1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বেআইনিভাবে আটক’ আসাঞ্জ?

৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

জাতিসংঘের প্যানেল যে রুলিং দিয়েছে, তাকে আমল দিতে রাজি নয় লন্ডন ও স্টকহোল্ম৷ উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান আসাঞ্জ যে ইকুয়েডর দূতাবাসে অবস্থান করছেন, তা ‘বেআইনি আটকের' সমতুল্য, বলেছে জাতিসংঘ৷

https://p.dw.com/p/1HqSW
ছবি: Reuters/N. Hall

ব্রিটেনের মতে জাতিসংঘের এই অভিমত ‘‘হাস্যকর''৷ ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব ফিলিপ হ্যামন্ড শুক্রবার প্যানেলের সিদ্ধান্তকে বাতিল করেন এই বলে যে, প্যানেলে যারা ছিলেন তারা আইনজীবী নন৷ তিনি আসাঞ্জকে প্রকাশ্যভাবে বলেছেন, তাঁর চার বছরের স্বেচ্ছান্তরীণ অবস্থার অন্ত ঘটিয়ে ‘‘সুইডেনে বিচারের মুখোমুখি হতে''৷

২০১০ সালে সুইডেন একটা আন্তঃ-ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে, আসাঞ্জের নামে একটি ধর্ষণের অভিযোগ আছে, এই কারণে৷ কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও হ্যাকার আসাঞ্জ ২০১২ সালে ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন এই আশঙ্কায় যে, সুইডেন তাঁকে উইকিলিকস-এর দরুণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করতে পারে৷

‘‘উনি যখন চান, বেরিয়ে আসতে পারেন৷ সত্যি কথা বলতে কি, এটা ওয়ার্কিং গ্রুপের একটা হাস্যকর সিদ্ধান্ত এবং আমরা তা প্রত্যাখ্যান করি'', বলেছেন ব্রিটিস ফরেন সেক্রেটারি৷ ব্রিটিশ ফরেন অফিসের বক্তব্য হলো, জাতিসংঘের প্যানেল বাস্তব তথ্য ও ‘‘ব্রিটিশ আইন ব্যবস্থার সুস্বীকৃত সুরক্ষা''-কে উপেক্ষা করেছে৷ এছাড়া ব্রিটেনের আসাঞ্জকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুইডেনে পাঠানোর একটা আইনগত দায়িত্ব রয়েছে৷

সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউএন প্যানেলকে লেখা একটি চিঠিতে শুক্রবার বলেছেন যে, স্টকহোল্ম ‘‘ওয়ার্কিং গ্রুপের একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের এই মূল্যায়নের সঙ্গে একমত নয়'' এবং ‘‘সুইডিশ সরকারি কর্তৃপক্ষের বিবেচনাধীন একটি মামলায় হস্তক্ষেপ'' করার অধিকার প্যানেলের নেই৷

‘আমার কথার যথার্থতা প্রমাণ হলো', বলেছেন আসাঞ্জ

সুইডেনে আসাঞ্জের উকিল টোমাস ওলসন বলেছেন যে, সুইডিশ কৌঁসুলিদের জাতিসংঘের রিপোর্টের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো উচিত – বিশেষ করে সুইডেন যদি চায় যে, অপরাপর দেশ জাতিসংঘের সুপারিশ মেনে চলুক৷

আসাঞ্জ শুক্রবার ফরাসি বেতারকে বলেন যে, জাতিসংঘের রুলিং যে তাঁর পক্ষে গেছে, সেটা ‘‘আমি গত পাঁচ বছর ধরে যা বলছি, তার যথার্থতা প্রমাণ করে''৷

ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়া বলেন যে, জাতিসংঘের প্যানেলের এই সিদ্ধান্ত এতো বছর পরে দেখিয়েছে যে, ‘‘আমরাই ঠিক''৷

সুইডেনের সরকারি কৌঁসুলির দপ্তর জানিয়েছে যে, আসাঞ্জকে ছাড় দেওয়া ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্পর্কে জাতিসংঘের প্যানেল যে সুপারিশ দিয়েছে, ‘‘সুইডিশ আইন অনুযায়ী চলতি তদন্তের উপর তার কোনো প্রক্রিয়াগত প্রভাব নেই''৷

আসাঞ্জ বৃহস্পতিবারেই জানিয়েছিলেন যে, জাতিসংঘ তাঁর বিরুদ্ধে রায় দিলে তিনি ব্রিটিশ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হতে রাজি৷ অপরদিকে তাঁর দাবি মতো তাঁর পাসপোর্ট ফিরে পাবার, অথবা তাঁকে গ্রেপ্তার করার প্রচেষ্টার অবসান ঘটারও সম্ভাবনা নেই বললেই চলে৷

এসি/ডিজি (এএফপি, এপি, রয়টার্স)

আসাঞ্জ কি সত্যিই পুলিশের হাতে ধরা দেবেন? আপনির কী মনে হয়?

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান