1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চলতি অর্থ বছরে রেকর্ড জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বাংলাদেশ

৩০ ডিসেম্বর ২০১০

তৈরি পোষাক শিল্প রপ্তানিতে সন্তোষজনক অবস্থানের ফলে চলতি অর্থ বছর, অর্থাৎ ২০১০-১১’তে বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধির পরিমাণ হবে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ৷ এমনটাই আশা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান৷

https://p.dw.com/p/zrIo
তৈরি পোষাক কারখানায় কাজ চলছেছবি: AP

২০১০ সালের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত পর্যালোচনা করে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘চলতি অর্থবছরের বাজেটে মোট অভ্যন্তরীন উৎপাদন অর্থাৎ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ৷ আমার মনে হয়, কোনো বড় ধরণের বিপর্যয় না ঘটলে এই প্রবৃদ্ধি সহজেই অর্জিত হবে৷'' শুধু তাই নয়, এভাবে চলতে পারলে পরবর্তী বছরগুলিতেও অন্তত ৭ শতাংশের বেশি হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে বলে জানিয়েছেন ড. রহমান৷

তাঁর কথায়, ‘‘গত অর্থবছরের শুরুতে আমদানি ও রপ্তানি – দুটি খাতেই প্রবৃদ্ধি সেরকম সন্তোষজনক ছিল না বাংলাদেশের৷ কিন্তু বিশ্ব মন্দার প্রভাব কাটিয়ে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি সঞ্চার করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ৷'' ড. রহমান জানান, চলতি অর্থবছরের শুরুর চার মাস, অর্থাৎ জুলাই থেকে অক্টোবরে রপ্তানি খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে কমপক্ষে ৩৭ শতাংশ৷ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বেড়েছে আর তার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে মূল্যস্ফীতির হারও৷

রপ্তানিকারীরা জানিয়েছেন, চলতি বছরে উত্তর অ্যামেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলিতেই সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ৷ ‘ওয়াল-মার্ট', ‘গ্যাপ', ‘এইচ অ্যান্ড এম' – বিশ্বের অন্যতম এই সমস্ত খুচরো বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলির দৌলতেই স্বল্প দামের পোষাক শিল্পে প্রায় একচেটিয়া অধিকার রপ্ত করেছে বাংলাদেশের মতো একটি দরিদ্র দেশ৷

জানা গেছে, চলতি বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে৷ অথচ, ২০১০'এর জুলাই মাস পর্যন্তও বাংলাদেশের জিডিপি'র প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ৫ দশমিক ৮ শতাংশ৷ প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সর্বোচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার ছিল ২০০৬ সালে, ৬ দশমিক ৬ শতাংশ৷

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক