1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘জাতিসংঘের তদন্ত অনাবশ্যক’

১২ এপ্রিল ২০১৭

মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থায়ুং তুন বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর দেশটির নিরাপত্তা সদস্যদের নির্যাতনের অভিযোগ বিষয়ে জাতিসংঘ যে তদন্ত করতে চাইছে তা অনাবশ্যক এবং অগঠনমূলক৷

https://p.dw.com/p/2b87z
Bangladesch - Rohingya-Konflikt
ছবি: picture-alliance/AA/Z. Hossain Chowdhury

মঙ্গলবার জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও কূটনীতিকদের এই কথা বলেন তুন৷ তিনি বলেন, জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল তদন্ত করতে যে আন্তর্জাতিক মিশন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা পরিস্থিতি সামাল দিতে মিয়ানমারের উদ্যোগকে স্বীকৃতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে৷ তুন বলেন, সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের ‘সহায়তা দরকার, বাধা নয়'৷

ভোগান্তির শিকার রোহিঙ্গারা!

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের হত্যা, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া ও রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে৷ নিপীড়ন থেকে বাঁচতে ৭০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে চলে গেছে৷ আরও প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাড়িঘর ছেড়ে অন্য স্থানে চলে গেছে৷

মিয়ানমার সরকার অবশ্য এই অভিযোগ অস্বাকীর করে আসছে৷ নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি গত সপ্তাহে এক সাক্ষাৎকারে নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গা ‘নিধন' করছে, এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ বরং তিনি দাবি করেছেন, রাখাইন রাজ্যে ‘‘মুসলমানরাই মুসলমানদের হত্যা করছে৷''

সু চি বলেন, ‘‘আমি মনে করি না যে, সেখানে (রাখাইনে) জাতি নিধন করা হচ্ছে৷ আমার মতে, একটি জাতিকে নিধন করা হচ্ছে বলাটা, সেখানে যা হচ্ছে, অর্থাৎ (প্রকৃত) পরিস্থিতির তুলনায় অনেক বাড়িয়ে বলা৷''

রাখাইন রাজ্যের সমস্যা পর্যবেক্ষণে সরকার বেশ কয়েকটি কমিটি গঠন করেছে৷ কিন্তু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এসব কমিটির কাজ বিশ্বাসযোগ্য নয়, কারণ কমিটির সদস্যরা স্বাধীন নন৷

উল্লেখ্য, মিয়ানমারে দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান বসবাস করেন৷ সেদেশের সরকার এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করে আসছে৷ ফলে তারা কার্যত এক দেশহীন জাতিগোষ্ঠী, যারা মিয়ানমারের সাধারণ নাগরিকরা যেসব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন, তার অধিকাংশ থেকেই বঞ্চিত৷

জেডএইচ/এসিবি (এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য