1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঘামের রহস্য

১৯ জুলাই ২০১৩

গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে ঘাম৷ তবে ঘামের কোনো নিজস্ব গন্ধ নেই৷ আবার কোল্ড ড্রিংকস জাতীয় পানীয় থেকে ঘাম হওয়া কমে না, বরং বেড়ে যায়৷

https://p.dw.com/p/19815
ছবি: Reuters

গরম লাগলে ঘাম হবে, সেটাই স্বাভাবিক৷ তবে ঘাম হওয়াটা খুব স্বস্তিকর নয়৷ বিশেষ করে ঘামের গন্ধ! অথচ ঘাম হওয়াটা কিন্তু শরীরের পক্ষে ভালো, বলেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ স্টেফান রাপ্রিশ৷ তিনি বললেন, ‘‘ঘাম হওয়াটা শরীরের জন্য স্বাভাবিক৷ এ ভাবে শরীর তার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে৷ ত্বকের উপর ঘাম প্রথমে আলাদা হয়, তারপর উবে যায়৷ ফলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে৷ শরীরের উত্তাপ একটা নির্দিষ্ট মাত্রার উপরে গেলে ঘাম হয়৷'' 

ঘাম হওয়াটা আসলে শরীরের এয়ার কন্ডিশনিং-এর মতো৷ শরীর সারাক্ষণ উত্তাপ সৃষ্টি করে বলেই সেটা গুরুত্বপূর্ণ৷ প্রতিটি কাজের জন্যই শরীর শক্তি ব্যয় করে, কিন্তু তার চারভাগের তিনভাগই অপচয় হয় উত্তাপ হিসেবে৷ শরীরকে সেই উত্তাপ বের করে দিতে হবে, নয়তো আমরা ভিতর থেকে জ্বলেপুড়ে যাব! তখন ‘পার্সপিরেটরি গ্ল্যান্ড' বা ঘাম তৈরির গ্রন্থি সক্রিয় হয়৷ শিরা-উপশিরা থেকে আর্দ্রতা বার করে নিয়ে তাকে ত্বকের উপর ভাগে পাঠায়৷

Schwitzende Frau mit Thermometer
ঘাম যে উপকারী, তা কি জানতেন?ছবি: picture-alliance/dpa

আমরা ঘুমের মধ্যেও ঘামি৷ এক রাত্রে শরীর থেকে আধ লিটার তরল নির্গত হতে পারে৷ খেলাধুলা বা কায়িক পরিশ্রম করলে আরো বেশি৷ দিনে দশ লিটার ঘাম ছোটাও আশ্চর্যের কিছু নয়৷ ঘাম বলতে ৯৯ ভাগ পানি৷ বাকিটা লবণ আর ফ্যাট বা স্নেহজাতীয় পদার্থ৷ স্টেফান রাপ্রিশ বলেন, ‘‘ঘামের আসলে কোনো নিজস্ব গন্ধ নেই৷ কিছু সময় ধরে ত্বকের উপর জীবাণুর প্রভাবে ঐ দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়, বিশেষ করে ঘামের সঙ্গে যে ফ্যাট বা স্নেহজাতীয় পদার্থ বেরোয়, তা থেকে৷ গোসল না করলে কিংবা জামাকাপড় না বদলালে তা আরো বাড়ে৷''

ঘামের গন্ধ রোখার জন্য ডিওডোরেন্ট জাতীয় নানা প্রসাধনদ্রব্য পাওয়া যায়৷ কিন্তু তা গোসল করার পরেই কিন্তু ব্যবহার করা চাই৷ তবে গরমে যাতে আরাম পাওয়া যায়, তাতে কিন্তু সবসময় ঘাম কমে না৷ অপরদিকে কোল্ড ড্রিংকস জাতীয় পানীয় থেকে ঘাম হওয়া কমে না, বরং বেড়ে যায়৷ চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ স্টেফান রাপ্রিশ বলেন, ‘‘কোল্ড ড্রিংকস প্রথমে ঠাণ্ডা হলেও, তরতাজা লাগলেও, তা আমাদের মস্তিষ্কের তাপ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে একটা ভুল ধারণার সৃষ্টি করে৷ মনে হয়, এবার ঠাণ্ডা হতে চলেছে; কাজেই শরীরকে এবার তার উত্তাপ বাড়াতে হবে৷ ফলে পরে আরো বেশি ঘামতে হয়৷''

হাতিদের ঘামের জন্য কোনো গ্রন্থি নেই৷ তা সত্ত্বেও তাদের কোনো অসুবিধে হয় না, কেননা তারা তাদের বিশাল বিশাল কান দিয়েই শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে৷

এসি / এসবি