1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীন এবং পাকিস্তানের মধ্যে বন্ধুত্ব বজায় রাখার অঙ্গীকার

১৮ মে ২০১১

চীন আর পাকিস্তান সুসময় এবং দুঃসময়ে তাদের বন্ধুত্ব বজায় রাখার অঙ্গীকার করেছে৷ চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি বুধবারে বেইজিংয়ে বৈঠক করে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/11Iwk
ওয়েন জিয়াবাও এবং ইউসুফ রাজা গিলানি (ফাইল ফটো)ছবি: picture alliance/dpa

বেইজিংয়ের গ্রেট হলে গিলানির সঙ্গে বৈঠকে বসার আগে ওয়েন, গিলানিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান৷ সরকারি সিনহুয়া বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, দুই নেতা আলোচনায় বসার আগে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, ভালো খারাপ সব সময়েই দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক টিকে থাকবে৷ সরকারি টেলিভিশনে গিলানির বরাত দিয়ে বলা হয়, তিনি ওয়েনকে বলেন, ‘‘চীন পাকিস্তানের বিশ্বস্ত বন্ধু৷'' এবং সবসময়কার কৌশলগত অংশীদার৷ বার্তা সংস্থাটি আরো জানায়, ওয়েন গিলানিকে বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তান অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে এবং একই সঙ্গে তাকে অনেক স্বার্থত্যাগও করতে হয়েছে৷'' ওয়েন বলেন, পাকিস্তানে পুনর্গঠন এবং সবধরণের সমর্থন অব্যাহত রাখবে চীন৷ একই সঙ্গে বাণিজ্য, অর্থনৈতিক এবং কারিগরি খাতে চীনা বিনিয়োগকেও উৎসাহিত করা হবে৷

বৈঠকের পর ওয়েন এবং গিলানি কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে সই করেন৷ যার মধ্যে প্রতিরক্ষা, ব্যাংকিং এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়গুলো রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

Pakistan Ministerpräsident Yusuf Raza Gilani
গিলানি ওয়েনকে বলেন, ‘‘চীন পাকিস্তানের বিশ্বস্ত বন্ধু৷''ছবি: picture alliance/dpa

এর আগে গিলানি সোমবারে উল্লেখ করেন, পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে মার্কিন বিশেষ বাহিনী ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করার পরে চীনই প্রথম দেশ যে পাকিস্তান সরকারের প্রতি তাদের ‘‘সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করেছে''৷ তবে সরকারি চায়না ডেইলিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তানের মধ্যেকার সম্পর্কে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে সমর্থন চাইতেই গিলানির এই চীন সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

এদিকে বিন লাদেনকে হত্যার পরে পাকিস্তানে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে৷ বুধবারেও পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশওয়ারের বাইরে একটি নিরাপত্তা চৌকিতে ৭০ জনেরও বেশি জঙ্গি সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে ৷ তাদের কাছে রকেট এবং মর্টারও ছিল৷ ঐ হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ২ জন সদস্য এবং ১৫ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷ চলতি মাসে মার্কিন বিশেষ বাহিনী ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তানে হত্যা করার পরে এটা সর্বশেষ জঙ্গি হামলা৷ নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের ঐ তুমুল লড়াই চার ঘন্টা স্থায়ী হয়৷ শহরের পুলিশ কর্মকর্তা এজাজ খান জানান, ‘‘তারা ছিল সশস্ত্র৷ তাদের কাছে রকেট. মর্টারসহ অত্যন্ত ভারী অস্ত্রশস্ত্র ছিল৷ এবং লড়াই প্রায় সারে চার ঘন্টা স্থায়ী হয়৷'' আফগান সীমান্ত সংলগ্ন পাকিস্তানের উপজাতীয় অঞ্চলে ঐ হামলা চালিত হয়৷ অঞ্চলটি আইন শৃঙ্খলা বহির্ভূত এলাকা হিসেবেই পরিচিত৷

প্রতিবেদন:ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা:আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য