1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চক্রান্ত করেই বাবরি ধ্বংস: বিচারপতি লিবেরহান

১ অক্টোবর ২০২০

বাবরি মসজিদ চক্রান্ত করেই ভাঙা হয়েছিল বলে এখনো মনে করেন লিবেরহান কমিশনের প্রধান মনমোহন সিং লিবেরহান।

https://p.dw.com/p/3jFfr
ছবি: AFP/Getty Images

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভাঙা হয়েছিল বাবরি মসজিদ। তার দশ দিন পরে গঠিত হয় সাবেক বিচারপতি মনমোহন সিং লিবেরহানের নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন। বাবরি মসজিদ ভাঙা নিয়ে তদন্ত করার জন্য। ২০০৯ সালে রিপোর্ট জমা দেয় কমিশন। লখনউয়ের সিবিআই আদালত বুধবার জানিয়ে দিয়েছে, বাবরি ভাঙার পিছনে কোনো চক্রান্ত ছিল না। আডবাণীরা বরং মসজিদ বাঁচাতে চেয়েছিলেন। এই রায় আসার পরেই লিবেরহান জানিয়ে দিলেন, তিনি যে রিপোর্ট দিয়েছিলেন, তাতে চক্রান্তের কথাই বলা হয়েছিল।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে লিবেরহান জানিয়েছেন, ''আমার সিদ্ধান্ত ছিল বাবরি ভাঙার পিছনে চক্রান্ত কাজ করেছে। আমি এখনো তা বিশ্বাস করি। বিস্তারিত পরিকল্পনা করে বাবরি ভাঙা হয়েছিল। উমা ভারতী ভাঙার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কোনো অদৃশ্য শক্তি বাবরি ভাঙেনি, মানুষই তা ভেঙেছিল।''

লিবেরহান কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, আডবাণী, জোশী, উমা ভারতীরা সে সময়ের উত্তর প্রদেশ সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে বাবরি ভাঙার পরিকল্পনা করেছিলেন। পিছন থেকে মদত দিয়েছিলেন। তাঁরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বাবরি ধ্বংসকে সমর্থন করেছিলেন। কমিশনের বক্তব্য ছিল, করসেবকদের একত্রিত করা স্বতঃস্ফূর্ত ছিল না, বা তাঁরা স্বেচ্ছায় জড়ো হননি, তাঁদের জড়ো করা হয়েছিল। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভঙ্গের জন্য আডবাণী, জোশী, উমা সহ মোট ৬০ জনকে দায়ী করেছিল কমিশন।

সিবিআই আদালতের রায় আসার পরেও লিবেরহানের দাবি, ''আমার তদন্ত রিপোর্ট ঠিক ছিল। আমি সৎ থেকেছি। ভয় বা পক্ষপাত দেখাইনি। যা ঘটেছিল তার সত্য বিবরণ দিয়েছি। এখন তা ইতিহাসের অঙ্গ।''

তবে তিনি সিবিআই আদালতের রায় নিয়ে কথা বলতে চাননি। সিবিআই কীভাবে তদন্ত করেছে তা নিয়েও নয়। তিনি বলেছেন, ''আমার কাছে আডবাণী, বাজেপেয়ী থেকে শুরু করে সকলেই সাক্ষ্য দিয়েছেন। আমি যা পেয়েছি, সবই রিপোর্টে উল্লেখ করেছি।'' তাঁর দাবি, ''উমা ভারতী দায় স্বীকার করেছিলেন। এখন যদি বিচারক বলেন, তিনি নির্দোষ, সেখানে আমি কী করব? আমাকে যে তথ্য দেয়া হয়েছিল, সাক্ষ্য থেকে যা পেয়েছিলাম, তার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্তে এসেছি। যে কোনো যুক্তিপূর্ণ মানুষ তাই করতেন।''  

জিএইচ/এসজি(ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)