1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনা প্রেসিডেন্টকে ফোন বাইডেনের, সাত মাস পর কথা

১০ সেপ্টেম্বর ২০২১

ফোনে কথা বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বাইডেনই চীনের প্রেসিডেন্টকে ফোন করেন।

https://p.dw.com/p/408jY
শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন বাইডেন।

সাতমাস পর আবার কথা হলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর জিনপিংকে সৌজন্য-ফোন করেছিলেন। তারপর সাতমাস ধরে দুই দেশের শীর্ষনেতার মধ্যে কোনো কথা হয়নি। ট্রাম্পের আমলে অ্যামেরিকা ও চীনের শীতল সম্পর্ক বাইডেনের আমলেও বিশেষ বদলায়নি। এই পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনার মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নতির চেষ্টা শুরু করলেন বাইডেনই। 

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বাইডেন ফোনে জিনপিংকে বলেছেন, ''দুই দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকতে পারে, কিন্তু তা যেন বিরোধে পরিণত না হয়।''

ডনাল্ড ট্রাম্পের আমলে অ্যামেরিকার সঙ্গে চীনের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল। ট্রাম্প অ্যামেরিকা ফার্স্ট নীতি নিয়ে চলেছিলেন। তিনি অনেক জিনিস আমদানির ক্ষেত্রে চড়া মাসুল বসিয়ে দেন। এনিয়ে বেজিংয়ের সঙ্গে ওয়াশিটনের বিরোধ শুরু হয়। সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে।

বাইডেন এখন অনেক ক্ষেত্রেই ট্রাম্পের নীতি থেকে সরে আসছেন। কিন্তু চীনের সঙ্গে অ্যামেরিকার সম্পর্ক এখনো স্বাভাবিক হয়নি। আলাস্কাতে দুই দেশের প্রতিনিধিরা একবার আলোচনায় বসেছিলেন। সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনও ছিলেন। কিন্তু সেখানে চীন ও অ্যামেরিকা একে অপরের বিরুদ্ধে সমানে অভিযোগ করে যায়। দুই দেশের নীচুতলার কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনাও এগোয়নি। মার্কিন কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছিলেন, চীন সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ব্যাপারে খুব একটা উৎসাহী নয়। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য মাসুল ছাড়াও মানবাধিকার, করোনা, পরিবেশগত বিষয়ে মতবিরোধ আছে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে বাইডেন সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনার রাস্তা খুলে রাখলেন। করোনার কারণে তাদের মুখোমুখি কোনো বৈঠক হয়নি। গত ফেব্রুয়ারিতে বাইডেন সিবিএস নিউজকে জানিয়েছিলেন, তার সঙ্গে জিনপিংয়ের সম্পর্ক খুবই ভালো। জিনপিংয়ের সঙ্গে তিনি ২৪-২৫ ঘণ্টা ধরে প্রাইভেট মিটিং করেছেন। তার সঙ্গে ১৭ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ফোনে দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। দুই দেশের স্বার্থ, সংঘাত ও মূল্যবোধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চীনের সরকারি মিডিয়া বলেছে, বিষয়ের গভীরে গিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং স্বতঃস্ফূর্ত আলোচনা হয়েছে। শি জিনপিং মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলেছেন, অ্যামেরিকার নীতির জন্য তাদের প্রবল অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছে। চীনা মিডিয়ার রিপোর্ট, দুই দেশই ঘন ঘন আলোচনা করতে রাজি হয়েছে।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)