1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নাওটো ক্যান

৪ জুন ২০১০

সাবেক অর্থমন্ত্রী নাওটো ক্যান শুক্রবার জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন৷ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাপানে অর্থনৈতিক সংস্কার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের৷

https://p.dw.com/p/NhqY
জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নাওটো ক্যানছবি: AP

ইউকিও হোতায়ামা’র স্থলে ক্যানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা হয় শুক্রবার৷ বুধবার তাঁর পূর্বসূরি হোতায়ামা ওকিনাওয়ায় একটি মার্কিন বিমান ঘাঁটি নিয়ে সৃষ্ট মতপার্থক্য এবং অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারীর কারণে পদত্যাগ করেন৷

৬৩ বছর বয়সি সাবেক নাগরিক অধিকার আন্দোলনকারী ক্যান ছিলেন হোতায়ামা’র মধ্য-বাম সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী৷ গত বছর এই সরকার নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ক্ষমতায় এসেছিল৷ ফলে অবসান ঘটেছিল গত পঞ্চাশ বছরে প্রায় বিরামহীন রক্ষণশীল শাসনের৷ উল্লেখ্য, ক্যান হলেন গত চার বছরে জাপানের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী৷

শুক্রবার সকালে ক্যান-এর দল ডেমোক্রাটিক পার্টি অব জাপান বা ডিপিজে তাঁকে নতুন নেতা হিসেবে নির্বাচিত করার পর তিনি বলেন, ‘‘আমার প্রধান কাজ হচ্ছে দেশের অর্থনীতির সংস্কার এবং আস্থার একটা পরিবেশ তৈরি করা৷’’ এছাড়া, ক্যান প্রতিশ্রুতি দেন, এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতিকে ঢেলে সাজানোর৷ তিনি বলেন, গত কুড়ি বছর ধরে জাপানের অর্থনীতি নিশ্চল৷ প্রবৃদ্ধি বন্ধ৷ তরুণ সম্প্রদায়ের চাকরি নেই৷ নীতিগত ভুল-ভ্রান্তির কারণেই এমনটি ঘটেছে৷ প্রসঙ্গত, ১৯৯০-এর দশক থেকেই দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভাল নয়৷

পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কে ক্যান উল্লেখ করেন উত্তর কোরিয়ার হুমকির কথা৷ সম্প্রতি দেশটিকে দোষারোপ করা হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি যুদ্ধ জাহাজ ডুবিয়ে দেয়ার৷ তিনি বলেন, জাপানের রয়েছে অনেক সমস্যা৷ বলেন, মার্কিন-জাপান সম্পর্ক হবে তাঁর সরকারের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান স্তম্ভ৷

নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন ২৫ শতাংশ হ্রাসের জাপানের লক্ষ্যসীমা বজায় রাখবেন৷ তিনি বলেন, তিনি প্রচেষ্টা করবেন ইইউ’র আদলে এশিয়ায় একটি গোষ্ঠী গড়ে তোলার৷

প্রতিবেদন : আবদুস সাত্তার

সম্পাদনা : দেবারতি গুহ