1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঘন ছাই মেঘে ঢাকা ইউরোপ, বাতিল একের পর এক ফ্লাইট

১৬ এপ্রিল ২০১০

ইউরোপের যেসব দেশে এই পর্যন্ত ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে,জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন, পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড সহ ইউরোপের অনেকগুলো দেশ৷

https://p.dw.com/p/MxxF
আকাশে ঘন ছাই মেঘছবি: AP

আইসল্যান্ডের একটি আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত ঘন ছাই মেঘে ঢেকে যাচ্ছে ইউরোপের আকাশ৷ বুধবার মধ্যরাত থেকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে এই ছাই মেঘ৷ এরপর থেকেই ইউরোপের দেশগুলো একে একে ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা শুরু করে৷ কেননা জেট বিমানগুলোর জন্যে এটা খুবই বিপদজনক৷

পরিস্থতি বিশ্লেষণ করে ধারণা করা হচ্ছে, ইউরোপের আকাশে ঘন ছাই মেঘের স্থায়িত্ব দীর্ঘায়িত হতে যাচ্ছে৷ ইউরোপের আকাশ যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বলছে, আইসল্যান্ডের এইজাফজালাজোকুল নামের আগ্নেয়গিরিটি থেকে ছাই নির্গত হবার কারণে আরো ৪৮ ঘন্টা বিমান চলাচল ব্যহত হতে পারে৷ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজারেরও বেশী ফ্লাইট ব্যহত হয়েছে ঘন ছাই মেঘের কারণে৷

ইউরোপের যেসব দেশে এই পর্যন্ত ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে,জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন, পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড সহ ইউরোপের অনেকগুলো দেশ৷ জার্মানির বার্লিন, ব্রেমেন, হামবুর্গ এবং হানোফার শহর থেকে সব ধরনের ফ্লাইটের ওঠা-নামা বাতিল করা হয় বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকেই৷ এখন পর্যন্ত বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ফ্লাইট বাতিলের এই নির্দেশ বহাল থাকবে৷ পরবর্তী নির্দেশ দেয়া হবে পরিস্থিতি দেখে৷ এছাড়া প্যারিসের সবগুলো বিমানবন্দর থেকেই ফ্লাইট উড্ডয়ন এবং অবতরণ বাতিল করা হয়েছে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত৷ এরআগে ঘন ছাই মেঘের কারণে লন্ডনের হিথ্রো, গ্যাটউইক এবং স্কটল্যান্ডের সব প্রধান বিমানবন্দর পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়৷ এদিকে, এইসব ফ্লাইট বাতিল হওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছেন বিমান যাত্রীরা৷ ইউরোপের বিমান বন্দরগুলোতে হাজার হাজার বিমান যাত্রী আটকা পড়ে আছেন৷

Vulkanausbruch auf Island Flash-Galerie
আইসল্যান্ডে হিমবাহ গলে বন্যাছবি: AP

আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত ঘন ছাই মেঘের কারণে পরিবেশের ওপরও প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ বিভিন্ন খবর বিশ্লেষণ করে এখন পর্যন্ত দেখা গেছে, নরওয়ের রাজধানী অসলোতে ছাই মেঘের কারণে বাতাসে ছড়িয়ে পরেছে সালফারের গন্ধ৷ পরিবেশের ওপর আর কি ধরনের প্রভাব পড়তে যাচ্ছে তা ঠিক এই মুহুর্তে বোঝা যাচ্ছে না৷ তবে এইজাফজালাজোকুল আগ্নেয়গিরির উত্তাপে ইতোমধ্যেই হিমবাহ গলে বন্যা শুরু হয়েছে৷ আশেপাশের প্রায় ৮শ মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে নিরাপদ দুরত্বে৷ একমাসের মধ্যে আইসল্যান্ডের আগ্নেয়গিরি থেকে ছাই নির্গত হবার এটি দ্বিতীয় ঘটনা৷ তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, আইসল্যান্ডের বিমান বন্দরগুলোতে বিমান উড্ডয়ন এবং অবতরণ স্বাভাবিক রয়েছে৷

প্রতিবেদক: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম