এ মন্তব্য নতুন দিল্লির বন্ধু সুভাষ চক্রবর্তীর৷ তাঁর কথায়, ‘‘লাইপসিশ, যে শহর থেকে সাবেক দুই জার্মানির পুনর্মিলনের সূচনা হয়েছিল – শীর্ষক পরিবেশনাটি পড়ে লাইপসিশ শহরের সমকালীন ইতিহাস ও সাবেক জার্মান গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের সরকারি রাষ্ট্র সুরক্ষা পরিষেবা ‘স্টাসি'-র কর্মকাণ্ড সম্বন্ধে কিছুটা ধারণা পেয়ে গেলাম৷ প্রতিবেদনের নীচের ইন্টারনেট লিঙ্ক খুলে লাইপসিশ শহর সম্পর্কে আরও তথ্যও দেখে নেবার সুযোগ পেয়ে ভালো লাগলো৷ মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে আলোচনায় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জর্ডান, মিশর ও ব্রিটেনের মনোভাব সম্পর্কে অবগত হলাম৷ সুভাষ চক্রবর্তী, নতুন দিল্লি, ভারত৷''
-
চলে যেতে যেতে দিন বলে যায়
চিরবিদায় ‘নাইটিঙ্গেল অফ বলিউড’
ভারতের গণমাধ্যমগুলো জানায়, চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এ শিল্পী৷ সম্প্রতি তার অবস্থার উন্নতিও হচ্ছিল৷ কিন্তু শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২) হঠাৎ তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে৷ রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ১২ মিনিটে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি৷
-
চলে যেতে যেতে দিন বলে যায়
জন্ম
১৯২৯ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে একটি মারাঠি পরিবারে জন্ম লতা মঙ্গেশকরের৷ বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর ছিলেন শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী এবং মঞ্চ অভিনেতা৷ বাবার কাছে হাতেখড়ি হওয়ার পর ওস্তাদ আমানত আলী খাঁ সাহেবের কাছে সংগীত শিক্ষা হয় তাঁর৷
-
চলে যেতে যেতে দিন বলে যায়
প্লেব্যাক জীবনের শুরু
১৯৪৩ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে মারাঠি ছবি গজবহুর মাধ্যমে প্লেব্যাক জীবনের শুরু তাঁর৷ এরপর ভারতের ৩৬টি আঞ্চলিক ভাষাসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি৷
-
চলে যেতে যেতে দিন বলে যায়
বাংলা গান গাওয়া
১৯৫৯ সালে সলিল চৌধুরীর পরিচালনায় প্রথম বাংলা গানে কণ্ঠ দেন লতা মঙ্গেশকর৷ গানটি ছিল ‘না যেওনা, রজনী এখনো বাকি৷’ সলিল চৌধুরীর সুরে এরপর অনেক জনপ্রিয় গান গেয়েছেন তিনি৷ তাঁর গাওয়া রঙ্গিলা বাঁশিতে, ও মোর ময়না গো, সাত ভাই চম্পা – এই গানগুলি এখনো জনপ্রিয়তার শীর্ষে৷
-
চলে যেতে যেতে দিন বলে যায়
মধুবালা থেকে প্রীতি জিনতা
২০ বছর বয়সে মহল ছবিতে যিনি মধুবালার জন্য গেয়েছিলেন অমর সেই গান, ‘আয়েগা আনেওয়ালা’, ৪৪ বছর বয়সে ডিম্পল কাপাডিয়ার জন্য তিনি ববি ছবিতে গাইলেন, ‘হাম তুম এক কামরেমে বন্দ হো’, ৬৯ বছর বয়সে একই শিল্পী যব পেয়ার কিসিসে হোতা হ্যায় ছবিতে ডিম্পলের মেয়ে টুইঙ্কেল খান্নার জন্য গাইলেন, ‘মদহোশ দিল কি ধড়কন’, ৭৫ বছর বয়সে বীরজারা ছবিতে প্রীতি জিনতার জন্য অবলীলায় গেয়ে দিলেন, ‘তেরে লিয়ে হাম জিয়ে!’
