1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ছয় হাজার হজযাত্রী দেশে ফেরেনি

৩০ ডিসেম্বর ২০১০

সংবিধানের সপ্তম সংশোধনী বাতিল করে দেয়া হাইকোর্টের রায়, শিশুদের বিকলাঙ্গ করে ভিক্ষা বাণিজ্য, হজ যাত্রীদের দেশে না ফেরা- এসবই আজকের ঢাকার প্রধান খবর৷

https://p.dw.com/p/zrJa
ছবি: AP

হাইকোর্টের রায়

সব পত্রিকাতেই বেশ ভালভাবে এসেছে খবরটি৷ অনেক পত্রিকা এটাকেই আজকের প্রধান খবর হিসেবে ছেপেছে৷ এবং তাদের শিরোনাম মোটামুটি একই৷ ‘এরশাদের বিচার হওয়া উচিত' হাইকোর্টের এই মন্তব্যকেই শিরোনাম করেছে বেশিরভাগ পত্রিকা৷ ডেইলি স্টার এ ব্যাপারে এরশাদের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল৷ কিন্তু এরশাদ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি৷ তবে বলেছেন রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন৷ এদিকে কালের কণ্ঠ প্রতিক্রিয়া ছেপেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের৷ তাঁরা সবাই গণতন্ত্রের স্বার্থে এরশাদের বিচার চেয়েছেন৷ তবে বিএনপি বলছে হাইকোর্ট নিজে যদি এরশাদের বিচারের উদ্যোগ নেয় তাহলেই কেবল বিচার হতে পারে৷ আর আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বলেছেন, সরকার চাইলে বিচার করতেও পারে, আবার নাও পারে৷

ভিক্ষাবাণিজ্য

খুবই ভয়ংকর একটা খবর৷ প্রথম আলো, সমকাল আর ডেইলি স্টারে বেশ গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়েছে খবরটি৷ সমকালের প্রতিবেদন বলছে, একটি চক্র কৌশলে শিশুদের ধরে এনে তাদের হাত-পা, মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে পঙ্গু বানায়৷ এরপর তাদেরকে ঢাকার বিভিন্ন ভিখারির কাছে ভাড়া দেয়৷ এভাবে চক্রটি লাখ লাখ টাকা আদায় করে৷ ব়্যাব এখন পর্যন্ত এই চক্রের মাত্র একজনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে৷ প্রথম আলোর প্রতিবেদনে আরও লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়া হয়েছে৷ যেমন আট-নয় বছরের এক শিশুকে অ্যালুমিনিয়ামের পাতিলের ভেতর জড়সড় করে আটকে রাখা হয়েছিল টানা ছয় মাস৷ এসময় খাবার দেয়া হতো দিনে একবার৷ তাও সেটা সামান্য ভাত অথবা রুটি আর পানি৷ এতে করে দিনে দিনে কঙ্কালসার হয়ে পড়ে শিশুটি৷ এরপর তাকে ভাড়া দেওয়া হয় ভিক্ষাবৃত্তিতে৷

হজযাত্রীর দেশে না ফেরা

প্রথম আলোতে ছাপা হয়েছে খবরটি৷ এবছর হজ করতে যাওয়াদের মধ্যে প্রায় ছয় হাজার হজযাত্রী আর দেশে ফিরে আসেননি৷ ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এমন সংবাদই দিয়েছে পত্রিকাটি৷ মন্ত্রণালয় এদেরকে বলছে ‘নিখোঁজ'৷ হজ নয়, এসব হজযাত্রীর উদ্দেশ্য ছিল কাজের সন্ধানে সৌদি আরবে পাড়ি জমানো, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে৷ প্রথম আলো বলছে, গত দুবছর ধরে এধরনের ঘটনা ঘটছে৷ তবে এবারের সংখ্যা অনেক বেশি৷

গ্রন্থনা: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই