1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাল্টা তোপ দাগল চীন

৬ জুন ২০১৩

চীনে তৈরি সোলার প্যানেলের উপর শাস্তিমূলক কর বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ জবাবে ইউরোপীয় ওয়াইন রপ্তানিতে সরকারি ভরতুকির ব্যাপারটা খতিয়ে দেখবে বলে ঘোষণা করেছে চীন৷

https://p.dw.com/p/18kLI
--FILE--Chinese inspectors check arrays of solar panels at a photovoltaic power plant in Xiji town, Zaozhuang city, east Chinas Shandong province, 26 December 2012. Clean energy took up more than a fifth of Chinas power consumption as the country boosted the use of hydro and wind power, according to official data. China consumed 1.07 trillion kilowatt-hours of power generated from clean sources such as hydro, nuclear, wind and solar last year, up 28.5 percent from 2011, the State Electricity Regulatory Commission said. The clean sources accounted for 21.4 percent of the nations total power use last year, up from 17.5 percent in 2011, the SERC said. Hydro power remained the biggest clean source of energy, rising 29.3 percent to 864.1 billion kWh. As of the end of 2012, China had installed hydropower capacity totaled 249 million kilowatts, a rise of 6.8 percent from a year earlier. Meanwhile, solar power soared 414.4 percent to 3.5 billion kWh to be the fastest growing sector. Wind power capacity rose 31.6 percent to 60.83 million KW, while solar capacity surged 47.8 percent to 3.28 million KW as the government boosted subsidies to the solar sector.
ছবি: picture-alliance/dpa

এটাতে ঠিক ‘টিট ফর ট্যাট' বলা চলে না, কেননা চীনের পাল্টা চাল অনেকটা পাকা দাবাড়ুর মতো হলো৷ চীনে তৈরি সোলার প্যানেলের উপর বাড়তি শুল্ক বসলে লাভবান হবে জার্মানির মতো দেশ৷ অথচ জার্মানি ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে বসে আছে যে, তারা সোলার প্যানেলের ক্ষেত্রেও চীনা পণ্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিরোধী৷ চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কোচিয়াং-এর সাম্প্রতিক জার্মানি সফরে সেটা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷

‘ঘোড়া সামলাও!

সৌরশক্তির ক্ষেত্রে একাধিক বড় জার্মান কোম্পানি – যেমন সোলার ওয়ার্ল্ড – ব্রাসেলসে চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পিছনে ছিল৷ কিন্তু জার্মানি চীনে অন্যান্য বহু পণ্য রপ্তানি করে থাকে, যেমন রাসায়নিক৷ কাজেই সব মিলিয়ে চতুর্দিক বিবেচনা করেই বার্লিনকে তার অবস্থান ঠিক করতে হয়েছে৷ ওদিকে জার্মানি ইউরোপে চীনের বৃহত্তম বাণিজ্যিক সহযোগী; এছাড়া বেইজিং-এ বলা হয়ে থাকে যে, ব্রাসেলসকে দিয়ে যদি কোনো কাজ করিয়ে নিতে চাও, তাহলে আগে বার্লিনে যাও৷ কাজেই চীন তার পাল্টা চাল ভাবার সময় সন্তর্পণে উত্তর ইউরোপের দেশগুলিকে বাদ দিয়ে আগে দক্ষিণ ইউরোপকে এক হাত নিয়েছে৷

চীনে সুরা রপ্তানি করে থাকে প্রধানত ফ্রান্স ও ইটালি৷ তারাই এবার চিন্তায় পড়বে, জার্মানি নয়৷ জার্মানি তো ইতিমধ্যেই ব্রাসেলসে চাপ সৃষ্টি করে চীনা সোলার প্যানেলের উপর শাস্তিমূলক করের পরিমাণ কম করে এনেছে: আদতে যা ভাবা হয়েছিল, সেই গড়ে ৪৭ শতাংশের তুলনায় প্রাথমিকভাবে মাত্র ১১ দশমিক ৮ শতাংশ৷ সব পক্ষই যে নিজের নিজের স্বার্থের কথা ভাবছে, তা যেমন স্পষ্ট, তেমনই স্বাভাবিক৷ আসল পরিস্থিতি তো কারো অজানা নয়৷ চীন থেকে যে সোলার প্যানেল বেচা হয়, তার দাম ধরা হয় অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদনের খরচের চেয়েও ৮০ শতাংশ নীচে: যাকে প্রাইস ডাম্পিং ছাড়া আর কিছু বলা চলে না৷ এবং এটা সম্ভব একমাত্র সরকারি ভরতুকি থাকলে৷

