1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রিসকে বাঁচাতে এবার তত্পর ইইউ

২০ মার্চ ২০১০

ঋণের জাল থেকে মুক্তি পেতে গ্রিস যাতে আইএমএফ-এর দ্বারস্থ না হয়, সেদিকে তাকিয়েই এবার উঠেপড়ে লেগেছে ইউরোপীয় কমিশন৷ ইইউ-র সদস্য দেশগুলির কাছে অবিলম্বে বেইল আউটের আর্জি জানিয়েছেন বারোসো৷

https://p.dw.com/p/MYDz
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান বারোসোছবি: AP

জাতীয় ঋণের পরিমাণ ক্রমশই বেড়ে গেছে গ্রিসের৷ চরম আর্থিক সংকোচন নীতিও তাদের রক্ষা করতে ব্যর্থ৷ এই অবস্থায় সেদেশের সরকার সাফ বলে দিয়েছে, আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল বা আইএমএফের দ্বারস্থ হবে তারা৷ কারণ যে পরিস্থিতিতে অ্যাথেন্স এখন পড়েছে, তার থেকে বাঁচতে গেলে বিপুল বেইল আউট দরকার তাদের৷

কিন্তু গ্রিস যদি আইএমএফ-এর দ্বারস্থ হয় অর্থের জন্য, তাহলে ইউরোপের জন্য, বিশেষ করে ইউরোজোন-এর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির জন্য তা হয়ে উঠবে যথেষ্ট লজ্জার বিষয়৷ দক্ষিণ ইউরোপের এই দেশটি ইউরোজোনের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত৷ অভিন্ন ইউরো মুদ্রা ব্যবহারকারী কোন দেশ ইতিপূর্বে নিজেদের দারিদ্র মোচন করতে আইএমএফ-এর কাছে হাত পাতে নি৷ তাই অ্যাথেন্স যাতে এই শেষ পথ বেছে না নেয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে এখন আসরে নেমেছে ইউরোপীয় কমিশন৷ শুক্রবার ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট খোসে মানুয়েল বারোসো অতএব ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশগুলির কাছে আর্জি জানিয়েছেন, গ্রিসকে এই চরম বিপর্যয় থেকে টেনে তুলতে এগিয়ে আসুক সকলে৷ সকলে মিলে একসঙ্গে অর্থসাহায্যের মাধ্যমে একটি বেইল আউট করে বাঁচিয়ে তোলা হোক গ্রিসকে৷ এবং এর জন্য বেশি সময় হাতে নেই, একথাও বলেছেন বারোসো৷

Griechenland Finanzkrise Steiks und Demonstrationen in Athen Flash-Galerie
বেকায়দায় পড়া অর্থনীতির দেশ গ্রিসে সরকারি আর্থিক সংকোচ নীতির প্রতিবাদে লেগেই রয়েছে বিক্ষোভ আন্দোলন৷ অ্যাথেন্সের রাজপথে ছাত্র পুলিশ সংঘর্ষের ছবি৷ছবি: AP

জরুরি ভিত্তিতে গ্রিসের জন্য এই সাহায্য পরিকল্পনার বিষয়টি আগামী ২৫ আর ২৬ মার্চের আসন্ন সম্মেলনে আলোচিত হবে বলে জানিয়েছেন বারোসো৷ তিনি জানান, গ্রিসের ঠিক কী পরিমাণ অর্থ এই মুহূর্তে প্রয়োজন তা জানা না থাকলেও, ধারণা করা হচ্ছে আশু সংকট মোচনের জন্য নিদেনপক্ষে বাইশ মিলিয়ন ইউরো প্রয়োজন পড়বে গ্রিসের৷ ইইউ এই অর্থ দিতে পারে বটে, তবে সেক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত আরোপের প্রশ্নও থেকে যাবে গ্রিসের জন্য, বলেছেন বারোসো৷

কিন্তু, গ্রিসের জন্য এই বেইল আউটের প্রস্তাবে প্রথম থেকেই গররাজি ইইউ-র সবচেয়ে ধনী দেশ বলে বিবেচিত জার্মানি৷ যদিও গ্রিস যখন ইউরোপের সীমানা ছাড়িয়ে আইএমএফ-এর কাছে অর্থ সাহায্যের জন্য দরবার করতে যাবে বলে জানিয়েছে, জার্মানি কিন্তু তাতেও আপত্তি জানিয়েছে৷ কারণটা খুবই স্পষ্ট, ইউরোপ এবং ইউরোর সম্মান রক্ষার্থেই জার্মানির এই আপত্তি৷ সুতরাং, ব্রাসেলসে আগামী সপ্তাহের বৈঠকে গ্রিসের জন্য যে তহবিলের প্রসঙ্গ উঠতে চলেছে, জার্মানি তাতে কীভাবে সংযুক্ত হয় সেটাও দেখার বিষয় হবে অবশ্যই৷

প্রতিবেদন- সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা- জাহিদুল হক