জানিয়েছেন যে, ইতিমধ্যে গুপ্তচর বিনিময়ের বিষয়টি ইগর তাদের জানিয়েছেন৷ এবং তাকে বলা হয়েছে ভিয়েনা কিংবা লন্ডনে এই বিনিময় কার্যক্রম সম্পন্ন হতে পারে৷ ইগর সুতয়াগিনের আইনজীবী আনা স্তাভিতস্কায়া জানিয়েছেন, সুতয়াগিন এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন কারণ এছাড়া তার আর কোন উপায় ছিল না৷ তিনি জানতেন যে নইলে তাকে সারাজীবন নষ্ট হয়ে যাবে৷ আইনজীবী স্তাভিতস্কায়া আরও বলেন, এটি হচ্ছে একজনের বদলে একজন বিনিময়৷ তাই যুক্তরাষ্ট্রে আটক প্রত্যেকের জন্য রাশিয়াকে একজন করে মুক্তি দিতে হবে৷ রুশ কর্তৃপক্ষের হাতে বন্দী গুপ্তচরের আরেকজন সার্গেই স্কিরপালকেও যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে একাধিক বার্তা সংস্থা৷ উল্লেখ্য, সার্গেই স্কিরপালকে ২০০৬ সালে ব্রিটেনের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয় রুশ আদালত৷

Manhattan Court
অভিযুক্তদের শুনানি চলাকালে ম্যানহাটানের আদালতের বাইরে সংবাদকর্মিদের ভিড়ছবি: AP

এদিকে বুধবার ওয়াশিংটনে রুশ দূতাবাসে বৈঠক করেন দুই দেশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা৷ মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মার্কি টোনারকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কেবল জানান, যে অন্যান্য বিষয়ের মত গুপ্তচর আটকের ঘটনাটাও বৈঠকে জায়গা পেয়েছে৷ তবে এর বেশি কিছু তিনি বলতে চাননি৷ তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন যে এটি দুই দেশের মধ্যে একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া৷ এর আগেও অনেকবার এই ধরণের গুপ্তচর বিনিময় হয়েছে৷

এদিকে আটক হওয়া সন্দেহভাজন ১০ রুশ গুপ্তচরের বিরুদ্ধে বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ এনেছেন মার্কিন আইনজীবীরা৷ আটক সবার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি এবং নয়জনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে৷ ইতিমধ্যে দুজন স্বীকার করেছেন যে তারা ভুয়া নাম ব্যবহার করেছেন৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন