1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনের বন্দর বিপাকে ফেলবে ভারতকে

গৌতম হোড় নতুন দিল্লি
১৬ জানুয়ারি ২০২০

শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর মিয়ানমার সফর৷ আর এই সফরের দিকে তাকিয়ে রয়েছে ভারত৷

https://p.dw.com/p/3WH63
ছবি: picture-alliance/AP Photo

প্রায় দু দশক পরে চীনেরপ্রেসিডেন্ট আবার মিয়ানমার সফর করছেন। ন-বছর আগে শি জিনপিং মিয়ানমার গিয়েছিলেন বটে, তবে তখন তিনি ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট৷ প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটাই জিনিপিং-এর প্রথম সফর৷  তবে তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই সফরে মিয়ানমারের রাখাইনে চীনের বন্দর তৈরি নিয়ে চূড়ান্ত সমঝোতা হতে পারে৷ আর সে জন্যই ভারতের কাছে এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু বন্দরই নয়, 'বেল্ট অ্যান্ড রোড প্ল্যান' অনুসারে এখান থেকে চীনের ইউনান প্রদেশের সঙ্গে সরাসির 'ডেডিকেটেড' রেল লাইন থাকবে৷ ফলে চীনের পণ্য অতি দ্রুত চলে আসতে পারবে রাখাইন বন্দরে৷ রাখাইন হল রোহিঙ্গাদের এলাকা৷ সামরিক অভিযানের পর এখান থেকেই লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়েছিলেন৷

China Aung San Suu Kyi, Myanmar & Xi Jinping, Präsident
ছবি: picture-alliance/Photoshot/Rao Aimin

তবে ভারতের কাছে চিন্তার বিষয় অন্য৷ বছর তিনেক আগে ভারত রাখাইনের রাজধানী শহর সিটওয়ে-তে  বন্দর তৈরি করেছিল৷ কালাদান নদী যেখানে সমুদ্রে মিশছে, সেখানেই তৈরি হয়েছে এই বন্দর৷ অর্থ দিয়েছিল ভারতের বিদেশমন্ত্রক৷ প্রশ্ন হল, চীনের বন্দর তৈরি হলে সিটওয়ে বন্দর কি গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে? প্রাক্তন উচ্চপদস্থ আমলা ও পরিকল্পনা বিশারদ অমিতাভ রায় ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''সেই সম্ভাবনা ষোলআনা আছে। কারণ, আমরা যে বন্দর তৈরি করেছিলাম, সেখান থেকে দুহাত দূরে চীনের বন্দর তৈরি হচ্ছে৷ এর পাশাপাশি যে বিষয়টা লোকের নজর এড়িয়ে যাচ্ছে, তা হল, বঙ্গোপসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় চীনের প্রভাব বাড়ার ঘটনা৷''

Myanmar Birma Karte Landkarte
ছবি: AP Graphics

ফলে চীনের বন্দর ভারতের কাছে চিন্তার বিষয় হওয়াটা স্বাভাবিক৷ প্রবীণ সাংবাদিক ও বিদেশ বিশেষজ্ঞ প্রণয় শর্মা মনে করেন, বিষয়টি নির্ভর করছে কে কী ভাবে তা দেখবে তার ওপর। যদি শুধু পণ্য  নিয়ে আসার বিষয় থাকে তো তার তাৎপর্য একরকম হবে৷ যদি সেনা চলে আসার সম্বাবনা বা সমুদ্রে নজরদারির দিক থেকে এটাকে দেখা হয় তো অন্যরকম হবে৷ ডয়চে ভেলেকে প্রণয় জানিয়েছেন,''ঘটনা হল, চীনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের সুসম্পর্ক রয়েছে৷ আর পরিকাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে চীন এখন বিশ্বে এক নম্বর৷ ফলে ভারতের পক্ষে তাঁদের ঠেকানোর কোনও প্রশ্ন নেই৷ তবে ভারতের কাছে স্বস্তির বিষয় হল, ১৯৯৪ সাল থেকে ভারতের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে মিয়ানমার৷ বলা যেতে পারে, মিয়ানমারের কাছে ভারত হল দ্বিতীয় উইন্ডো৷ ভারতও তাঁর প্রতি নরম মনোভাব নিয়ে চলে৷''

এই পরিস্থিতিতে জিনপিং মিয়ানমার সফর করবেন৷ দেখা করবেন অং সান সু চি ও সেনা প্রধানের সঙ্গে৷ দুই দেশের সহযোগিতা বাড়ানো নিয়ে নির্দিষ্ট ঘোষণা হতে পারে৷ তার দিকে তাকিয়ে ভারত সহ গোটা বিশ্ব৷