1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চলে গেলেন মাকড়শাপ্রেমী লুই বুরজোয়াস

১ জুন ২০১০

মাকড়শা ভয় পায় না এমন নারী বোধহয় পৃথিবীতে কমই আছে ! কিন্তু সেই মাকড়শাকে শিল্পে রুপ দিয়ে যে নারী বিশ্ববিখ্যাত হয়েছেন তিনি ফরাসি শিল্পী লুই বুরজোয়াস৷ দুঃখের কথা, শনিবার পৃথিবীকে চিরবিদায় জানিয়েছেন এই প্রতিভাবান শিল্পী৷

https://p.dw.com/p/Nekx
লুই বুরজোয়াস (ফাইল ছবি)ছবি: AP

আগামী ৫ জুন শুক্রবার ইটালিয়ান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ভেনিসে শুরু হওয়ার কথা সাড়ে তিন মাসব্যাপী এক প্রদর্শনী৷ যাতে স্থান পাচ্ছে ৬০'এর দশকে আকা লুই বুরজোয়াসের কোলাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন চিত্রকর্ম ও ভাস্কর্য৷ কিন্তু তার আগেই বিদায় নিলেন ৯৮ বছর বয়সী এই শিল্পী৷ লুই বুরজোয়ার স্টুডিওর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এই খবর জানিয়ে বলেন, শনিবার রাতে নিউ ইয়র্কের বেথ ইসরায়েল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি৷ ইটালিয়ান ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট আলফ্রেডো বিয়ানচিনি বলেন, মাত্র দুইদিন আগেও এই প্রদর্শনীর কাজে নিজেকে ভীষণ ব্যস্ত রেখেছিলেন এই গুণী শিল্পী৷ তিনি লুই বুরজোয়ার প্রতি সম্মান জানিয়ে বলেন, তিনি তাঁর কাজের মাধ্যমেই চিরদিন বেঁচে থাকবেন৷

Louise Bourgeois Skulptur London Flash-Galerie
বুরজোয়াস এর তৈরি বিখ্যাত মামা সিরিজের মাকড়শাছবি: AP

লুই বুরজোয়া ১৯১১ সালের ২৫শে ডিসেম্বর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন৷ ১৯৩৮ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান, সেখানে বিয়ে করেন এবং সংসার পাতেন৷ কিন্তু পুরোদমে সংসারী হলেও শিল্প প্রতিভা তাঁর আটকে থাকেনি৷ তাঁর ক্যারিয়ারের শুরুতে বিখ্যাত শিল্পী ম্যাক্স এর্নস্ট এবং কন্সট্যান্টিন ব্রাংকুসির প্রভাব ছিল বেশ স্পষ্ট৷ নিজেকে কোন নির্দিষ্ট গন্ডির শিল্পের মধ্যে আটকে রাখতে চাননি লুই বুরজোয়াস৷ তাই চিত্রকর্মের পাশাপাশি ভাস্কর্য, কোলাজ সহ নানামুখী শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন তিনি৷ ১৯৭৪ সালে তাঁর বিখ্যাত ভাস্কর্য সিরিজ ‘মামা' স্থাপিত হয় ক্যানাডার ন্যাশনাল গ্যালারির সামনে৷ এই ভাস্কর্যটি একটি ৩০ ফুট উঁচু মাকড়শা৷ এই ধরণের মোট নয়টি মাকড়শা তৈরি করেন তিনি৷ নারী হলেও মাকড়শার প্রতি তাঁর বিশেষ টান ছিল৷ মাতৃত্বের প্রতিক হিসেবে তিনি এই মাকড়শাকে দেখতেন৷ আর এজন্যই গড়ে তুলেছিলেন নানা ধরণের মাকড়শার ভাস্কর্য৷ তাই বহুমুখী শিল্পী হিসেবে তিনি পরিচিত হলেও, মানুষের মনে তিনি জায়গা করে নেন মাকড়শার প্রতি তাঁর ভালবাসার কারণে৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: দেবারতি গুহ