1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনা

৪ মে ২০১৮

চীনের প্রতি নরম-গরম নীতি চালিয়ে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন৷ একদিকে বাণিজ্য যুদ্ধ এড়াতে আলোচনা, অন্যদিকে দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক তৎপরতার পরিণতি সম্পর্কে চীনকে সতর্ক করে দিচ্ছে ওয়াশিংটন৷

https://p.dw.com/p/2x9Qh
দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সামরিক তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে
ছবি: picture-alliance/Photoshot/M. Xiaoliang

দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের বেড়ে চলা সামরিক তৎপরতা গোটা অঞ্চলে মাথাব্যথার কারণ৷ চীন এবার সেখানে জাহাজ ও বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে৷ মার্কিন টেলিভিশন কেন্দ্র সিএনবিসি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে উদ্ধৃত করে এই দাবি করেছে৷ গত ৩০ দিনে স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের ফায়ারি ক্রস রিফ, সুবি রিফ ও মিসচিফ রিফে এই সব সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে বলে সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে৷ ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশ বিতর্কিত সেই দ্বীপপুঞ্জের দাবিদার৷ চীন অবশ্য সেই দাবি নস্যাৎ করে সেখানে নিজস্ব অধিকার কায়েম করে আসছে৷

সরাসরি এই দাবি সম্পর্কে মন্তব্য না করলেও হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারা সান্ডার্স সামগ্রিকভাবে সেই অঞ্চলে চীনের সামরিক তৎপরতা সম্পর্কে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন৷ তিনি বলেন, এ বিষয়ে চীনের কাছে সরাসরি দুশ্চিন্তা প্রকাশ করা হয়েছে৷ এই পদক্ষেপের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি৷

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো এই দাবি সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি৷ তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জে চীনের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনো সংশয় নেই৷ জাতীয় স্বার্থে সেখানে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা যেতেই পারে৷ তবে কোনো দেশ এই পদক্ষেপের লক্ষ্য নয়৷ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, যারা আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখাচ্ছে না, তাদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই৷

আগামী জুলাই মাসে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে মার্কিন নেতৃত্বে একাধিক দেশের নৌবাহিনীর যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত হবার কথা৷ কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, চীনকে প্রথমে তাতে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানালেও সে দেশের পদক্ষেপের ফলে সেই আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করা হতে পারে৷ উল্লেখ্য, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে চীনা নৌবাহিনী এই মহড়ায় যোগ দিয়েছিল৷

এদিকে এক মার্কিন প্রতিনিধিদল বাণিজ্য নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ মেটাতে বেইজিং-এ আলোচনা চালাচ্ছে৷ কিছু বিষয়ে অগ্রগতি হলেও বিরোধ মেটানোর ক্ষেত্রে কোনো বড় সাফল্যের আশা করছে না কোনো পক্ষ৷ চীনের সরকারি সংবাদ মাধ্যমের মতে, বিরোধ মেটাতে দুই পক্ষকেই আপোশ মেনে নিতে হবে৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য