যত গর্জে তত বর্ষে না

তার ডাম্পিং-বিরোধী এবং ভরতুকি-বিরোধী নীতি অনুযায়ি ইউরোপীয় ইউনিয়ন চীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য ছিল৷ কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন তো শুধু একটি দেশ কিংবা অর্থনীতি নয়৷ বৈঠকখানার রাজনীতি আর অন্দরমহলের রাজনীতির মধ্যেও ফারাক থাকে৷ কাজেই ইইউ-কে এমনভাবে এগোতে হচ্ছে যা-তে বেইজিং সেই অন্তর্নিহিত বার্তাটি পায়৷ বেইজিং-এরও একই মনোভাব, একই বার্তা৷ চীন বলছে: ভরতুকি তো আমরা একা দিই না; বাণিজ্য যুদ্ধেও আমাদের বিশেষ আগ্রহ নেই৷ অর্থাৎ এবার শুরু হবে আপোশের খোঁজ, যা-তে দু'পক্ষেরই মুখরক্ষা হয়৷

জার্মানির অর্থনীতি মন্ত্রী ফিলিপ রোয়েসলার ইতিমধ্যেই একটি সতর্ক প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় পুনরায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ডাক দিয়েছেন এবং ব্যাপকতর বাণিজ্য লড়াইয়ের বিপদ সম্পর্কে সাবধান করে দিয়েছেন৷ রোয়েসলার বলেছেন একটি ‘‘ন্যায্য নির্মাণকাঠামোর'' কথা – অর্থাৎ এমন একটি আপোশ যা-তে দু'পক্ষই লাভবান হয়৷ চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একদিকে যেমন তাদের আলাপ-আলোচনায় আগ্রহের কথা বলছে, অপরদিকে তেমন হুমকি দিচ্ছে, তারা নাকি দেশি সুরা শিল্পের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছে; ইউরোপ থেকে ওয়াইন আমদানি সম্প্রতি অতি দ্রুত হারে বেড়েছে, ইত্যাদি৷

©PHOTOPQR/LE PARISIEN/Olivier Corsan ; 28/05/2013 Issy-Les-Moulineaux (92) France La Présidence de la République a décidé de vendre aux enchères chez Drouot prochainement une partie des bouteilles de vin de la cave du Palais de l'Elysée. En attendant la vente par les Commissaires Priseurs Kapandji Morhange, les potentiels acheteurs peuvent voir les flacons dans la cave du Chemin des Vignes à Issy-Les-Moulineaux Issy-Les-Moulineaux the 28th on May 2013 Elysée Palace to auction 10th of wine cellar
চীনে সুরা রপ্তানি করে থাকে প্রধানত ফ্রান্স ও ইটালিছবি: picture-alliance/dpa

কথাটা সত্যি বৈ মিথ্যে নয়৷ চীন গতবছর ৪৩ কোটি লিটার ওয়াইন আমদানি করে, তার দুই-তৃতীয়াংশ ইউরোপ থেকে৷ চীনের শুল্ক বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ি এক ফ্রান্স থেকেই আসে ১৭ কোটি লিটার ওয়াইন৷ ওদিকে ২০১২ সালে ফ্রান্সের মোট সুরা রপ্তানির ৯ শতাংশ, যার মূল্য প্রায় ১০০ কোটি ইউরো, গেছে চীনে৷ কিন্তু চীনা সুরা প্রস্তুতকারকদের অভিযোগ দৃশ্যত স্পেন থেকে আমদানি করা অতি সস্তা ওয়াইনের কারণে৷

এসি/ডিজি (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য