1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রোমের জীবনে পরিবর্তন

বাস্টিয়ান হার্টিশ / জেডএইচ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৩

কম্বোডিয়ার কামপোট রাজ্যে বসবাসকারী প্রোমের বাড়িতে কিছুদিন হলো বিদ্যুতের লাইন এসেছে৷ সেই থেকে তাঁর জীবনে ঘটেছে অনেক পরিবর্তন৷ অর্থাৎ বলা যায়, সবে বিংশ শতাব্দীর সংস্পর্শে এসেছেন তিনি ও তাঁর পরিবার৷

https://p.dw.com/p/19lCW
ARCHIV - Fischer werfen ihre Netze in den Mekong am 18.03.2009 in der Nähe von Ban Nakasan, Laos. Trotz Baustopps wird an dem umstrittenen Staudamm Xayaburi in Laos nach Angaben einer Umweltschutzgruppe gearbeitet. Das Flussbett wurde vertieft und erweitert sowie eine Schutzmauer gebaut, berichtete die Organisation «International Rivers» am Mittwoch. Sie hatte die Baustelle nach eigenen Angaben vergangene Woche besucht. Die Firma habe dort im Januar zudem ein ganzes Dorf mit 300 Einwohnern umgesiedelt. Umweltschützer warnen vor einem Rückgang der Fischbestände, wenn das Wasser durch den Staudamm mit gedrosselter Geschwindigkeit fließt. Im fruchtbaren Mekong-Delta drohten Dürren. Fot: EPA/BARBARA WALTON (zu dpa 0506 vom 26.06.2012) +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

[No title]

প্রোমের জীবনে এত আনন্দের সুযোগ এনে দিয়েছে একটি বাঁধ, যেটা তাঁর বাড়ি থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷ এটা কম্বোডিয়ার সরকারের আটটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি, যেগুলো বাস্তবায়ন করছে কয়েকটি চীনা কোম্পানি৷

বিদ্যুৎ পেয়ে খুব খুশি প্রোম৷ তিনি বলছেন, ‘‘আমি খুব খুশি৷ এখন আমার একটা টিভি আছে এবং ইস্ত্রি করার সময় আর কয়লা ব্যবহার করতে হয় না৷ আমার সন্তানেরা দর্জির কাজ করে৷ তারাও এখন বৈদ্যুতিক সেলাই মেশিন ব্যবহার করতে পারে৷ সবকিছুই অনেক সহজ হয়ে গেছে৷''

জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের মাধ্যমে কম্বোডিয়া তার জ্বালানি সমস্যার সমাধান করতে চায়৷ কারণ দেশটি তার প্রয়োজনীয় জ্বালানির অধিকাংশই আমদানি করে, যার বেশিরভাগই হচ্ছে তেল৷

প্রোমের বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী কেন্দ্রটি কামচায় নদীর তীরে অবস্থিত৷ সেখান থেকে মূলত রাজধানী নম পেন-এ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়, যেখানে পনেরো লক্ষেরও বেশি লোকের বাস এখানে৷ কিন্তু বিদ্যুতের অভাব ও অধিক মূল্যের কারণে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ লোডশেডিং-ও অস্বাভাবিক নয়৷

কিন্তু বাঁধ তৈরিতে বিনিয়োগ ভালো উদ্যোগ কিনা, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন সে দেশের বিরোধী দলীয় নেতা সোন চায়৷ সরকার ও চীনা কোম্পানির বিরুদ্ধে তাঁর অনেক অভিযোগ৷ চায় বলেন, ‘‘প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয়েছে, যেন সরকারের কিছু দুর্নীতিপরায়ন কর্মকর্তা ও চীনা ব্যবসায়ীরা নিজেদের পকেটে কিছু ভরতে পারে৷ চীনারা এখানে দুর্নীতি করছে, আর কনট্র্যাক্টগুলো পেতে চীনা সরকারের প্রভাব খাটাচ্ছে৷ ফলে কম্বোডিয়ার অনেক প্রকল্পই যে অনেক বেশি ব্যয়বহুল হচ্ছে, সেটা পরিষ্কার৷''

পরিবেশকর্মী কং চিট-ও তাই মনে করেন৷ বিশেষ করে কম্বোডিয়ার আরেক রাজ্য কো কং-এ প্রস্তাবিত স্টুং টাটাই বাঁধের কারণে পরিবেশ ও এলাকার জনগণের কী পরিমাণ ক্ষতি হবে, তার হিসাব অনেক কম করে দেখানো হয়েছে বলে তাঁর বিশ্বাস৷

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বলছে, নতুন নতুন বাঁধ নির্মাণ কম্বোডিয়ার ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করতে পারবেনা৷ তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সব বড় বড় প্রকল্প থেকে কেউ যদি লাভবান হয়ে থাকে, তবে সেটা চীনা কোম্পানিগুলি৷