1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঘূর্নিঝড়ের ভয়াবহতা জানাবে চালকবিহীন বিমান

২ সেপ্টেম্বর ২০১০

এই প্রথমবারের মতো নাসা’র চালকবিহীন একটি উড়োজাহাজ ঘূর্নিঝড়ের ওপর দিয়ে উড়তে যাচ্ছে৷ ফলে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে আঘাত হানার আগেই ঘূর্নিঝড় আর্লের ভয়াবহতা সম্পর্কে আগাম তথ্য পাবেন বিজ্ঞানীরা৷

https://p.dw.com/p/P2j2
সমুদ্রের উত্তাল জলরাশি ঘূর্নিঝড় আর্লের আভাস দিচ্ছেছবি: AP

ক্যালিফোর্নিয়ার এডওয়ার্ড এয়ারফোর্স বেস থেকে এই উড়োজাহাজটি আজই আকাশে উড়ছে৷ মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ‘গ্লোবাল হক' নামের এই উড়োজাহাজটিতে একটি বিশেষ ব্যাটারি ব্যবহার করে বিমানটিকে অতিরিক্ত ক্ষমতাসম্পন্ন করা হয়েছে৷ যাতে করে বিমানটি ঘূর্ণিঝড়ের গতি প্রকৃতি এবং তার ভয়াবহতা সম্পর্কে আগেই ধারণা দিতে পারে৷

Hurrikan Earl
একটি মোটেলের জানালায় এভাবেই লেখা হয়েছে আর্লের কথাছবি: AP

উড়োজাহাজটি চালকবিহীন হলেও পেছন থেকে এর কল-কাঠি নাড়ছেন কমান্ডার ফিল হল৷ বলছেন, এই বিমানটির জন্য এটি একটি দু:সাহসিক অভিযান৷ যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে লস অ্যান্জেলেস-এর কাছের মিলিটারি বেস থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে তিনি এই অভিযানটি পরিচালনা করছেন৷ বার্তাসংস্থা এএফপি'কে হল জানিয়েছেন, ঝড়ের মধ্য দিয়ে উড়ে যাওয়া যেকোনো উড়োজাহাজের জন্যই ভীষণ ঝুঁকির বিষয়৷ কিন্তু এই উড়ালের মাধ্যমে আমরা সেই ধারণাটাকেই ভাঙতে চলেছি৷

যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের একটা বিশাল এলাকা জুড়ে প্রচন্ড বাতাস ও সমুদ্রের উত্তাল জলরাশি ঘূর্নিঝড় আর্লের আভাস দিচ্ছে৷ এরইমধ্যে উত্তর ক্যারোলাইনার আশেপাশের দ্বীপগুলো থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে৷

২০১০ সালে আটলান্টিকে সবচেয়ে বড় ঝড়টি এই পথ দিয়েই উত্তর ক্যারোলাইনা উপকূলের দিকে বয়ে গিয়ে পরে উত্তরে দিক পরিবর্তন করেছিলো৷ গ্রীষ্মের শেষে সপ্তাহান্তে সেটি প্রচন্ড বেগে আঘাত হেনেছিলো সমুদ্র সৈকতে৷

গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় ফ্রান্ক গত রোববার মেক্সিকোর দক্ষিন-পশ্চিম উপকূল দিয়ে বয়ে গেছে৷ কিন্তু ঝড়টি যখন উপকূল থেকে দূরে ছিলো, গত সপ্তাহে তখনই ‘গ্লোবাল হক' সেই ঝড়ের তেজ কেমন হতে চলেছে সেটা জানিয়েছিলো৷ কিন্তু হারিকেন আর্ল, যার গতিবেগ ঘন্টায় ১৪০ মাইলের বেশি তার কথা সম্পূর্ণই আলাদা৷ আর এর সব তথ্য আগে থেকে পাবার বিষয়টিও একেবারেই নতুন৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়