1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৮ অক্টোবর ২০১৩

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন৷ দেশের রাজনৈতিক সংকটকালে তাঁর এই ভাষণকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজসহ সব শ্রেণির মানুষ৷

https://p.dw.com/p/1A1fR
ছবি: picture-alliance/dpa

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন, এ খবর বৃহস্পতিবার বিকেলে নিশ্চিত করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ৷ আর এই খবর অনলাইন ও ইলেকট্রনিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর সব শ্রেণির মানুষের মনে একটিই প্রশ্ন – কী থাকবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে? তিনি দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট এবং নির্বাচন নিয়ে নতুন কি কিছু বলবেন?

দু'দিন আগেই দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রধানমন্ত্রী যে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন, তার ইঙ্গিত দেন৷ তখন তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর তাঁর ভাষণে আগামী নির্বাচনের তারিখ ও সময় স্পষ্ট করবেন৷ জানা গেছে, এর বাইরে তিনি চলমান রাজনৈতিক সংকট, সংলাপ এবং নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে তাঁর অবস্থান আবারো স্পষ্ট করবেন৷ তবে তাতে নতুন কোনো কথা শোনা যাবে কিনা তা জানা যায়নি৷

Putschplan gegen Hasina
ছবি: DW

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক৷ দেশে আগামী নির্বাচন নিয়ে যে রাজনৈতিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তাতে দেশের মানুষ উত্‍কন্ঠিত৷ ২৫শে অক্টোবর সরকার ও বিরোধী দল মুখোমুখি অবস্থান নিতে যাচ্ছে৷ তাই সংঘাত সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের মধ্য দিয়ে এই আতঙ্ক এবং উত্‍কন্ঠার যেন অবসান ঘটে, তা আশা করেন হাফিজ উদ্দিন খান৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘এখন দেশে সংকটের মূলে রয়েছে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা৷ সরকার ও বিরোধী দল এ নিয়ে দুই মেরুতে অবস্থান করছে৷ দেখা যাক প্রধানমন্ত্রী এই দূরত্ব কমাতে তাঁর ভাষণে কি বলেন৷''

Deutschland Bangladesch Ministerpräsidentin Sheikh Hasina in Berlin
ছবি: dapd

এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী এতদিন যে ভাষায় কথা বলেছেন তাতে তাঁর কাছে নতুন করে কিছু প্রত্যাশা করেনা বিএনপি৷ বিএনপি চূড়ান্ত আন্দোলনের মাধ্যমেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ ‘‘তবে প্রধানমন্ত্রী যদি দেশের মানুষের কল্যাণ চান, তাহলে তিনি তাঁর ভাষণের মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে পারেন৷ দেশের মানুষ এখন উত্‍কন্ঠার মধ্যে আছেন৷ তাঁরা জানেন না আদৌ নির্বাচন হবে কিনা৷ আর হলে তা কী ভাবে হবে,'' বলেন তিনি৷

ড. খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, বিএনপি কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবেনা৷ দেশের ৯০ ভাগ মানুষ এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়৷ তাই প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে দেশের মানুষের এই চাওয়ার প্রতি সম্মান দেখালে তা সবার জন্যই মঙ্গলজনক হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য