1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চুপিসারে ব্রেক্সিটের সমাধানসূত্রের সন্ধানে জনসন

১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

জার্মানির এক সংবাদপত্রের সূত্র অনুযায়ী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ইইউ-র সঙ্গে বোঝাপড়ার লক্ষ্যে গোপনে এক সমাধানসূত্র প্রস্তুত করছেন৷ এদিকে ইইউ পার্লামেন্ট ব্যাকস্টপ ছাড়া ব্রেক্সিট চুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3PqtS
ইইউ কমিশন প্রেসিডেন্ট জঁ ক্লোদ ইয়ুংকার ও প্রধান ব্রেক্সিট মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ে
ছবি: picture-alliance/AP Photo/J.-F. Badias

ব্রেক্সিটকে ঘিরে অচলাবস্থা কাটার কোনো আশার আলো দেখছে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ বুধবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এক ভাষণে ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ-ক্লোদ ইয়ুংকার এ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন৷ সোমবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, বোঝাপড়ার জন্য হাতে বেশি সময় নেই৷ তাই চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের ঝুঁকি অত্যন্ত বাস্তব৷ তবে ব্রাসেলস এমন পরিস্থিতি এড়াতে যাবতীয় চেষ্টা করবে, বলেন ইয়ুংকার৷ তবে সাফল্যের আশা কম বলে তিনি মনে করেন৷ জনসনের সঙ্গে সংলাপের প্রসঙ্গে ইয়ুংকার বলেন, আইরিশ সীমান্তে ব্যাকস্টপ ব্যবস্থার সঙ্গে তাঁর কোনো আবেগের সম্পর্ক নেই৷ কিন্তু সেই ব্যবস্থার আসল লক্ষ্য পূরণের প্রশ্নে তিনি গভীরভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছেন৷ তিনি আবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে স্পষ্ট, কার্যকর ও লিখিত বিকল্প প্রস্তাব পেশ করার ডাক দেন৷

ব্যাকস্টপ বা তার গ্রহণযোগ্য বিকল্প ছাড়া কোনো ব্রেক্সিট চুক্তি যাতে সম্ভব না হয়, সেই লক্ষ্যে বুধবার ইইউ পার্লামেন্ট এক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে৷ ইইউ-র প্রধান ব্রেক্সিট মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের ভয়াবহ পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন৷ ইইউ পার্লামেন্টে ব্রিটেনের ব্রেক্সিটপন্থি সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা বলতে চান না বটে, কিন্তু এর পরিণতি আরও অনেক বেশি গুরুতর ও সংখ্যায় আরও হতে চলেছে৷'' সেইসঙ্গে আলোচনার ভান না করে দৃঢ়তার সঙ্গে আন্তরিকভাবে এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবার ডাক দেন বার্নিয়ে৷

জনসন বার বার বিকল্পের ক্ষেত্রে অগ্রগতির কথা বললেও এখনো পর্যন্ত ব্রাসেলসে কোনো প্রস্তাব পেশ করেন নি৷ তবে জার্মানির ‘স্যুডডয়চে সাইটুং' সংবাদপত্রের সূত্র অনুযায়ী ব্রিটিশ সরকার গোপনে এক সমাধানসূত্র প্রস্তুত করেছে৷ এর আওতায় ব্রেক্সিটের পরেও শুধু উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রদেশে ইইউ-র অনেক নিয়ম কার্যকর থাকবে৷ গোটা আয়ারল্যান্ড দ্বীপের জন্য এক অর্থনৈতিক এলাকার ব্যবস্থা করে আইরিশ সীমান্তে অচলাবস্থা এড়ানো সম্ভব হবে৷ কিন্তু এই মুহূর্তে কৌশলগত কারণে জনসনের পক্ষে সেই প্রস্তাব প্রকাশ্যে পেশ করা সম্ভব নয়, কারণ সে ক্ষেত্রে কট্টর ব্রেক্সিটপন্থিরা প্রবল বিরোধিতা শুরু করতে পারে৷ ১০ দিন পর টোরি দলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে৷ তার আগে এই ঝুঁকি নিতে চাইছেন না প্রধানমন্ত্রী৷ সরকারের জোটসঙ্গী উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডিইউপি দলও প্রবল আপত্তি জানাতে পারে৷

ডিইউপি দলের নেতা আর্লেন ফস্টার বুধবার আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিন সফর করেন৷ তিনি বলেন, সমাধানসূত্র পেতে হলে দুই পক্ষকেই নমনীয় হতে হবে৷ উত্তর আয়ারল্যান্ডে শান্তি ফেরাতে ১৯৯৮ সালে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, সেটির মধ্যেও প্রয়োজনীয় রদবদল করতে হবে৷ ইউরোপীয় একক বাজার অটুট রাখতে ফস্টার এমনকি শুধু উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রদেশের জন্য আলাদা সমাধানসূত্রের প্রস্তাব উড়িয়ে দেন নি৷ তবে ব্রিটেনের নিজস্ব একক বাজার অটুট রাখার অঙ্গীকার করেন তিনি৷ ফস্টার আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকারের সঙ্গেও আলোচনা করেন৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)