1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জনগণের পয়সায় ব্যাংকারদের ফূর্তি

২০ মে ২০১০

আর্থিক দুর্ভোগ শুধু যেন সাধারণ নাগরিকদের জন্য৷ বিশ্বব্যাপী মন্দার জন্য দায়ী ব্যাংকগুলোকে বাঁচাতে সাধারণ করদাতাদের কাছ থেকে অর্থ নেয়া হয়েছে৷ কিন্তু যেসব ব্যাংক কর্মী এর জন্য দায়ী, তাঁরা রীতিমত বহাল তবিয়তেই আছেন৷

https://p.dw.com/p/NSQr
ফাইল ফটোছবি: picture-alliance/ dpa

আর্থিক মন্দা কাটাতে ব্রিটিশ সরকার গত বছর ব্যাংক কর্মীদের বোনাসের উপর যে কর নির্ধারণ করেছিল, ব্যাংকগুলো তা কর্মীদের উপর না চাপিয়ে, নিজেদের ঘাড়ে নিয়ে নিয়েছে৷ আর এটা সম্ভব হয়েছে সরকারের কাছ থেকে বাড়তি অর্থ পাওয়ার জন্য৷ অর্থনীতি বাঁচাতে সরকারের এছাড়া আর কোনো উপায় ছিলনা৷ কিন্তু সরকার এই অর্থ পেলো কোথা থেকে? উত্তর খুবই সোজা – সাধারণ করদাতাদের কাছ থেকে৷ অর্থাৎ দোষ করলো ব্যাংকাররা, কিন্তু কষ্ট পোহালো সাধারণ করদাতারা৷

আর এখনতো অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে৷ তাই ব্যাংকারদের আয়ও বাড়ছে৷ এইতো ফেব্রুয়ারীতে করা একটি জরিপে দেখা যাচ্ছে যে, এবছর ব্যাংকারদের বোনাস বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ৷ অনেকের আবার বেতনও বেড়েছে৷ আর তাইতো লন্ডনের অভিজাত দোকানগুলোর সামনে এখন দেখা যাচ্ছে মার্সিডিজ আর আলফা রোমিও গাড়ির ছড়াছড়ি৷ দোকানগুলোতে নিমেষেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে দামী রোলেক্স ঘড়ি আর দামী ব্র্যান্ডের সব স্যুট৷ দোকান মালিকদের কথা থেকেও স্পষ্ট তা৷

এদিকে ব্যাংকগুলোকে বাঁচাতে বাড়তি অর্থ দেয়ায় যে বাজেট ঘাটতি হয়েছে, তা কমাতে ব্রিটেনের নতুন সরকারকে গ্রিসের মতো না হলেও মোটামুটি একটা ব্যয় সংকোচ নীতি গ্রহণ করতে হবে৷ আগামী মাসের ২২ তারিখে যে বাজেট পেশ হতে যাচ্ছে সেখানে এ বিষয়ে বক্তব্য থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ গত ৩০ বছরের মধ্যে এবারের বাজেটেই সবচেয়ে বেশি ব্যয় সংকোচের কথা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ ইংল্যান্ডের নতুন বাণিজ্যমন্ত্রী ভিন্স কেবল্ ব্যাংক কর্মী সহ ধনিক শ্রেণির উপর চড়াও হওয়ার কথা বলছেন৷ তবে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন আর অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবর্ণ ধনী পরিবার থেকে আসায় বাণিজ্যমন্ত্রীর সে আশায় গুড়ে বালি হতে পারে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন