1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জানুয়ারিতে ভ্যাকসিন পেতে পারে অস্ট্রেলিয়া

৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

আগামী জানুয়ারি মাসেই অস্ট্রেলিয়ার হাতে আসতে পারে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক, জানালেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন৷

https://p.dw.com/p/3i7MN
ছবি: picture-alliance/Flashpic

অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট ও প্রধানমন্ত্রী সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান যে, আগামী জানুয়ারিতে করোনা প্রতিষেধকের প্রথম ব্যাচ পেতে পারে অস্ট্রেলিয়া৷ বর্তমানে এই প্রতিষেধকের বাস্তবায়নে অস্ট্রেলিয়া সরকার দু'টি গবেষণা দলের সাথে চুক্তিবদ্ধ৷

এরমধ্যে আছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও আস্ট্রাজেনেকা প্রতিষ্ঠানের দল আর অন্যদিকে, সিএসএল সংস্থার একটি দল, যারা কুইনসল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত৷

এই দু'টি দলই বর্তমানে করোনা প্রতিষেধকের কাজে উঠে-পড়ে লেগেছে এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী হান্টের মতে, এই দুই প্রতিষেধকই করোনা সংক্রমণের হাত থেকে প্রতিষেধকপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে বেশ কয়েক বছরের জন্য নিরাপদ রাখতে সক্ষম হবে, এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে৷

প্রতিষেধকের দৌড় কদ্দূর?

দ্বিতীয় ধাপের ক্লিনিকাল ট্রায়াল সাফল্যের সাথে পেরোলে, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে এই প্রতিষেধকের প্রায় ৪০ লাখ ডোজ এসে পৌঁছাবে অস্ট্রেলিয়ায়৷ এই মুহূর্তে, এই প্রতিষেধকের ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে ব্রাজিল, যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকায়৷

আস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ প্রচেষ্টায় ‘এজেড১২২২’ প্রতিষেধকটি বর্তমানে বিশ্বের করোনা প্রতিষেধক প্রস্তুতের দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে৷

একদিকে আস্ট্রাজেনেকা ও অন্যদিকে সিএসএল, দুটি প্রতিষেধক সাফল্যের মুখ দেখলে অস্ট্রেলিয়ার বাজারে আনতে সরকারের মোট খরচ হবে এক দশমিক ২৪ বিলিয়ন, অর্থাৎ ১২৪ কোটি মার্কিন ডলার (প্রায় ১০ হাজার ৫০০ কোটি বাংলাদেশি টাকা)৷

অস্ট্রেলিয়ায় করোনার গতি

সোমবার পর্যন্ত, অস্ট্রেলিয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৩২০জন, প্রাণ হারিয়েছেন ৭৬২জন৷

২৬ জুনের পর থেকে সোমবারই সবচেয়ে কম দৈনিক সংক্রমণ (২৪ ঘণ্টায় ৪৫টি নতুন সংক্রমণ) দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়ায়৷ এর মধ্যে, ৪১টি নতুন সংক্রমণই ছিল ভিক্টোরিয়া রাজ্যে৷

ভিক্টোরিয়ার রাজধানী মেলবোর্নে কড়া লকডাউন ধীরগতিতে নতুন সংক্রমণ কমালেও সেখানে কর্মসংস্থান হারাচ্ছেন অনেকে৷

এখন পর্যন্ত আড়াই লাখ মানুষ কাজ হারিয়েছেন সেখানে৷ কড়া লকডাউন এই সংখ্যা আরো বাড়াতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে৷

এসএস/এসিবি (রয়টার্স)