1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রেপ্তার সম্রাট, বহিস্কার দল থেকে

৬ অক্টোবর ২০১৯

অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের আলোচিত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট৷ তার সাথে গ্রেপ্তার হয়েছেন সহ সভাপতি এনামুল হক আরমানও৷ দুইজনকেই দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3Qn1r
Bangladesch Ismail Hossain Samrat, Jubo League
ছবি: bdnews24.com

ক্যাসিনো অভিযান শুরুর পর আলোচনায় আসে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি  ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের নাম৷ মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্রের ভেতরে মেলে তার বিশাল ছবি৷ এই ক্লাবটির ক্যাসিনো তিনি চালাতেন বলে খবর বের হয়৷ মতিঝিলের ক্লাবপাড়ার ক্যাসিনোগুলো থেকে তিনি চাঁদা আদায় করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে ৷

গত ১৮ সেপ্টেম্বরের র‌্যাবের ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরুর পরই আত্মগোপনে যান সম্রাট৷ যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূইয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর রাতভর সদলবলে কাকরাইলে সংগঠনের কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছেন বলেও খবর বের হয়৷ সে সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করেনি৷ পরবর্তীতে আত্মগোপনে যান তিনি৷ অবশেষে আরেক যুবলীগ নেতা আরমানসহ তাকে কুমিলার চৌদ্দগ্রাম থানা থেকে গ্রেপ্তার করল র‌্যাব৷ আরমানও দীর্ঘদিন ধরে ক্যাসিনো ব্যবসার সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে৷

ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, শনিবার গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাট ও আরমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

আলকরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক হেলাল বিডিনিউজ টোয়েন্টফোরের কুমিল্লা প্রতিনিধিকে জানান, ‘‘কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামের যে বাড়ি থেকে সম্রাট ও আরমানকে ধরা হয়েছে, সেটি স্টার লাইন পরিবহনের মালিক আলাউদ্দীনের ভগ্নিপতি মনিরের বাড়ি৷ শনিবার সন্ধ্যা থেকেই বাড়িটি ঘিরে রেখেছিল র‌্যাব৷'' মনির কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত কীনা সে বিষয়ে অবশ্য কিছু জানা যায়নি৷

এদিকে গ্রেপ্তারের পর সম্রাট ও আরমান দুইজনকেই দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু৷   

উল্লেখ্য চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শোভন ও সাধারণ সম্পাদক রাব্বানীর পদত্যাগের পরপরই প্রধানমন্ত্রী এক বৈঠকে যুবলীগ নেতাদের চাঁদাবাজি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷ আওয়ামী লীগ নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবলীগের ঢাকা মহানগরের একজন নেতা যা ইচ্ছে করে বেড়াচ্ছে, চাঁদাবাজি করছে৷ আরেকজন এখন দিনের বেলায় প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে চলেন৷ এসব বন্ধ না করলে যেভাবে জঙ্গি দমন করা হয়েছে, একইভাবে তাদেরকেও দমন করা হবে৷ এরপরই শুরু হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান৷

১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব৷ পরদিন কলাবাগান ক্লাব থেকে গ্রেপ্তার হন কৃষক লীগের নেতা শফিকুল আলম ফিরোজ৷ পাশাপাশি ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, বঙ্গবন্ধু এভিনিউর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র এবং বনানীর আহমেদ টাওয়ারের একটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র‌্যাব৷ পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনোর বিভিন্ন সরঞ্জাম আটক করা হয় মতিঝিলের আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব থেকেও

র‌্যাবের এসব অভিযানের ক্যাসিনো কারবারির মূল হোতা হিসেবে বারবারই সম্রাটের নাম উঠে এসেছিল৷

এদিকে গ্রেপ্তারের পর সম্রাট ও আরমানকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় যুবলীগ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে৷ যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু বিষয়টি ডয়চে ভেলেকে নিশ্চিত করেন৷ তিনি বলেন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই ধরনের অভিযোগে যেই গ্রেপ্তার হবেন তাকেই দল থেকে বহিস্কার করা হবে৷ 

এফএস/এআই 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান