1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রিসে জনমোহিনী ‘পপুলিজম'-এর সমাপ্তি

স্পিরোস মস্কোভু/এসবি১৫ জুলাই ২০১৫

ইউরো এলাকার শীর্ষ সম্মেলনে গ্রিসের জন্য নতুন সহায়তার সিদ্ধান্তের পর আলেক্সিস সিপ্রাসকে এবার কাজ করে দেখাতে হবে৷ এবার সংস্কারের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করার পালা৷ স্পিরোস মস্কোভু মনে করেন, সেটা মোটেই সহজ হবে না৷

https://p.dw.com/p/1FyyI
Alexis Tsipras im Parlament / Griechenland
ছবি: Reuters

সংকটে জর্জরিত গ্রিসের মানুষকে আত্মসম্মান ও গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে নিয়ে যাবার জনমোহিনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বামপন্থি পপুলিস্ট নেতা আলেক্সিস সিপ্রাস৷ এভাবে তিনি জানুয়ারির শেষে আয়োজিত আগাম নির্বাচনে নিজের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে পেরেছিলেন৷ তারপর চটজলদি গণভোটের আয়োজন করে বিপুল সমর্থন পেয়ে তিনি আন্তর্জাতিক দাতাদের ‘ইমপ্রেস' করতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু তাতে কোনো ফল হলো না৷ শেষে গ্রিসের বিরুদ্ধে প্রায় সবাই যেভাবে একজোট হয়ে পড়লো যে, আলেক্সিস সিপ্রাস-এর স্বপ্ন এক জাতীয় বিপর্যয়ে পরিণত হলো৷ গ্রিস সংক্রান্ত ইউরোজোনের সর্বশেষ শীর্ষ সম্মেলন নাটকীয় মাত্রা অর্জন করেছিলো৷ দীর্ঘ ১৭ ঘণ্টার এই সম্মেলনে সিপ্রাস শেষরক্ষার জন্য অনেকটা পিছিয়ে আসতে বাধ্য হন৷ গ্রিস ইউরো এলাকায় টিকে গেলো বটে, কিন্তু কড়া শর্তের বেড়াজাল সে দেশকে ঘিরে রইলো৷

Moskovou Spiros Kommentarbild App
স্পিরোস মস্কোভু, ডয়চে ভেলে

দেশ শাসন করা অত সহজ নয়

গত সোমবার থেকে গ্রিক প্রধানমন্ত্রী সেই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন, যার জন্য রাজনীতিকদের আদৌ নির্বাচিত করা হয় – অর্থাৎ দেশ শাসন করার জন্য৷ দেশে ব্যাংকগুলি বন্ধ রয়েছে – এই অবস্থায় শুধু মানুষের সম্মান নিয়ে বুলি আওড়ানো আর যথেষ্ট নয়৷ বিধ্বস্ত অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে শুধু বিদেশকে গালি দিলেও চলে না৷

এখন দেখা যাচ্ছে, দেশ চালানো মোটেই সহজ কাজ নয়৷ সিপ্রাস-এর মন্ত্রিসভার কমপক্ষে দু'জন সদস্য ইইউ-সহযোগীদের সঙ্গে বোঝাপড়ার চরম বিরোধী৷ সিরিসা পার্টির প্রায় ৪০ জন সংসদ সদস্য বুধবার চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দেবেন বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন৷ চরম দক্ষিণপন্থি জোটসঙ্গি দলের নেতা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী কামেনস অবশ্য সংসদে সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন৷ তবে ভবিষ্যতে সংস্কারের অন্য কোনো পদক্ষেপের বিরোধিতা করতে পারেন বলে হুমকিও দিয়ে রেখেছেন তিনি৷

গ্রিসের কাছে অস্তিত্বের প্রশ্ন

কমপক্ষে গত সপ্তাহান্তেই সিপ্রাস পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন, এটা ধরে নেওয়া যায়৷ গ্রিসের অবক্ষয় রুখতে তিনি নিজস্ব শিবিরে বিদ্রোহ দমিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন৷ ব়্যাডিকাল মন্ত্রীদের বিদায় করতে হবে৷ অর্থাৎ তাঁকে মন্ত্রিসভা আরও ছোট করে সাজাতে হবে৷

তবে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী যেটা সম্ভবত এখনো বুঝতে পারছেন না, সেটা হলো সংস্কারের পদক্ষেপগুলি অনুমোদিত হলে কিছুই হবে না৷ সেগুলির বাস্তবায়ন করার সময়েই তাঁর আসল কাজ শুরু হবে৷ তখন তাঁর পার্টি বাস্তববাদী ও আদর্শবাদী শিবিরে ভাগ হয়ে গেলে তাঁর কোনো লাভ হবে না৷ সামাজিক ভাতার অভাব মেটাতে রাষ্ট্রের সক্রিয় ভূমিকা, একদিকে ধনীদের শয়তান হিসেবে তুলে ধরা ও একই সঙ্গে তাদের আড়াল করা এবং বিশাল অকেজো আমলাতন্ত্রকে উজ্জ্বল ঐতিহ্য হিসেবে গণ্য করা – সিরিসা দলের এমন পশ্চাদবর্তী রাজনৈতিক আদর্শেরও কোনো মূল্য থাকবে না৷ ইউরো এলাকার সদস্য হিসেবে আধুনিক ও প্রতিযোগিতার বাজারে দক্ষ এক গ্রিক রাষ্ট্রের সঙ্গে এমন ভাবাদর্শের কোনো সম্পর্ক নেই৷ মোটকথা বুধবার সংসদে ভোটাভুটির পরেও দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে না৷ নতুন সূচনার জন্য এটা একেবারেই সুখবর নয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য