-
চলে যেতে যেতে দিন বলে যায়
আশা ভোঁসলে
ছোট বোন আশা ভোঁসলে একসময় ছিলেন লতার ছায়াসঙ্গী৷ আশার স্বামী রাহুল দেব বর্মনের পরিচালনায় অনেক জনপ্রিয় গান গেয়েছেন তিনি৷ এগুলোর মধ্যে ‘মেরে ন্যায়না শাওন ভাদো’, ‘বাহো মে চালে আ’ এখনো সবার মুখে মুখে৷
-
চলে যেতে যেতে দিন বলে যায়
অভিনেত্রী লতা
পুরোদমে সঙ্গীত শিল্পী হওয়ার আগে এবং পরেও ছবিতে অভিনয় করেছেন লতা মঙ্গেশকর৷ শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে আটটি এবং তারপর মাত্র একটি গানের দৃশ্যের জন্য একটি ছবিতে৷
-
চলে যেতে যেতে দিন বলে যায়
পুরস্কার
২০০১ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ভারতরত্ন দেয়া হয় তাঁকে৷ জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ৩ বার, ফিল্মফেয়ার পুরস্কার চারবার৷ এছাড়া পদ্মভূষণ, দাদাসাহেব ফালকে, রাজীব গান্ধী পুরস্কারসহ অজস্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি৷
-
চলে যেতে যেতে দিন বলে যায়
ক্রিকেটের ভক্ত
ক্রিকেটের দারুণ ভক্ত লতা মঙ্গেশকর৷ তাঁর জন্য একটা বিশেষ আসন বরাদ্দ রয়েছে লর্ডসে৷
-
চলে যেতে যেতে দিন বলে যায়
কেন বিয়ে করলেন না?
জবাবে লতাজী সবসময়ই বলে থাকেন, ‘‘গান গাইতে গাইতে আর সংসারের কথা ভাবতে ভাবতে বিয়ে করার সময়টা পেলাম কই!’’
-
চলে যেতে যেতে দিন বলে যায়
সঙ্গীত অনুসরণ করে তাঁকে
লতাজীর বন্দনা করতে গিয়ে পরিচালক যশ চোপড়ার বলেছিলেন, ‘সব শিল্পী সংগীতকে অনুসরণ করে, আর সংগীত অনুসরণ করে লতাকে৷’
-
চলে যেতে যেতে দিন বলে যায়
নেহেরুর কান্না
চীন-ভারত যুদ্ধের সময় এক অনুষ্ঠানে ‘অ্যায় মেরি ওয়াতন কে লোগো’ গানটা শুনে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু অঝোরে কেঁদে ফেলেছিলেন৷
-
চলে যেতে যেতে দিন বলে যায়
বিশ্ব রেকর্ড
১৯৭৪ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গান রেকর্ড করার জন্য তাঁর নাম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এ স্থান পায়৷ এ সময় তিনি প্রায় ৩০,০০০ গান রেকর্ড করেছিলেন৷ বিভিন্ন সূত্রের দাবি, বর্তমানে তাঁর গানের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার৷
পরের ই-মেলে মতামত জানিয়েছে পাঠক বারিক৷ তাঁর বক্তব্য: ‘‘জার্মান সংস্কৃতির কিছু অজানা তথ্য নিয়ে আপনাদের ছবিঘর আমার হৃদয় ও মন ছুঁয়ে গেছে৷ প্রতিটি দেশেরই বোধ হয় কিছু বিষয় থাকে, যেগুলো বিদেশিদের কাছে নতুন বা অন্যরকম মনে হয়৷ জার্মানিও সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়৷ জার্মান সংস্কৃতির কিছু মজার তথ্য নিয়ে এই ছবিঘর৷ চমৎকার লেখনীর মাধ্যমে জার্মান সংস্কৃতির কিছু তথ্য আমার কাছে দারুণ মনে হয়েছে৷ তাই আজ আমি ডয়চে ভেলের একজন নিয়মিত পাঠক হিসাবে গর্বিত৷ ইউরোপের সাংস্কৃতিক জীবনের নানা দিকের ব়্যাংকিং হচ্ছে ‘ইউরোপ লিস্ট'৷ জার্মানির গ্যোটে ইন্সটিটিউট ৩০টি দেশের ২২ হাজার মানুষের মতামতের ভিত্তিতে তৈরি করেছে এই তালিকা৷ এই ভাবেই ‘ইউরোপের যা কিছু নজর কাড়ে' শিরোনামে প্রতিবেদনটিতে ফুটে উঠেছে ইউরোপের সাংস্কৃতিক জীবনের নানা চিত্র৷
পাঠক বারিক তিনি আরো জানিয়েছেন, ‘‘আঙুর ফলের রয়েছে অনেক গুণ৷ আঙুর খান, সুন্দর থাকুন৷ ‘আঙুর স্বাস্থ্যের জন্য এত ভালো কেন?' – এই প্রশ্ন শিরোনামে আপনাদের প্রতিবেদনটি আমার বেশ ভালো লাগলো৷ এ ফলের উপকারিতা এবং চমৎকার তথ্য আমাকে মুগ্ধ করেছে৷
-
আঙুর স্বাস্থ্যের জন্য এত ভালো কেন?
দেবতার রক্ত
সম্ভবত আঙুর প্রথম এসেছে কৃষ্ণসাগরীয় অঞ্চল থেকে৷ তবে আজকাল বেশিরভাগ আঙুর আসে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল থেকে৷ প্রাচীন গ্রিকদের কাছে পাঁচ হাজার বছর আগে থেকে আঙুরের তৈরি ওয়াইনকে ‘দেবতার রক্ত’ বলা হতো, যা আজও প্রতীকি চিহ্ন বহন করে৷
-
আঙুর স্বাস্থ্যের জন্য এত ভালো কেন?
আঙুরের বাগান
জার্মানিতে প্রচুর আঙুরের বাগান রয়েছে৷ সারা বিশ্বে যত রকম গাছের চাষ করা হয়, সেগুলোর মধ্যে আঙুর সবচেয়ে পুরনো৷
-
আঙুর স্বাস্থ্যের জন্য এত ভালো কেন?
সুন্দর ফল আঙুর
আঙুর শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, খেতেও সুস্বাদু ফল৷ তবে হালকা সবুজ রংয়ের আঙুর থেকে লাল বা গাঢ় সবুজ রংয়ের আঙুরে বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে৷ আঙুরে ভিটামিন সি তেমন না থাকলেও আঙুর ইনফেকশন থেকেও রক্ষা করতে সাহায্য করে৷ গরমকালে যথেষ্ট আঙুর খেলে শীতকালেও সুস্থ থাকা যায় – এমনটাও শোনা যায়৷
-
আঙুর স্বাস্থ্যের জন্য এত ভালো কেন?
আঙুর খেয়ে ওজন কমান
সপ্তাহ দুয়েক প্রতিদিন বিচি ও খোসাসহ ২ কেজি আঙুর আর সাথে যথেষ্ট পরিমাণে পানি বা গ্রিন চা পান করলে কয়েক কেজি ওজন কমানো সম্ভব৷ তবে সে আঙুর হতে হবে অবশ্যই কোনো রকম কেমিকেল ছাড়া পুরোপুরি অর্গানিক উপায়ে চাষ করা৷ আঙুরের বড় গুণ – শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের দেয়৷
-
আঙুর স্বাস্থ্যের জন্য এত ভালো কেন?
আঙুরে রয়েছে প্রচুর ফাইবার
আঙুরের খোসা এবং বিচিতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার, যা মানুষের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে৷ আঙুরে অনেক বেশি পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় যা শরীরের বাড়তি পানি কমিয়ে প্রয়োজনীয় পানির ভারসাম্য রক্ষা করতে ভূমিকা পালন করে৷
-
আঙুর স্বাস্থ্যের জন্য এত ভালো কেন?
আঙুর থেকে তৈরি ‘রেড ওয়াইন’
আমাদের সংস্কৃতিতে মদ খাওয়ার প্রচলন নেই, মদ শুনলেই অনেকে আঁতকে ওঠেন৷ এদেশে ডাক্তার বা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, সামান্য পরিমাণে রেড ওয়াইন খাওয়া খুবই ভালো৷ অর্থাৎ প্রতিদিন রাতে আধাগ্লাস থেকে একগ্লাস রেড ওয়াইন খেলে তা হার্ট ভালো রাখতে এবং শরীরের রক্ত চলাচলও ঠিক রাখতে সাহায্য করে৷ বলা বাহুল্য, রেড ওয়াইন তৈরি করা হয় আঙুর থেকেই৷
-
আঙুর স্বাস্থ্যের জন্য এত ভালো কেন?
অ্যান্টি এজিং
শুধু গ্রিন টি বা সবুজ চা নয়, আঙুরও তারুণ্য ধরে রাখতে এবং রূপ লাবণ্য বাড়তে সাহায্য করে৷ শুধু তাই নয় আঙুর ক্যানসার সেলগুলোর বৃদ্ধি কমাতেও সাহায্য করে থাকে৷ আঙুর খান, সুন্দর থাকুন৷
লেখক: নুরুননাহার সাত্তার
এমন চমৎকার প্রতিবেদনের জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ৷ প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য এবং ছবিসহ প্রতিবেদন সব মিলিয়ে ডয়চে ভেলে একটি অসাধারণ প্লাটফর্ম, যাতে কোনো কিছুই বাদ পড়ে না৷ পৃথিবী থেকে মঙ্গলগ্রহ, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া – সবই আপনাদের ওয়েবসাইটে বিশেষ গুরুত্বের সাথে স্থান পায়, যা পড়ে আমার মতো পাঠকের হৃদয় ও মন জুড়ায়৷ ‘
ধূমকেতুর পুলক' শিরোনামে মহাকাশের খবর আমার দারুণ লেগেছে৷ জানতে পেরেছি ধূমকেতু থেকে বিস্ময়কর তথ্য বিজ্ঞানীদের জন্য অপেক্ষা করছে৷ এমএ বারিক, ভাটরা, সিহালী, শিবগঞ্জ, বগুড়া, বাংলাদেশ৷''
- মতামত পাঠানোর জন্য ধন্যবাদ দু'জনকে৷ আর শুভেচ্ছা সবার জন্য৷ ভালো থাকবেন, সাথে থাকবেন৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