1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাতিসংঘ দপ্তরে হামলা আফগানিস্তানে, হত আট বিদেশি কর্মী

২ এপ্রিল ২০১১

আফগানিস্তানের মাজার এ শরিফে জাতিসংঘ দপ্তরে হামলা করে আট বিদেশি জাতিসংঘ কর্মীকে হত্যা করেছে বিক্ষোভকারীরা৷ বিক্ষোভের কারণ ছিল সুদূর ফ্লোরিডায় কোরাণ পোড়ানো৷

https://p.dw.com/p/10mFX
মাজার এ শরিফের জাতিসংঘ ভবন জ্বলছেছবি: dapd

কী ঘটেছে মাজার এ শরিফে

মাজার- ই- শরিফ শহরের জাতিসংঘ দপ্তরে শুক্রবার হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ফ্লোরিডায় কোরান পোড়ানোর প্রতিবাদে৷ বিক্ষোভ প্রথমদিকে শান্তিপূর্ণ ছিল বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা৷ তারপর অকস্মাৎ সেই বিক্ষোভ মারমুখী হয়ে ওঠে এবং জাতিসংঘ ভবনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়৷ আক্রান্ত হন নিরাপত্তা রক্ষী থেকে শুরু করে যাবতীয় কর্মীরাও৷ জাতিসংঘের মোট আটজন বিদেশী কর্মী এই নৃশংসতায় নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে জার্মান সংবাদসংস্থা ডিপিএ৷ এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে এক বিবৃতি দিয়েছেন আফগানিস্তানে জাতিসংঘের মুখপাত্র ড্যান ম্যাকনর্টন৷ তিনি বলেন, নিহতদের মধ্যে তিনজন ছিলেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক ‘উনামা’ কর্মীদলের সদস্য৷ নিহতদের মধ্যে একজন করে সুইডিশ এবং নরওয়েজিয় নাগরিক রয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশদুটির সরকার৷ নিহত সুইডেনের নাগরিক ইউয়াকিম ডুংগেলের বয়স সাতাশ এবং নরওয়ের ৫০ বছর বয়সী নিহত মহিলা বৈমানিকের নাম লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সিরি স্কারে৷ এছাড়াও এই হামলায় জাতিসংঘের ‘উনামা’ কর্মী এক রোমানিয় নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানান জাতিসংঘ মুখপাত্র৷ এছাড়াও জাতিসংঘ ভবনের নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে৷ এঁরা সকলেই নেপালের নাগরিক৷

UN Hauptquartier Mazar-i-Sharif Afghanistan Anschlag
এক আহত আফগানকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছে অন্যরা, মাজার এ শরিফে শুক্রবার৷ছবি: AP

কেন এই বিক্ষোভ

ফ্লোরিডার এক ধর্মযাজক টেরি জোনস গত বছর প্রথম হুমকি দেন ৯/১১ তারিখে তিনি কোরান পোড়াবেন৷ আন্তর্জাতিক আপত্তি এবং নানাবিধ পরিস্থিতির পর জোনস তাঁর সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখেন সে সময়ে৷ পরে গত একুশে মার্চ ওই টেরি জোনস-এর পরিচালনায় আরেক যাজক ওয়েইন স্যাপ কোরান পোড়ান ফ্লোরিডায়৷ এই ঘটনার মাধ্যমে ধর্মীয় অবমাননার প্রতিবাদেই বিক্ষোভ ক্রমশ সংঘবদ্ধ হয় আফগানিস্তানে৷ মাজার- ই- শরিফ ছাড়াও শুক্রবার আরও কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ দেখা গেছে৷ বিক্ষুব্ধদের একটি মিছিল পথে নেমেছিল রাজধানী কাবুলেও৷

হামলার তীব্র নিন্দা আন্তর্জাতিক মহল থেকে

জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের মতে, এই হামলা কাপুরুষোচিত৷ সম্পূর্ণ অকারণ ক্রোধজাত এই হামলার নিন্দা করেছেন বান কি মুন৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই হামলার নিন্দার জন্য কোন কঠোর শব্দই যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেছেন৷ ওবামা আফগানিস্তানে জাতিসংঘের উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, যুদ্ধবিদ্ধস্ত আফগানিস্তানের পূনর্গঠনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে জাতিসংঘই৷ তাদের ওপর এ জাতীয় হামলার অর্থ, দেশের উন্নতিকে বাধাগ্রস্ত করা৷

প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা