চট করে পছন্দের পোশাক পেতে যা করবেন!
লাল জামাটা পরতে চাচ্ছি, সাথে ম্যাচিং জুতো, কিন্তু কিছুতেই ওসব খুঁজে পাচ্ছি না৷ একটা টানতে গেলে অন্যটা পরে যায়৷ আলমারি গোছানোর সহজ কিছু টিপস জেনে নিন ছবিঘর থেকে৷
প্রথমে সব কাপড় বিছানায় রাখুন
মাঝে মাঝে এমন অবস্থা হয় যে পছন্দের কাপড়, জামা আলমারিতে সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না৷ অনেকের ক্ষেত্রে এমনও দেখা যায় যে, আলমারির দরজা খুললেই যেন হুড়মুড় করে অর্ধেক কাপড় পরে যায়৷ শুধুমাত্র না গোছানো বা এলোমেলো থাকার কারণেই এই অবস্থা৷ তাই প্রথমেই আলমারির সব কাপড় বের করে বিছানার ওপর ছড়িয়ে রাখুন৷
তারপর?
যে কাপড়গুলো আপনি আর কখনো পরবেন না বা গায়ে হয় না, কিংবা এখন আর পছন্দ হয় না কিংবা ফ্যাশন চলে গেছে, সেগুলো বের করে আলাদাভাবে একটি বাক্স বা ব্যাগে ভরে রাখুন৷ তাহলেই দেখবেন আলমারির অনেকটা জায়গা খালি হয়ে গেছে৷ এবার নতুন করে গোছাতে আর কোনো সমস্যা নেই!
এরপর?
কাপড়ের ধরণ, অর্থাৎ জিন্স, টি-শার্ট, কামিজ, স্কার্ট, শাড়ি, শার্ট, প্যান্ট, পুলওভার সব আলাদা করে নিন৷ এবং কাপড়ের রং ভেদেও আলাদা করুন৷ এবার কাপড়ের ধরণ, সাইজ, রং মিলিয়ে মিলিয়ে আলমারিতে গুছিয়ে রাখুন৷
এক নজরে ওড়না, টাই, বেল্ট...
ওড়না, টাই, বেল্ট, টাইয়ের ক্লিপ ইত্যাদি ছোট জিনিসগুলো প্রায়ই খুঁজে পাওয়া যায় না৷ এ সব আলাদা করে আলমারির ভেতরের দরজায় ঝুলিয়ে রাখুন, যেন পোশাক পছন্দ করার সাথে সাথেই এই জিনিসগুলো পেতে অসুবিধা না হয়৷
স্যান্ডেল, জুতো...
গরমকালে পরার স্যান্ডেল এবং শীতের জুতো আলাদা করে নিন৷ তারপর রং অনুযায়ী সাজিয়ে নিন৷ যেগুলো বেশি পরেন, সেগুলো আলমারির ভেতরে নীচের তাকে সামনের দিকে আর যেগুলো তেমন পরা হয় না সেগুলো পেছনের দিকে রেখে দিন৷
গহনা...
এগুলো গুছিয়ে না রাখলে অনেক সময় হারিয়ে যায় বা দরকারের সময় খুঁজেই পাওয়া যায় না৷ অনেক সময় আবার গলার চেন একটার সাথে আরেকটা লেগে যায় এবং প্রয়োজনের সময় পরা যায় না৷ তাই কানের দুল এবং গলার মালা একসাথে করে ডিমের বাক্সে রাখতে পারেন৷ আর বেশি বড় মালাগুলো কিন্তু দেয়ালে ঝুলিয়েও রাখা যায়৷
জুতোর বাক্সে?
হ্যাঁ, মেয়েদের ব্রা, প্যান্টি বা ছেলেদের আন্ডার গারমেন্টের মতো ছোট জিনিস আলাদা করে জুতোর বাক্সতে রাখতে পারেন৷ তবে তার আগে দু-একটি জুতোর বাক্স ছোট ছোট করে কেটে বাক্সের ভেতরে এমনভাবে রাখুন যেন আলাদা আলাদা ঘর তৈরি হয়৷ এবার সেগুলোতে একটি একটি করে ছোট কাপড় ভরে রাখুন৷
সবচেয়ে সহজ উপায়
আপনাকে সবচেয়ে আকর্ষণীয় লাগে এমন কয়েকটি পোশাক বেছে নিয়ে পরে ফেলুন৷ এবার কিন্তু ছবি তোলার পালা৷ ছবিগুলো এবার আলমারির ভেতরের দরজায় লাগিয়ে রাখুন৷ তাহলে তাড়াহুড়োর সময় অল্প সময়ে নিজেকে সুন্দর করে সাজাতে আর কোনো অসুবিধাই হবে না৷ এই পদ্ধতি চাকরিজীবীদের জন্য খুবই উপকারী৷