1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চেরনোবিল দুর্ঘটনার ৩০ বছর

২৬ এপ্রিল ২০১৬

আজ থেকে ৩০ বছর আগে ইউক্রেনের চেরনোবিলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটে৷ এখনও সেই অঞ্চলকে নিরাপদ করার কাজ চলছে৷

https://p.dw.com/p/1IceJ
চেরনোবিলে ইস্পাতের কাঠামো
ইস্পাতের এই কাঠামো দিয়ে চেরনোবিলের একটি চুল্লি নিরাপদ করার কাজ চলছেছবি: picture-alliance/dpa/A. Stein

চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রে চারটি পারমাণবিক চুল্লি ছিল৷ এর মধ্যে তিনটি থেকে ১৯৮৬ সালের দুর্ঘটনার ১৬ বছর পরও ব্যবহৃত পরমাণু জ্বালানি নির্গত হয়েছে৷ চতুর্থ চুল্লিতে এখনও ২০০ টন ইউরেনিয়াম আছে৷ ঐ চুল্লিকে ঘিরে থাকা কাঠামো অনেক পুরনো হওয়ায় যে কোনো সময় ভেঙে পড়ে আরেকটি দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে৷ ফলে চুল্লিটিকে চারদিক থেকে ইস্পাতের তৈরি গম্বুজাকৃতির একটি কাঠামো দিয়ে ঘিরে দেয়ার কাজ চলছে৷ ২০১০ সালে শুরু হওয়া এই কাজ শেষ করতে ২৫ হাজার টন ইস্পাত ব্যবহৃত হবে৷

এছাড়া চারটি চুল্লিতে থাকা ব্যবহৃত পরমাণু জ্বালানি নিরাপদে রাখতে নতুন একটি সংরক্ষণ কাঠামো তৈরি করা হবে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই কাজে ৮৭.৫ মিলিয়ন ইউরো দেয়ার অঙ্গীকার করেছে৷ কাজটি বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিচ্ছে ‘ইউরোপিয়ান ব্যাংক ফর রিকন্সট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট' (ইবিআরডি)৷ সংস্থার প্রধান সুমা চক্রবর্তী জানান, ‘‘এটি ইউক্রেন তথা বিশ্বের নাগরিকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প৷''

তবে ভূগর্ভে লোহার বাক্সে করে বিষাক্ত পদার্থ সংরক্ষণ করে রাখতে ইউক্রেনের এখনও ১৫ মিলিয়ন ইউরো প্রয়োজন৷

চেরনোবিল দুর্ঘটনায় ঠিক কতজন প্রাণ হারিয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷ ২০০৫ সালে জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা চার হাজার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে৷ তবে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিসের দাবি, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা কম বলা হয়েছে৷

সোভিয়েত ইউনিয়নের সাবেক নেতা মিখাইল গর্বাচেভ একসময় বলেছিলেন, তাঁর মনে হয় সোভিয়েত ইউনিয়নের কফিনে অন্যতম মূল পেরেক ছিল চেরনোবিল৷ উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যায়৷

চেরনোবিল দুর্ঘটনার কারণে সোভিয়েত ব্যবস্থার দূর্বলতাগুলো বিশ্বের সামনে উন্মুক্ত হয়েছিল৷ বিশেষ করে ঐ সরকারের প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও তথ্য গোপন করে রাখার সংস্কৃতি বিশ্ববাসী জানতে পেরেছিল৷ যেমন চেরনোবিল দুর্ঘটনার পর ঐ এলাকা খালি করার নির্দেশ আসতে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা লেগেছিল৷ সোভিয়েত প্রচারমাধ্যমেও সেই সময় নিয়ন্ত্রিতভাবে দুর্ঘটনার খবর প্রচারিত হয়েছিল৷

দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে আজ ইউক্রেনে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷

Living in the dead zone

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য