1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চিলির ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০

চিলির ভয়াবহ ভূমিকম্পের এক দিন পর ধ্বংসলীলার মাত্রা ক্রমশঃ স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ অন্যদিকে শক্তিশালী কম্পনের ফলে নতুন করে বিপদের আশঙ্কা আরও বেড়ে চলেছে৷ তবে সুনামির আশঙ্কা পুরোপুরি কেটে গেছে৷

https://p.dw.com/p/MEUw
কনসেপসিয়ন শহরের ধ্বংসলীলার দৃশ্যছবি: AP

শনিবারের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৪০০ পেরিয়ে গেছে৷ চিলির প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ কোন না কোন ভাবে এই বিপর্যয়ের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশের প্রেসিডেন্ট মিশেল বাচেলেট৷ তাঁর মতে, প্রকৃত চিত্র বুঝে উঠতে বেশ কয়েক দিন সময় লাগবে৷ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পুনর্গঠন করতে বিশাল উদ্যোগ ও অর্থের প্রয়োজন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ এক বিশেষজ্ঞের মতে, অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা দেড় থেকে তিন হাজার কোটি ডলার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে৷ দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে পরিচিত রাষ্ট্র চিলির জন্য এটা একটা বড় ধাক্কা৷

NO FLASH - Erdbeben Chile
চিলির টালকা শহরে ধ্বংসস্তুপের সামনে এক অসহায় মানুষছবি: AP

প্রাথমিক বিহ্বলতা কাটিয়ে তুলে রবিবার উদ্ধারকার্য পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে৷ ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছে কনসেপসিয়ন শহরে ধ্বংসলীলা সবচেয়ে বেশী টের পাওয়া যাচ্ছে৷ সেখানে এক বহুতল আবাসন ভেঙে পড়ার পর প্রায় ১০০ মানুষ জীবিত অবস্থায় ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছে৷ দমকল কর্মীরা সারা রাত ধরে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে গেছেন৷ কিন্তু জ্বালানির অভাবের কারণে তাদের যন্ত্রপাতি পুরোপুরি কাজে লাগানো যাচ্ছে না৷ তাছাড়া পানীয় জলের অভাবও একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ টেলিভিশনের পর্দায় ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকায় ভাঙা গাড়ি, ছিঁড়ে যাওয়া বিদ্যুতের তার, আংশিক বা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির দৃশ্য দেখা যাচ্ছে৷ অরাজকতার সুযোগ নিয়ে কিছু মানুষ মরিয়া হয়ে দোকান-বাজার ভেঙে লুটপাট করতে শুরু করেছে৷ পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও জল কামান ব্যবহার করে তাদের থামানোর চেষ্টা করেছে৷ খাদ্য ও পানীয়র যোগান বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় এমন ঘটনা ঘটছে৷

Chile Erdbeben Februar 2010
আরও কম্পনের আশঙ্কায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন সান্তিয়াগোর মানুষছবি: picture alliance / dpa

রবিবার ভোরে রাজধানী সান্তিয়াগো সহ বেশ কিছু এলাকায় এক শক্তিশালী কম্পনের ফলে ঘরবাড়ি আবার কেঁপে ওঠে৷ আরও কম্পনের আশঙ্কায় কনসেপসিয়ন শহরে হাজার-হাজার মানুষ খোলা আকাশের নিচে তাঁবু বা অস্থায়ী আস্তানায় রাত কাটাচ্ছেন৷

চিলির ভূমিকম্পের পর গোটা প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চল জুড়ে সুনামির যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, তা পুরোপুরি কেটে গেছে৷ শুধুমাত্র চিলির হুয়ান ফ্যার্নান্দেজ দ্বীপে সুনামির ফলে বিশাল ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ সেখানে কমপক্ষে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন, সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই