1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে ইরাকি শরণার্থী

২০ মার্চ ২০০৯

বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই জার্মানির বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করছেন ইরাকি শরণার্থীরা৷ এঁরাই হলেন এ দেশে বসবাসরত সবচেয়ে বড় শরণার্থী গোষ্ঠী৷ চলতি বছর জার্মানি আরো আড়াই হাজার ইরাকি শরণার্থী গ্রহণ করবে৷

https://p.dw.com/p/HG5n
ছবি: AP

বৃহস্পতিবার এদের প্রথম দলটি জার্মানিতে এসে পৌঁছেছে৷

গত বেশ কয়েক বছর ধরে জার্মানিতে বসবাস করলেও ইরাকি শরণার্থীদের অনেকেরই এ দেশে থাকার স্থায়ী অনুমতি পত্র নেই৷ এঁদেরই একজন হলেন আল-জুহাইরি৷ তিনি বলেন, সত্যি বলতে কি, আমার কোন পরিবার নেই৷ ইরাকে,বাগদাদে আমার কেউ নেই৷ বর্তমানে আমি ইরাকে ফিরে যেতে পারবো না৷ কারণ দেশটিতে এখনো রক্তপাত ঘটছে৷

Deutschland Irak Flüchtlinge Ankunft in Hannover
চলতি বছর জার্মানি আরো আড়াই হাজার ইরাকি শরণার্থী গ্রহণ করবে৷ছবি: AP

আল-জুহাইরি এর ইরাকে প্রত্যাবর্তনের কথা ভাবা যায় না৷ আনুমানিক যে বায়াত্তর হাজার ইরাকি শরণার্থী বর্তমানে জার্মানিতে বসবাস করছেন তাঁদেরই একজন হলেন এই জুহাইরি৷ ৩২ বছর বয়সী এই ইরাকি দুই হাজার এক সালে তাঁর দেশ থেকে পালিয়ে জার্মানিতে চলে আসেন এবং আবেদন করেন শরণার্থী হিসেবে এ দেশে আশ্রয় লাভের জন্য৷ কিন্তু তাঁর আবেদন নাকচ হয়ে যায়৷ এর পর থেকে আল-জুহাইরি এদেশে বসবাস করছেন থাকার অনুমতি পত্র ছাড়াই৷ বৈধ না হলেও তাঁদেরকে জার্মানিতে থাকতে দেয়া হচ্ছে ৷

ইরাকি শরণার্থীদের বর্তমানে তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানো যেতে পারে না ৷ কারণ দেশটিতে এখনো গৃহ-যুদ্ধ লেগেই রয়েছে৷ লোয়ার স্যাক্সনী অঙ্গ রাজ্যের শরণার্থী পরিষদের কায় বেবার এর মতে, নিকট ভবিষ্যতেও এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে না৷ তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে আমরা যথার্থ বলে মনে করছি, যেসব ইরাকি বর্তমানে জার্মানিতে বর্তমানে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বসবাস করছেন তাঁদেরকে থাকার অনুমতি পত্র দেয়ার৷ অদূর ভবিষ্যতে আইনগত ও বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এঁদের ইরাকে প্রত্যাবর্তন সম্ভব নয়৷

তবে লোয়ার স্যাক্সনী রাজ্যের শরণার্থী পরিষদ নীতিগতভাবে স্বাগত জানিয়েছে চলতি বছর আড়াই হাজার ইরাকি শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার জার্মান সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য৷ অবশ্য পরিষদ মনে করে, এই সংখ্যা যথেষ্ট নয়৷ কারণ সিরিয়া ও জর্ডানের শরণার্থী শিবিরে এখনো বসবাস করছেন পঁচিশ লাখ ইরাকি শরণার্থী৷

লেখক: আবদুস সাত্তার, সম্পাদক: আব্দুল্লাহ আল-ফারুক