1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে অভিবাসী

২২ মে ২০১২

জার্মানিতে জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে৷ তাই অভিবাসীদের ভিড় বাড়ছে জার্মানিতে৷ গত ১৫ বছরের মধ্যে যা দেখা যায়নি৷ ইউরোপের সংকটে জর্জরিত দেশগুলো থেকে মানুষ আসছে সবচেয়ে বেশি৷

https://p.dw.com/p/14zXH
ছবি: AP

পিগি মুরমুরি অবসর গ্রহণ করবেন আর মাত্র এক বছর পর৷ এবং শেষ বছরেই তার কাজের চাপ বেড়েছে প্রায় চার গুণ৷ প্রতি সপ্তাহে প্রায় ২০ জনকে বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করেন তিনি৷ বার্লিনের নয়ক্যোলন এলাকায় একজন সমাজ কর্মী হিসেবে কাজ করেন তিনি৷

সবচেয়ে বেশি মানুষ আসছে গ্রিস থেকে৷ একেক জন পুরো পরিবার নিয়ে চলে এসেছেন জার্মানিতে৷ সবাই কাজের সন্ধানে এসেছে৷ এক বছর আগেও সপ্তাহে মাত্র চারজন আসতো৷ এখন তাদের ভিড় সামলানো যাচ্ছে না৷ পিগি মুরমুরি জানান, প্রতি সপ্তাহেই মানুষের সংখ্যা বাড়ছে৷ পিগি মুরমুরি নিজেও গ্রিক৷ ১৯৬৭ সালে তিনি তার বাবা-মায়ের সঙ্গে চলে এসেছিলেন জার্মানিতে৷

জার্মানির সরকারি জরিপ অনুযায়ী অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এই দেশগুলো থেকে মানুষ ভিড় করছে জার্মানিতে৷ গত বছর শুধু গ্রিস থেকে প্রায় ২৪ হাজার মানুষ এসেছেন জার্মানিতে৷ ২০১০ সালের তুলনায় ১০ হাজার মানুষ এসেছেন ২০১১ সালে৷ সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ৷ স্পেন থেকেও মানুষ আসছেন৷ ২০১০ সালের তুলনায় ২০১১ সালে তা ছিল ৫০ শতাংশ বেশি৷ জার্মানিতে আগত অভিবাসীদের সংখ্যা নয় লক্ষ আটান্ন হাজার৷ ২০১০ সালের তুলনায় তা দশ শতাংশ বেশি৷ এখানে মনে রাখতে হবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির নাগরিকেরা অন্য যে কোনো দেশে বসবাস করতে পারেন, কাজ করতে পারেন – এমনকি পৌর নির্বাচনে ভোটও দিতে পারেন৷ এটি তাদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে৷

অভিবাসীদের সংখ্যা বাড়ার আরেকটি কারণ হল ১৯৯৬ সাল থেকে জার্মানিতে জনসংখ্যা কমে চলেছে৷ একারণেই পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, রুমেনিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ আসছেন জার্মানিতে৷

পিগি মুরমুরি জানান, গ্রিস থেকে যারা আসছেন, যারা পরামর্শ চাইছেন – তারা সবাই উচ্চশিক্ষিত৷ এদের অনেকেই ইঞ্জিনিয়ার, চিকিৎসক অথবা ডক্টরেট ডিগ্রিধারী, কাজ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ এদের সবার কাজ চলে গেছে৷ গ্রিসে এদের জন্য আর কোন কাজ নেই৷ এদের অনেকেই বয়সে তরুণ৷ জার্মানির অর্থনীতির জন্য তা একটি সুখবর হতে পারে৷ কারণ সরকারি জরিপ অনুযায়ী প্রায় কুড়ি লক্ষ ‘দক্ষ কর্মী'র এই মুহূর্তে জার্মানির প্রয়োজন৷ পয়সা খরচ করে তাদের আনতে হচ্ছে না৷ তারা নিজেরাই চলে আসছেন৷ এসব গ্রিকদের এমন ধারণা দেয়া প্রয়োজন যেন, জার্মানিতে তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে৷ জার্মানিতে তারা স্বাগত – এই ধারণা যেন তারা পায়৷

তবে চাইলেই এসব গ্রিকরা জার্মানিতে কাজ পাচ্ছেন না৷ সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ভাষা৷ এরা কেউই জার্মান ভাষা জানেন না৷ সবাই জার্মান ভাষা শিখছেন, জার্মান সমাজে নিজেদের একাত্ম করতে বিভিন্ন ধরণের কোর্স করছেন৷ এরা সবাই জার্মানির কর্মসংস্থান দপ্তরে কাজের জন্য গিয়েছেন৷ তাদের কারো আবেদন পত্রই গ্রহণ করা হয়নি৷ কারণ তারা কেউই জার্মানিতে কাজ করেননি, জার্মান ভাষা জানেননা এবং জার্মানিতে পড়াশোনা করেননি৷ তাই বিভিন্ন ধরণের কোর্স করতে তাদের উৎসাহিত করছেন পিগি মুরমুরি৷

প্রতিবেদন: নিকোলাস মার্টিন / মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য