1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চেচনিয়া’র সংসদ ভবনে জঙ্গি হামলায় নিহত ৮

১৯ অক্টোবর ২০১০

মঙ্গলবার রাশিয়ার চেচনিয়া’র সংসদ ভবনে জঙ্গি আক্রমণের সহিংস ঘটনায় তিনজন নিরাপত্তা রক্ষী, একজন সাধারণ নাগরিক সহ ৪ হামলাকারী নিহত হয়েছে৷ চেচনিয়ার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের বরাতে এ’খবর জানা গেছে৷

https://p.dw.com/p/PhQb
হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনীর সতর্ক অবস্থানছবি: AP

জানা গেছে, গ্রীনিচ সময় ভোর ৫টার দিকে জঙ্গিরা সংসদ ভবন আক্রমণ করে৷

চেচনিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং ক্রেমলিন সমর্থনপুষ্ট চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই সংসদ ভবনে অবস্থানরত সবাইকেই নিরাপদ অবস্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ এদিকে রাশিয়ার ফেডারেল গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, এ ঘটনায় ৪ জন হামলাকারী নিহত হয়েছে৷ তবে এখনও পর্যন্ত মোট হতাহতের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছে তারা৷

জানা গেছে, ভবনের যে অংশটিতে স্পিকার অবস্থান করছিলেন, হামলাকারীরা সেখানে আক্রমণ চালালেও স্পিকার ডুকুভাখা আবদুরাখমানভকে একটি সুরক্ষিত সামরিক যানে করে নিরাপদেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ তিনি সুস্থ আছেন৷ যদিও স্পিকারের একজন সহকারী আহত হয়েছেন বলেই খবর পাওয়া গেছে৷ আক্রমণের পরপরই চেচনিয়ার প্রেসিডেন্ট দৃঢ়চিত্ত এবং কঠোর হিসেবে খ্যাত রমজান কাদিরভ নিজে উপস্থিত থেকে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে এই অভিযানটি পরিচালনা করেন৷ উল্লেখ্য, রমজান নিজেও একসময় বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী ছিলেন৷

অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট রমজানের ব্যক্তিগত আগ্রহে এবং তাঁর নেতৃত্বে পরিচালিত এই বিশেষ অভিযানে অংশ নিয়েছিল মন্ত্রণালয়ের বিশেষ একটি বাহিনী, দাঙ্গা পুলিশ, চেচেনিয়ার প্রেসিডেন্টের বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা৷

রাশিয়ার দ্বন্দবিক্ষুব্ধ ককেশাস অঞ্চল চেচনিয়ার এই সহিংস ঘটনাটি সম্পর্কে সংবাদমাধ্যম এর আগে জানিয়েছিল, এই সহিংস ঘটনার শুরুতে দুইজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী নিজেকে বিস্ফোরিত করলে উপস্থিত দুজন সাধারণ নাগরিক ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান৷

উল্লেখ্য, সোভিয়েতের পতনের পর থেকেই ক্রেমলিনকে উত্তর ককেশীয় অঞ্চলের এই সহিংস আন্দোলনের মুখোমুখি হতে হয়েছে৷ ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধের পর, ১৯৯৯ সালের দিকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীরা আবারো একটি পৃথক ইসলামি রাষ্ট্রের লক্ষ্যে দ্বিতীয় দফা যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল৷

চেচনিয়ার প্রেসিডেন্ট রমজান নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কঠোর উদ্যোগ নেওয়ার পর থেকে এই সহিংসতার মাত্রাটি কমে এসেছিল৷ কিন্তু ২০০০ সালের দিকে এই সহিংসতার এই উত্তাপ খানিক কমে এলেও বিদ্রোহীরা ককেশীয় অঞ্চলের অনত্র ছড়িয়ে পড়েছিল৷ দক্ষিণপন্থী দলগুলো অবশ্য রমজানের এই কঠোর দমন নীতির সমালোচনাই করে থাকেন৷

প্রতিবেদন: হুমায়ূন রেজা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক