1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চুক্তিহীন ব্রেক্সিট নয়: ব্রিটিশ সংসদ

১৪ মার্চ ২০১৯

একের পর এক প্রস্তাবের মাধ্যমে ব্রিটিশ সংসদ ব্রেক্সিটের প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে৷ তবে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিরোধিতা করলেও বিকল্পের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া যাচ্ছে না৷ ইইউ সিদ্ধান্তের দায় ব্রিটেনের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3F06n
ব্রিটেনের সংসদে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে
ছবি: picture-alliance/AP/M. Duffy

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে মঙ্গলবার দ্বিতীয়বারের জন্য সংসদে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করতে ব্যর্থ হয়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বুধবার চুক্তিহীন ব্রেক্সিট সম্পর্কে সংসদের রায় জানতে চেয়েছিলেন৷ সরকার সেই মর্মে এক প্রস্তাব পেশ করেছিল৷ তাতে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, ২৯শে মার্চ ব্রিটেন চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বিচ্ছেদ চায় কিনা৷ কিন্তু বিরোধীরা সেই প্রস্তাবে রদবদল ঘটিয়ে শুধু ২৯শে মার্চ নয়, অন্য কোনো তারিখেও চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন৷

তবে বাস্তবে ব্রিটিশ সংসদে প্রতীকী এই ভোটাভুটির কোনো প্রতিফলন ঘটবে না৷ কারণ সরকার ও ইইউ স্পষ্ট করে দিয়েছে, যে শুধু চুক্তিহীন ব্রেক্সিট চাইলেই হবে না৷ সেই লক্ষ্যে সুস্পষ্ট পদক্ষেপও নিতে হবে৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্য কোনো সমাধানসূত্র সম্পর্কে ঐকমত্য না হলে ব্রিটিশ ও ইইউ আইন অনুযায়ী ব্রিটেন ২৯শে মার্চ ইইউ ত্যাগ করবে৷ এবার সংসদ সদস্যদের সেই বিকল্প খুঁজে বার করতে হবে৷ মোটকথা সংসদ সদস্যরা যে সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, সেগুলির পরিণতিও তাঁদের সামলাতে হবে৷

ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে কিনা, বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংসদে সেই প্রশ্ন রাখা হবে৷ তবে সেই প্রস্তাব অনুমোদন হলেও সংকট কাটবে না৷ কারণ ইইউ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া ব্রেক্সিটের মেয়াদ বাড়ানোর সম্ভাবনা কম৷ কোনো সমাধানসূত্র কার্যকর করার লক্ষ্যে কয়েক মাসের জন্য ব্রেক্সিটে বিলম্ব ঘটানো যেতে পারে৷ অথবা ব্রিটেনে বর্তমান অচলাবস্থা কাটাতে ঐকমত্যের স্বার্থে দীর্ঘমেয়াদি বিলম্বও গ্রহণযোগ্য হতে পারে৷ ইইউ আবার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, চুক্তি নিয়ে আলোচনার আর কোনো অবকাশ নেই৷ এক্ষেত্রে কোনো রকম পদক্ষেপ নেবার আগে ব্রিটেনকে জানাতে হবে, সে দেশ কী চায়৷

এমন অচলাবস্থার প্রেক্ষাপটে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের আশঙ্কা আরও বেড়ে গেলেও একটি সমাধানসূত্রের কথা শোনা যাচ্ছে৷ একের পর এক বিকল্প হাতছাড়া হবার ফলে কট্টর ব্রেক্সিটপন্থিরা ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ছেন৷ এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের তৃতীয় প্রচেষ্টা নিতে পারেন৷ আগামী ২০শে মার্চ সেই প্রস্তাব পেশ করা হতে পারে৷ তবে কট্টরপন্থিদের মধ্যে অনেকে এখনো ব্রেক্সিট চুক্তির বিরোধিতায় অটল রয়েছেন৷ ইইউ শীর্ষ বৈঠকের ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করতে ব্যর্থ হলে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নাও থাকতে পারে৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)