1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চার বছর পর সংসদে বক্তব্য রাখলেন ফিদেল কাস্ত্রো

৮ আগস্ট ২০১০

কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো৷ প্রায় চার বছর পর আবার বক্তব্য রাখলেন সংসদে৷ এর ফলে অনেকে মনে করছেন, হয়তো তিনি আবার ফিরে সক্রিয় হতে চাইছেন দেশ পরিচালনায়৷

https://p.dw.com/p/OelK
ফিদেল কাস্ত্রোছবি: AP

অসুস্থতার কারণে চার বছর আগে ছোট ভাই রাউল কাস্ত্রোর হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছিলেন ফিদেল৷ এরপর থেকে তাঁর চিকিৎসা চলেছে৷ মাঝে এমনও অবস্থা হয়েছিল যে তিনি ঠিকমত হাঁটাচলা করতে পারতেন না৷ তবে চিকিৎসার কারণে ধীরে ধীরে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন৷ তাই গত বেশ কিছুদিন ধরে তিনি আবার জনগণের সামনে আসতে শুরু করেছেন৷ টেলিভিশনেও ইন্টারভিউ দিয়েছেন৷ তবে এখানে একটা কথা জানিয়ে রাখি, অসুস্থ থাকাকালীন তিনি মাঝে মধ্যে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পত্রপত্রিকায় কলাম লিখতেন৷

বর্তমান শারীরিক অবস্থা

ফিদেল কাস্ত্রোর বয়স আর কদিন পরেই ৮৪ হতে যাচ্ছে৷ তাই স্বাভাবিকভাবেই একটা বয়সের ছাপ তো পড়েছেই৷ তবে একটা বিষয় লক্ষ্যনীয় ছিল যে তিনি বেশ ভালভাবেই অসুস্থ অবস্থাটা কাটিয়ে উঠেছেন৷ তাঁর কন্ঠে শক্তির আমেজ পাওয়া গেছে৷ যদিও তিনি মাত্র ১০ মিনিটের মতো বক্তব্য রেখেছেন৷ এখানে একটা কথা মনে রাখতে হবে, এই কাস্ত্রোই কিন্তু একবার জাতিসংঘে চার ঘন্টারও বেশি সময় ধরে বক্তব্য রেখেছিলেন৷

বক্তব্যের বিষয়

তাঁর বক্তব্যের পুরোটাই ছিল আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে৷ জাতীয় কোন ইস্যু নিয়ে তিনি কথা বলেননি৷ একটা বিষয়ে ফিদেল তাঁর আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন৷ তিনি মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক আক্রমণ শুরু করতে পারে৷ তবে তাঁর ধারণা, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যদি এই ধরণের আক্রমণের ভয়াবহতা সম্পর্কে ভালভাবে জেনে থাকেন, তাহলে হয়তো তিনি এই যুদ্ধের অনুমতি দেবেন না৷ এরপরও যদি পরমাণু যুদ্ধ শুরু হয় তাহলে বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে বলে কাস্ত্রো মন্তব্য করেন৷ তবে কিউবা-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে ফিদেল কোন কথা বলেননি৷

দেশ পরিচালনা

কাস্ত্রোর এই বক্তব্যের আগে অনেকেই তাঁর আবার দেশ পরিচালনায় আসার সম্ভাবনার কথা চিন্তা করছিলেন৷ কিন্তু বক্তব্য দেওয়ার সময় দেখা গেল জাতীয় কোন ইস্যু নিয়েই তিনি কথা বলেননি৷ এমনকি তাঁর ভাই বর্তমান প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রোর নেওয়া অর্থনীতি বিষয়ক সাম্প্রতিক কিছু সিদ্ধান্তের বিষয়েও তিনি কোন মন্তব্য করেননি৷ কিউবার বর্তমান অর্থনৈতিক দুরবস্থা নিয়েও কোন কথা নেই ফিদেলের বক্তব্যে৷ এসব কারণেই তাঁর আবার দেশ পরিচালনায় ফিরে আসার আলোচনা আপাতত বন্ধ হলো বলেই মনে হচ্ছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়