ছয় হাজার হজযাত্রী দেশে ফেরেনি
৩০ ডিসেম্বর ২০১০হাইকোর্টের রায়
সব পত্রিকাতেই বেশ ভালভাবে এসেছে খবরটি৷ অনেক পত্রিকা এটাকেই আজকের প্রধান খবর হিসেবে ছেপেছে৷ এবং তাদের শিরোনাম মোটামুটি একই৷ ‘এরশাদের বিচার হওয়া উচিত' হাইকোর্টের এই মন্তব্যকেই শিরোনাম করেছে বেশিরভাগ পত্রিকা৷ ডেইলি স্টার এ ব্যাপারে এরশাদের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল৷ কিন্তু এরশাদ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি৷ তবে বলেছেন রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন৷ এদিকে কালের কণ্ঠ প্রতিক্রিয়া ছেপেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের৷ তাঁরা সবাই গণতন্ত্রের স্বার্থে এরশাদের বিচার চেয়েছেন৷ তবে বিএনপি বলছে হাইকোর্ট নিজে যদি এরশাদের বিচারের উদ্যোগ নেয় তাহলেই কেবল বিচার হতে পারে৷ আর আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বলেছেন, সরকার চাইলে বিচার করতেও পারে, আবার নাও পারে৷
ভিক্ষাবাণিজ্য
খুবই ভয়ংকর একটা খবর৷ প্রথম আলো, সমকাল আর ডেইলি স্টারে বেশ গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়েছে খবরটি৷ সমকালের প্রতিবেদন বলছে, একটি চক্র কৌশলে শিশুদের ধরে এনে তাদের হাত-পা, মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে পঙ্গু বানায়৷ এরপর তাদেরকে ঢাকার বিভিন্ন ভিখারির কাছে ভাড়া দেয়৷ এভাবে চক্রটি লাখ লাখ টাকা আদায় করে৷ ব়্যাব এখন পর্যন্ত এই চক্রের মাত্র একজনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে৷ প্রথম আলোর প্রতিবেদনে আরও লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়া হয়েছে৷ যেমন আট-নয় বছরের এক শিশুকে অ্যালুমিনিয়ামের পাতিলের ভেতর জড়সড় করে আটকে রাখা হয়েছিল টানা ছয় মাস৷ এসময় খাবার দেয়া হতো দিনে একবার৷ তাও সেটা সামান্য ভাত অথবা রুটি আর পানি৷ এতে করে দিনে দিনে কঙ্কালসার হয়ে পড়ে শিশুটি৷ এরপর তাকে ভাড়া দেওয়া হয় ভিক্ষাবৃত্তিতে৷
হজযাত্রীর দেশে না ফেরা
প্রথম আলোতে ছাপা হয়েছে খবরটি৷ এবছর হজ করতে যাওয়াদের মধ্যে প্রায় ছয় হাজার হজযাত্রী আর দেশে ফিরে আসেননি৷ ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এমন সংবাদই দিয়েছে পত্রিকাটি৷ মন্ত্রণালয় এদেরকে বলছে ‘নিখোঁজ'৷ হজ নয়, এসব হজযাত্রীর উদ্দেশ্য ছিল কাজের সন্ধানে সৌদি আরবে পাড়ি জমানো, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে৷ প্রথম আলো বলছে, গত দুবছর ধরে এধরনের ঘটনা ঘটছে৷ তবে এবারের সংখ্যা অনেক বেশি৷
গ্রন্থনা: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই