1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চার্লি শীন জেলে গেলেন, না স্যানাটোরিয়ামে, তা’ বলা শক্ত

৬ জুন ২০১০

‘‘টু এ্যান্ড এ হাফ মেন’’ খ্যাত মার্কিন অভিনেতা একবার স্বল্পসময়ের জন্য সেখানে গেছেন, এবং আবার হয়তো যাচ্ছেন বলেই যে পিটকিন কাউন্টি জেলের এই খ্যাতি, এমন নয়৷

https://p.dw.com/p/NjDr
চার্লি শীনছবি: AP

জায়গাটা হল এ্যাস্পেন, কলোরাডো৷ স্কি খেলার নাম-করা জায়গা৷ সেখানে থাকেই শুধু বড়লোকেরা৷ ঢিল ছুঁড়লে হলিউড সেলিব্রিটিদের গায়ে লাগে, নয়তো বিজনেসম্যান কি রাজনীতিকদের৷ সেখানকার জেল৷ কাজেই সেখানে মেঝেতে কার্পেট দেওয়া৷ বন্দীদের সেলগুলো যেন কোনো কলেজের ডর্মিটরি৷ বন্দীদের জন্য একটা কমন রুম আছে, সেখানেই তারা সকাল-সন্ধ্যা কাটায়, বই পড়ে, টিভি দেখে, তাস খেলে, খোসগল্প করে৷ তারা কলেক্ট টেলিফোন কল করতে পারে, মেইল সার্ভিস ব্যবহার করতে পারে, আত্মীয়স্বজন-বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখা করতে পারে, নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারে৷

জেলের বেড়া দেওয়া পার্কিং লটে আউটডোর কার্যকলাপেও আপত্তি নেই৷ জেলে বন্দী ধরে সাকুল্যে ২৪ জন - বর্তমানে আছে জনা পনেরো৷ তাদের দেখাশোনা করে ১২ জন কর্মী৷ এই কর্মীরা আবার পড়াশুনো করা লোক, বলতে কি, এ্যাস্পেন সমাজেরই অঙ্গ৷

প্রাতরাশ হল সিরিল কি ওটমিল, মাইক্রোওয়েভে গরম করে নেওয়া হয়৷ দুপুর আর রাতের খাবার আসে দু'মাইল দূরের এ্যাস্পেন ভ্যালি হাসপাতাল থেকে: জেলেরই এক কর্মী গাড়ি চালিয়ে গিয়ে বন্দীদের - এবং কর্মীদের - খাবার নিয়ে আসে, হাসপাতালের পুষ্টিবিশারদদের মেপে দেওয়া রোগীর পথ্য৷ বন্দী এবং জেলকর্মীরা একই টেবিলে বসে সেই খাবার খান, গল্পগাছা করেন৷

চার্লি শীন তাঁর স্ত্রী'কে মারধোরের অভিযোগে গত বছর ঠিক বড়দিনে গ্রেপ্তার হয়ে পিটকিন কাউন্টি জেলে আসেন৷ তখন তাঁকে বড়দিনের যে ভোজ খেতে দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে কাগজে যতোই লেখালেখি হোক না কেন, পিটকিন কাউন্টি শেরিফ বব ব্রাউডিস'এ বক্তব্য হল: সাজা হল আটকে থাকা, ও'র বেশী কিছু নয়৷ তিনি রয়টার্স সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন যে, এই জেলের উদ্দেশ্য হল, বন্দীরা যেন শরীর-মন আরো জুৎ করে নিয়ে জেল থেকে বেরোয়৷ এছাড়া শুধু বড়লোকরা জামিন পেয়ে খালাস হবে, আর গরীবরা জেলে পচে মরবে, এমন তো হতে পারে না৷ কাজেই ব্রাউডিস'ই বছর পঁচিশেক আগে পিটকিন কাউন্টি আদালতের একপাশে পাঁচ-বিছানার খোঁদলটির পরিবর্তে এই ‘‘মানবিক কারাগার''-টির পরিকল্পনা করেন - যেখানে চার্লি শীন'কে এখন ৩০ দিন অবধি কাটাতে হতে পারে৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম