1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘জনসন ফ্যানটাস্টিক ম্যান, কর্বিন ভালো নয়'

১ নভেম্বর ২০১৯

ব্রিটেনের নির্বাচনের আগে ডনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি প্রধানমন্ত্রী জনসনের পক্ষে সওয়াল করলেন৷ বিরোধী নেতা কর্বিন ও ব্রেক্সিট চুক্তির কড়া সমালোচনাও করেছেন তিনি৷ কর্বিন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনেছেন৷

https://p.dw.com/p/3SKB8
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: Reuters/J. Ernst

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক রেডিও সাক্ষাৎকারে কোনো রাখঢাক না করে ব্রিটেনের নির্বাচনে বিভিন্ন দলের নেতাদের সম্পর্কে নিজের রায় দিলেন৷ ব্রেক্সিট পার্টির প্রধান ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত নাইজেল ফারাজ নিজে সেই সাক্ষাৎকার নিয়েছেন৷ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে ‘ফ্যানটাস্টিক ম্যান' বলে প্রশংসা করেন ট্রাম্প৷ বাকিরা যা করতে পারে না, জনসন সেটাও করতে চান বলে তিনি মনে করেন৷ ট্রাম্প বলেন, বর্তমান সময়কালের জন্য জনসন আদর্শ মানুষ৷

ট্রাম্প এ প্রসঙ্গে ফারাজকে জনসনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন৷ তিনি বলেন, সে ক্ষেত্রে তাঁদের যৌথ শক্তি ‘অদম্য' হবে৷ ফারাজ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে আশ্বস্ত করে বলেন, তিনি জনসনের পেছনেই থাকবেন৷ তবে তার পূর্বশর্ত হিসেবে জনসনকে ব্রেক্সিট চুক্তি পরিত্যাগ করতে হবে৷ ফারাজ আবার চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের পক্ষে সওয়াল করেন৷ তিনি জনসনের সঙ্গে নির্বাচনে বোঝাপড়ার উদ্যোগ নিয়েও এখনো পর্যন্ত কোনো সাড়া পান নি৷

ট্রাম্প নিজেও সেই সাক্ষাৎকারে ব্রেক্সিট চুক্তির সমালোচনা করেছেন৷ তাঁর মতে, এর ফলে অ্যামেরিকা ও ব্রিটেনের মধ্যে বাণিজ্যের সম্ভাবনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না৷ ইইউ-র সঙ্গে চুক্তি না থাকলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য পাঁচ থেকে ছয় গুণ বাড়তে পারে বলে তিনি ইঙ্গিত করেন৷ তবে এমন ধারণার পেছনে কোনো তথ্য-পরিসংখ্যানের উল্লেখ করেননি ট্রাম্প৷ জনসনের প্রশংসা করেও তাঁর উদ্যোগে স্বাক্ষরিত ব্রেক্সিট চুক্তির সমালোচনা করে মার্কিন প্রেসিডেন্টআদৌ তাঁকে সাহায্য করতে পারলেন কিনা, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে যাচ্ছে৷

ব্রিটেনের লেবার দলের নেতা জেরেমি কর্বিন সম্পর্কে অত্যন্ত কড়া মন্তব্য করেন ট্রাম্প৷ তাঁর মতে, নির্বাচনে কর্বিনের জয় হলে তা ব্রিটেনের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে৷ ট্রাম্প বলেন ‘‘তিনি আপনাদের খারাপ পথে নিয়ে যাবেন৷'' ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পর জেরেমি কর্বিন এক টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ব্রিটেনের নির্বাচনে সরাসরি হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টার অভিযোগ করেন৷ তাঁর মতে, বন্ধু জনসনকে নির্বাচনে জয়লাভ করাতে ট্রাম্প এমন মন্তব্য করছেন৷ উল্লেখ্য, কর্বিন ভোটারদের বার বার সতর্ক করে দিয়ে দাবি করছেন, যে জনসন নির্বাচনে জিতলে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য পরিষেবা কাঠামো মার্কিন বেসরকারি কোম্পানিগুলির হাতে চলে যাবে৷ ট্রাম্প অবশ্য এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷

ব্রিটেনের জনমত প্রাভাবিত করার অভিযোগ শুধু ট্রাম্পের বিরুদ্ধেই আনা হচ্ছে না৷ তাঁর পূর্বসুরি বারাক ওবামা ব্রেক্সিট সংক্রান্ত গণভোটের আগে ব্রিটেনের মানুষকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে থেকে যাবার পরামর্শ দিয়েছিলেন৷ তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, অ্যামেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি করতে হলে ব্রিটেনকে বাকিদের পেছনে দাঁড়াতে হবে৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)