1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ছাড়পত্র পেলো ইউরোপের ‘মন্ত্রিসভা', সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ

২৮ নভেম্বর ২০১৯

ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নতুন ইউরোপীয় কমিশনকে ছাড়পত্র দিয়েছে৷ ১লা নভেম্বর থেকে কমিশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করছেন উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন৷ তিনি কমিশনের নীতিমালা তুলে ধরেছেন৷

https://p.dw.com/p/3Ts1C
ইউরোপীয় কমিশনের নতুন প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন
ছবি: AFP/F. Florin

একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে বেশিদিন নেতৃত্বহীন হয়ে থাকা যে বাঞ্ছনীয় নয়, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ ছিল না৷ বুধবার শেষ বাধা অতিক্রম করে নতুন ইইউ কমিশন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের কাছ থেকে যাত্রা শুরু করার ছাড়পত্র পেলো৷ ফলে আগামী ১লা ডিসেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েনের নেতৃত্বে ২৬ জন কমিশনরের ‘মন্ত্রিসভা' কার্যভার গ্রহণ করবে৷ উল্লেখ্য, ইউরোপীয় কমিশনই এই রাষ্ট্রজোটের নির্বাহী শাখা৷ সদ্য গঠিত ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও সদস্য রাষ্ট্রগুলির পরিষদের পাশাপাশি এই ‘মন্ত্রিসভা' গুরুত্বপূর্ণ নীতি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করে থাকে৷

ইইউ কমিশনের নতুন প্রেসিডেন্ট জার্মানির উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন ইইউ পার্লামেন্টে তাঁর কার্যকালের রূপরেখা তুলে ধরেন৷ তিনি সমাজ ও অর্থনীতির সব অংশে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেন৷ বিশ্বমঞ্চে ইইউ-র আরো সক্রিয় ভূমিকার অঙ্গীকার করেন তিনি৷ সেইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা করতে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন পুরোপুরি বন্ধ করতে আইনসিদ্ধ অঙ্গীকার করতে চান জার্মানির প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী৷ ইউরোপে ডিজিটাল অবকাঠামো আরো মজবুত করার লক্ষ্য স্থির করেছেন ফন ডেয়ার লাইয়েন৷ সময় নষ্ট না করে সবাই মিলে কাজে নামা উচিত বলে মনে করেন তিনি৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের জটিল অথচ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে এবারের কমিশন গঠনের কাজ একাধিক বাধার মুখে পড়েছে৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রধান দলগুলির মধ্যে দরকষাকষির ফলে মূল প্রার্থীদের মধ্যে কেউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য যথেষ্ট সমর্থন পাননি৷ অবশেষে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী হিসেবে ফন ডেয়ার লাইয়েনের নাম উঠে আসে৷ নিয়ম অনুযায়ী তিনি প্রত্যেক সদস্য দেশ থেকে একজন করে কমিশনর বা ‘মন্ত্রী'-দের যে তালিকা স্থির করেন, সেটির মধ্যে তিন জন পার্লামেন্টের অনুমোদন পাননি৷ নিয়ম অনুযায়ী ব্রিটেন শেষ পর্যন্ত কোনো প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করেনি৷ এমন সব জটিলতার কারণে ১লা নভেম্বরের বদলে ১লা ডিসেম্বর কমিশন কার্যভার গ্রহণ করতে পারছে৷

গত নির্বাচনের পর ইউরোপীয় পার্লামেন্টে রাজনৈতিক সমীকরণ অনেকটা বদলে গেছে৷ প্রধান দুই শিবিরের ক্ষমতা অনেক কমে গেছে৷ ফলে একাধিক শিবিরের মধ্যে ঐকমত্য ছাড়া কমিশনের পক্ষে অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে৷ রক্ষণশীল, সমাজতন্ত্রী ও উদারপন্থি শিবির এ ক্ষেত্রে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে৷ কিছু ক্ষেত্রে শক্তিশালী সবুজ দলের সহযোগিতারও প্রয়োজন হবে৷

জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি অভিবাসনের বিষয়টিও নতুন কমিশনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে চলেছে৷ সাম্প্রতিক কালের শরণার্থী সংকটের পর ইইউ-র অভিবাসন প্রণালীর আমূল সংস্কারের জন্য চাপ বাড়ছে৷ উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরেছেন৷ একদিকে প্রকৃত শরণার্থীদের আশ্রয়ের পাশাপাশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে তিনি কাজ করতে চান৷ ব্রেক্সিট, চীন ও অ্যামেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সংঘাতের মতো বিষয়ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামনে চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে বলে তিনি মনে করেন৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এপি)