1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গোয়েটে ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে ঢাকা সেইফ এন্ড সাউন্ড

২২ অক্টোবর ২০১০

ঢাকায় জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গোয়েটে ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে ‘ঢাকা সেইফ এন্ড সাউন্ড’ অনুষ্ঠান প্রশংসা কুড়াচ্ছে রাজধানীবাসীদের৷ ঢাকার পরিবেশ আর সংস্কৃতি নিয়ে এ আয়োজনে ভীড় করছেন বিশিষ্টজন থেকে সাধারণ মানুষ৷

https://p.dw.com/p/Pkus
Bangladesch Dhaka Logo Projekt Safe and Sound
অনুষ্ঠানের লোগো

১৮ই অক্টোবর সন্ধ্যায় ঢাকায় জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গোয়েটে ইন্সটিউট ভরে ওঠে বিশিষ্টজনের সমাবেশে৷ ব্যান্ডের তালে মোহনীয় সুরে উদ্বোধন করা হয় ‘ঢাকা সেইফ এন্ড সাউন্ড' শিরোনামে ১৪দিনের এক অনুষ্ঠানমালার৷ চিত্র প্রদর্শনী, আলোকচিত্র, থিয়েটার, নাটক, শর্টফিল্ম, সিনেমা, সংগীত, সেমিনার, শিশুদের চিত্রাংকন সবই আছে এই আয়োজনে৷

'Dhaka Safe and Sound'
অনুষ্ঠানে চলছে ছবি আঁকাছবি: DW

শুধু ধানমন্ডির গোয়েটে ইন্সটিউটে জায়গা না হওয়ায় আয়োজন বিস্তৃত করা হয়েছে শিল্পাঙ্গন গ্যালারি এবং ঢাকা আর্ট সেন্টারে৷ গোয়েটে ইন্সটিউটের পরিচালক আঙ্গেলা গ্রুনার্ড জানান, বছরব্যাপী তারা ঢাকার পরিবেশ এবং সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করেছেন৷ তারই সম্মিলিত উপন্থাপনা করা হয়েছে এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে৷ তিনি বলেন, পরিবেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বদলে দিচ্ছে বিশ্ব পরিস্থিতি৷ জার্মানরা এ নিয়ে উদ্বিগ্ন৷

Goethe Institute, Dhaka
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানছবি: DW

খ্যাতিমান কার্টুনিষ্ট রফিক উন নবী যাকে সবাই র'নবী বলে জানেন তিনিও সামিল হন এই আয়োজনে৷ ধানমন্ডির গোয়েটে ইন্সটিউটের সামনের সড়কে বড় ক্যানভাসে তাঁর কার্টুন টোকাই এঁকে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন তিনি৷ তাঁর সঙ্গে ছবি আঁকেন আরো অনেকে৷ শিল্পী রফিক উন নবী বলেন, পরিবেশ রক্ষায় শিল্পীদের এক মঞ্চে আনার এটি একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ৷

দ্য ডেইলি ষ্টার পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ আনাম এই আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকার বাসিন্দাদের পরিবেশ রক্ষায় দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান৷

আর চিত্রশিল্পী গুলশান হোসেন তাঁর তুলির আঁচড়ে পরিবেশ রক্ষার কথাই বলেছেন৷ তিনি বলেন, শিল্পীদের বেশি করে পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে৷

আলোকচিত্র আর চিত্র প্রদর্শনী দেখতে আসা জার্মান তরুণী আস্ট্রিড অবশ্য ঢাকা শহর দেখে মুগ্ধ ৷ তার মতে এখানে অনেক ট্রাফিক জ্যাম, তবুও এখানে সবাই কাজ করছেন, বসে নেই৷ প্রদর্শনীর নানা দিক তাকে আনন্দ দেয়৷ তিনিও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে উদ্বিগ্ন৷

অনুষ্ঠানে আসা দর্শনার্থী শরীফ আলমগীর হোসেন ঢাকায় অনেকদিন ধরে বসবাস করছেন৷এধরনের আয়োজনের প্রশংসা করলেও সরকার উদ্যোগী না হলে আদৌ ঢাকার পরিবেশের কোন উন্নতি হবে কিনা তা নিয়ে তার সংশয় রয়েছে৷ তিনি মনে করেন, ঢাকা অনেকটাই বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে৷ বিশেষ করে নগরীর স্বাস্থ্য সমস্যা এখন প্রকট৷

গোয়েটে ইন্সটিউটের এই আয়োজন চলবে মাসের শেষদিন পর্যন্ত৷ প্রদর্শনী খোলা থাকছে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত৷ একই সঙ্গে থাকছে নানা অনুষ্ঠান৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক