1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘গ্যাস চেম্বার’ দিল্লিতে জরুরি অবস্থা

৪ নভেম্বর ২০১৯

বিশ্বের সর্বোচ্চ দূষিত ১৫টি শহরের অন্যতম ভারতের রাজধানী দিল্লি৷ দীপাবলীর পর থেকে অবস্থার অবনতির ফলে বর্তমানে জারি হয়েছে জরুরি পরিস্থিতি৷

https://p.dw.com/p/3SQqA
দিল্লির রবিবারের ছবি এটিছবি: picture-alliance/Photoshot/P. Sarkar

প্রতি শীতেই ভারতের রাজধানীর চিত্র থাকে একই রকম৷ ঘন ‘স্মগ’ বা ধোঁয়াটে মেঘ বুঝিয়ে দেয় আসলেই কতটা দূষিত দিল্লীর আবহাওয়া৷ পাশাপাশি, দীপাবলিরপর বেড়েছে বাতাসে বিষাক্ত গ্যাস ও পার্টিকুলেট ম্যাটার, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) নির্ধারিত বিপজ্জনক মাপের ২৫ গুণ বেশি৷

পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্য সরকারের তরফে জারি করা হয়েছে ‘পাবলিক হেলথ ইমারজেন্সি’ বা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অবস্থা৷

কিন্তু কেন প্রতি বছরই একই চিত্র

বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় পার্টিকুলেট ম্যাটার হচ্ছে বাতাসে ভাসমান এমন কোনো বস্তু যার আয়তন আড়াই মাইক্রনের কম৷ এই বস্তু সহজেই বাতাসে মিশে রক্তপ্রবাহে ঢুকে শরীরে বিষ ছড়ায়৷ কতখানি পার্টিকুলেট ম্যাটার শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর নয়, তার মান নির্ধারণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)৷ সোমবার দিল্লিতে এই মাত্রা ছিল ৬১৩, যা স্বাভাবিকের প্রায় ২৫ গুণ৷ এই মাত্রাই রবিবারে বেড়ে হয় এক হাজার৷

পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিস জানাচ্ছে, ২০১৭ সালে বাতাসে অস্বাভাবিক পরিমাণে পার্টিকুলেট ম্যাটার বাড়ায় মৃত্যু হয়েছে ১২ লাখ ভারতীয়ের৷ হু জানাচ্ছে, এই সমস্যার ফলে বাড়তে পারে ব্রঙ্কাইটিস, ফুসফুসের ক্যান্সারসহ অন্যান্য হৃদরোগও৷

প্রতি বছর অক্টোবর মাস নাগাদ উত্তর ভারতে পালিত হয় হিন্দু ধর্মীয় উৎসব দীপাবলি, যার উদযাপনে লাখ লাখ মানুষ মাতেন নানা ধরনের বাজি পোড়ানোয়৷ এই একই সময়ে, দিল্লি ও উত্তর ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে লাগে গম ও ধানচাষের বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ পোড়ানোর ধুম৷ হেমন্তকালীন আর্দ্রতার কারণে আগুন ও দীপাবলির বাজির গ্যাস মেঘের মধ্যে আটকে থাকে৷ সৃষ্টি হয় বিষাক্ত মেঘের পুরু আস্তরণ বা ‘স্মগ’৷

সরকার কী করছে?

ফি বছর ভোটের আগে এই সমস্যার কথা উঠলেও রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকার কেউই দীর্ঘমেয়াদী সমাধান দিতে পারেননি৷ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির বর্তমান অবস্থাকে ‘গ্যাস চেম্বার’ নাম দিয়েছেন৷ সাথে, বিষাক্ত বাতাস থেকে বাঁচতে মুখোশ বিতরণও করেছেন তিনি৷ এর আগে, দিল্লি শহরে যানবাহনঘটিত দূষণরোধে ‘ইভেন অড' পদ্ধতি চালু করেন তিনি, যার ফলে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে রাস্তায় অতিরিক্ত গাড়ি চলাচল৷

কিন্তু সমস্যা না মেটায় সোমবার থেকে রাজধানীর সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে৷ বিঘ্নিত রেল ও বিমান চলাচলও৷

স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, প্রতি শীতেই আগেরবারের চেয়ে খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি৷ রাজনৈতিক দলগুলি ব্যস্ত শুধু দায় এড়ানোয়৷ ফলে, প্রাণ বাঁচাতে ভরসা ঘরের ভেতরের ‘এয়ার পিউরিফায়ার’ ও মুখোশটুকুই৷

এসএস/কেএম (এএফপি, এপি, ডিপিএ)