জর্জ ফ্লয়েড হত্যা: শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা দোষী
২০২০ সালে মিনেয়াপোলিসে আফ্রো-অ্যামেরিকান জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শওভিন৷ কয়েক দশক জেল খাটতে হতে পারে তাকে৷
দোষী সাব্যস্ত
মিনেয়াপোলিসের রাস্তায় ২০২০ সালের ২৫ শে মে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শওভিনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে মার্কিন আদালত৷
হাঁটু গেড়ে বসা
এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল জর্জ ফ্লয়েডকে গ্রেফতারের সময় তার গলার উপর নয় মিনিটেরও বেশি সময় ধরে হাঁটু গেড়ে বসেছিলেন ডেরেক শওভিন৷
তিনটি অভিযোগ
শওভিনকে তিনটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়: সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডার, থার্ড ডিগ্রি মার্ডার এবং নরহত্যা৷ রায়ে পৌঁছাতে ১২ সদস্যের বিচারকের প্যানেল পুরো একদিন সময় নেন৷ এর আগে তিন সপ্তাহ ধরে চলে বিচারকাজ৷
৪০ বছরের কারাদণ্ড
ডেরেকের শাস্তি এখনো ঘোষণা হয়নি৷ তবে তার কয়েক দশকের জেল হতে পারে৷ শাস্তি ঘোষণার আগ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে থাকতে হবে তাকে৷ ফ্লয়েডকে হত্যার সময় উপস্থিত বাকি তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিচার শুরু হবে আগস্টে৷
রায়ে উচ্ছ্বাস
রায় ঘোষণার পর আদালতের বাইরে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়৷ ফ্লয়েডের পরিবারের আইনজীবী এই রায়কে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার মত একটি ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন৷
অবশেষে ন্যায়বিচার
রায় ঘোষণার পরই ফ্লয়েড পরিবারকে টেলিফোন করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস৷ বাইডেন বলেন, ‘‘জানি, এই রায়ে আপনাদের পরিবারের তেমন কোন লাভ হয়ত হলো না, কিন্তু কিছুটা ন্যায়বিচার অন্তত হলো৷’’ টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বাইডেন বলেন, ‘‘পদ্ধতিগত বর্ণবাদ পুরো জাতির আত্মার উপর একটি কলঙ্ক৷’’
জর্জ ফ্লয়েড নামে বিল
কমলা হ্যারিস এরইমধ্যে আইন প্রণেতাদের জর্জ ফ্লয়েড নামে একটি বিল পাসের নির্দেশ দিয়েছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ ব্যবস্থায় সংস্কার আনবে৷
বারাক ওবামার বিবৃতি
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন৷ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বর্ণবাদ রুখতে এবং আনতে আরো অনেক কাজ করতে হবে৷ এখানে অনেক মানুষ আছেন, যারা প্রতিদিন আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে প্রাণ হারানোর ভয়ে থাকেন৷
এমন রায় খুব কম
এর আগে খুব কম সংখ্যক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নরহত্যার অভিযোগ এসেছে এবং এদের মধ্যে অল্প কয়কেজনকেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে৷
ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার
জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ এবং বর্ণবাদী বিক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল৷ বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছিলো পুরো বিশ্বে৷