1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলবায়ু পরিবর্তন: শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১৫ মার্চ ২০১৯

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সরকারগুলোর নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ করছে স্কুল শিক্ষার্থীরা৷ ‘ফ্রাইডে ফর ফিউচার' শিরোনামের এই উদ্যোগে ১৫ মার্চ রাস্তায় নামে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের ছেলে-মেয়েরা৷

https://p.dw.com/p/3F8J9
Fridays for future Schüler Schülerinnen Streik Schulstreik Klima Klimawandel Sydney
ছবি: AFP/Getty Images/S. Khan

শুক্রবার অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষ থেকে বেরিয়ে আসে৷ জলবায়ু পরিবর্তনে নিজেদের সরকারের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদ জানায় তারা৷ এসময় বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড বহন করে স্লোগান দিতে থাকে তারা৷

‘‘জলবায়ু পরিবর্তন ভলডেমর্টের চেয়েও ভয়াবহ'', ওয়েলিংটন থেকে আসা এক শিক্ষার্থী তার প্ল্যাকার্ডে লিখে আনে৷ জনপ্রিয় হ্যারি পর্টার সিরিজের বই ও চলচ্চিত্রের একটি দুষ্ট চরিত্রের নাম ভলডেমর্ট৷ আরেকজন লিখেছে, ‘‘জলবায়ু বদলে যাচ্ছে, আমরা কেন বদলাচ্ছি না৷'' কেউ মনে করে দিয়েছে ‘‘পৃথিবীর বাইরে আর কোনো দ্বিতীয় বিকল্প গ্রহ নেই৷''

ওয়েলিংটন থেকে মেলবোর্ন কিংবা সিডনি, বড়দের জন্য এমন হাজারো বার্তা নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে শিক্ষার্থীরা৷

সবচেয়ে বড় বিক্ষোভটি অনুষ্ঠিত হয়েছে পূর্ব অস্টেলিয়ার শহর মেলবোর্নে৷

নিউজিল্যান্ডে শিক্ষার্থীরা শুধু বিক্ষোভ করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা দেশটির প্রধানমন্ত্রী জ্যাকিন্দা আর্দার্ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত মন্ত্রী জেমস শ'র সাথেও দেখা করেছে৷ আয়োজকরা জানিয়েছে তারা আশ্বস্ত যে তাদের সরকার এ ব্যাপারে  কার্যকরি উদ্যোগ নেবে৷ 

তবে দুটি মসজিদে হামলার ঘটনায় দেশটির ক্রাইস্টচার্চে বিক্ষোভ কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করা হয়৷ শিক্ষার্থীরা এ সময় নিরাপদে ছিল বলে নিশ্চিত করেন সেখানকার মেয়র৷

সামনের দিনে ইউরোপ এশিয়ার বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীরা বড় আকারে এমন বিক্ষোভের আয়োজন করছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স৷

Fridays for future Schüler Schülerinnen Streik Schulstreik Klima Klimawandel Tokio
ছবি: Reuters/Kim Kyung-hoon

সমালোচনা

স্কুলের শিক্ষার্থীদের এমন কর্মসূচি নিয়ে অবশ্য সমালোচনাও আছে৷ শিক্ষার্থীদের দাবি তারা ভবিষ্যৎ এই সংকটের বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণের জন্য স্কুল থেকে বেরিয়ে আসছে৷

কিন্তু এমন কর্মসূচিকে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো অনেক দেশের রাজনীতিবিদই ভাল চোখে দেখছেন না৷ তাঁরা স্কুলের একটি দিন নষ্ট করার জন্য শিক্ষার্থীদের দায়ী করছেন৷

‘‘শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো নিয়ে স্কুল শেষে বা সপ্তাহান্তে কর্মসূচি চালানো উচিত,'' বিক্ষোভ আয়োজনকে সামনে রেখে এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষামন্ত্রী ডান তেহান৷ বিষয়টি নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছেন জার্মানির মুক্ত গণতন্ত্রী দল, এফডিপির নেতা ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার৷ টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘রাজনীতি পেশাদারদের জন্য৷''

চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল অবশ্য বিক্ষোভকারীদের পাশেই দাঁড়িয়েছেন৷ এটিকে ‘খুবই ভাল উদ্যোগ' হিসেবে তিনি অভিহিত করেছেন৷

আন্দোলনের শুরু যেভাবে

২০১৮ সালের আগস্টে ১৬ বছর বয়সি সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনব্যার্গ স্কুলের দিনে দেশটির সংসদ ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে প্রথম এই বিক্ষোভ শুরু করেন৷ পরে যা বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে৷ গত ডিসেম্বরে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে বক্তব্য দেয়ার পর গ্রেটার পরিচিতি সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়ে৷ নরওয়ের তিনজন আইনপ্রণেতা নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য তাঁর নাম প্রস্তাব করেছেন৷

এফএস/জেডএইচ (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য