1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা সামলাতে সেনা কর্মকর্তার নেতৃত্বে কমিটি?

২৯ নভেম্বর ২০২১

জার্মানিতে নতুন সরকার কার্যভার গ্রহণের আগেই সম্ভবত এক সেনা কর্মকর্তার নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ কমিটি করোনা সংকট মোকাবিলায় কাজ শুরু করছে৷ ভবিষ্যৎ চ্যান্সেলর শলৎস কোনো পদক্ষেপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না৷

https://p.dw.com/p/43biP
Coronavirus - Club-Pilotprojekt in Berlin
ছবি: Sean Gallup/Getty Images

করোনা সংকটের চাপে জার্মানিতে নতুন সরকার গঠনের আগেই ভবিষ্যৎ শাসকদের সক্রিয় হয়ে উঠতে হচ্ছে৷ পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী সপ্তাহে এসপিডি নেতা ওলাফ শলৎস চ্যান্সেলর হিসেবে শপথ নেবেন৷ তার আগেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সংকট সামলাতে চ্যান্সেলর দফতরের অধীনে ফেডারেল ও রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে সমন্বয় করতে এক উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করছেন তিনি৷ জার্মান সেনাবাহিনীর এক জেনারেল সেই কমিটির সভাপতিত্ব করবেন বলে শোনা যাচ্ছে৷ মেজর জেনারেল কার্স্টেন ব্রয়ার বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরে সেনাবাহিনীর অভিযানের দায়িত্ব পালন করছেন৷

সংকট সামলাতে কমিটি গঠনের বিষয়টি সম্পর্কে ঐকমত্য হলেও অন্যান্য পদক্ষেপের প্রশ্নে অস্পষ্টতা রয়ে গেছে৷ জার্মানিতে বেড়ে চলা করোনা সংক্রমণ ও করোনার ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের আবির্ভাবের প্রেক্ষাপটে চ্যান্সেলর ও মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক ৯ই ডিসেম্বরের বদলে আরও এগিয়ে আনার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয় নি৷ তাছাড়া ভবিষ্যৎ সরকারি জোট সংক্রমণ সুরক্ষা আইন সংশোধন করে করোনা মোকাবিলার লক্ষ্যে যে সব পদক্ষেপ নিচ্ছে, শেষ পর্যন্ত সেগুলি যথেষ্ট হবে কিনা, সে বিষয়েও সংশয় রয়েছে৷ তবে জার্মানির স্বাস্থ্য পরিষেবা কাঠামো পুরোপুরি ভেঙে পড়ার আগে যে ভাবে হোক মানুষের মধ্যে যোগাযোগ কমানোর প্রয়োজন স্বীকার করছে নতুন সরকারের তিন শরিক দল৷

ওলাফ শলৎস বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো পদক্ষেপই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ তার মতে, দেশের সামনে আবার ‘নাটকীয় নতুন চ্যালেঞ্জ' এসে পড়েছে৷ শলৎস বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বিদায়ী ও আগামী সরকার নিবিড় সহযোগিতা করছে৷ তিনি সব টিকাপ্রাপ্ত প্রাপ্তবয়স্কদের সময় হলেই বুস্টার ডোজ নেবার আহ্বান জানান৷ উল্লেখ্য, বর্তমানে জার্মানির জনসংখ্যার মাত্র ১০ শতাংশ করোনা টিকার বুস্টার ডোজ পেয়েছেন৷

জার্মানিতে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণের গড় সাপ্তাহিক হার সোমবার ৪৫২ পেরিয়ে গেছে৷ হাসপাতালের উপর চাপ কমাতে বিমানবাহিনী গুরুতর অসুস্থ রোগীদের দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে৷ বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ ও পূর্বদিকে অনেক হাসপাতালের ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট ভরে যাওয়ায় এমন চরম পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে৷ তবে গোটা দেশে পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে ইউরোপের অন্যান্য দেশেও রোগী স্থানান্তর করতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন৷

জার্মানির এমন নাজুক পরিস্থিতির উপর করোনা ভাইরাসের নতুন ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট কী প্রভাব ফেলবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ দক্ষিণ আফ্রিকার মতো জার্মানিতেও ডেল্টা ভেরিয়েন্ট কোণঠাসা করে ওমিক্রন আধিপত্য বিস্তার করলে কী পরিণতি হবে, সেটাও এখনো স্পষ্ট নয়৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষ আপাতত ওমিক্রন সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য