1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চার্লস-ডায়ানা পুত্র উইলিয়ম বিয়ে করছেন কেট মিডলটনকেই

১৬ নভেম্বর ২০১০

ব্রিটেনের যুবরাজ উইলিয়াম তাঁর দীর্ঘদিনের বান্ধবী কেট মিডলটনকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন৷ আর এই খবরের মধ্যদিয়ে অনেকদিন পর ব্রিটিশ রাজ পরিবার আবারও সংবাদের শীর্ষে উঠে এল৷

https://p.dw.com/p/QARE
ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ রাজা-রানি?ছবি: picture-alliance/dpa

প্রিন্স চার্লস এবং প্রিন্সেস ডায়ানার বড় ছেলে উইলিয়াম৷ আগামী বছর তাঁর বান্ধবী কেট মিডলটনকেই বিয়ে করবেন৷ আর এই সাড়া জাগিয়ে তোলা খবরটি মঙ্গলবার রাজপরিবারের পক্ষ থেকে জানিয়েছেন ক্লারেন্স হাউস৷

উইলিয়াম এবং তাঁর হবু স্ত্রী, দু'জনেরই বয়স ২৮৷ গত মাসে কেনিয়ায় তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়৷ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রিন্স অফ ওয়েলস মিস ক্যাথরিন মিডলটনের সঙ্গে যুবরাজের বাগদানের খবরটি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করেছেন৷ ২০১১ সালের বসন্ত কিংবা গ্রীষ্মকালের কোনো এক দিনে লন্ডনে তাঁদের বিয়ে হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, বিয়ে সম্পর্কে আরও তথ্য পরবর্তীতে জানানো হবে৷ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের মুখপাত্র বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হবু দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷

Flash-Galerie Prinz William und Kate Middleton
আগামী বছর উইলিয়াম ও কেট’এর বিয়েছবি: picture alliance/empics

অক্টোবরে কেনিয়াতে অবকাশ যাপনের সময় তাঁদের বাগদানের কথা উইলিয়াম রানি এবং পরিবারের অন্যান্য ঘনিষ্ঠ সদস্যদের জানিয়েছিলেন৷ সেসময় উইলিয়াম, মিডলটনের বাবার কাছ থেকেও মেয়েকে বিয়ে করার অনুমতি নিয়েছেন৷ জানা গেছে, বিয়ের পর নবদম্পতি নর্থ ওয়েলস'এ থাকবেন যেখান থেকে প্রিন্স উইলিয়াম রয়্যাল এয়ার ফোর্সে তাঁর কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন৷

উইলিয়াম ও মিডেলটনের প্রথম দেখা হয় ২০০১ সালে৷ সেসময় স্কটল্যান্ডের সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁরা দু'জনই শিল্পকলার ইতিহাস বিষয়ে পড়াশুনা করছিলেন৷ ২০০৭ সালে তাঁদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটলেও পুরানো সম্পর্ক আবার জোড়া লাগে এবং এই সম্পর্কই এবার পূর্ণতা পেতে যাচ্ছে বিয়ের মাছ দিয়ে৷

বলা হচ্ছে, যুবরাজের বিয়েটা চার্লস এবং ডায়ানার বিয়ের ঠিক ত্রিশ বছর পর হতে যাচ্ছে৷ ১৯৯৬ সালে তাঁদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে৷ এবং ১৯৯৭ সালে ডায়ানা প্যারিসে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান৷ কেট মিডলটনের বাবা একজন সাবেক পাইলট এবং মা সাবেক এয়ার হোস্টেস৷ ব্যবসা করে প্রচুর অর্থ করেছেন তাঁরা৷

প্রতিবেদন: জন্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক