1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে কারা আগে টিকা পাবেন

১৯ ডিসেম্বর ২০২০

২৭ ডিসেম্বর থেকে জার্মানিতে করোনার ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হবে৷ শুরুতে এর আওতায় আসবেন আশি বছরের বেশি বয়সি আর স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ যদিও ঘোষিত অগ্রাধিকার তালিকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3mxOj
Coronavirus - Impfzentrum Bamberg - Aufbau und Testlauf
ছবি: Nicolas Armer/dpa/picture alliance

শুক্রবার জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান সরকারের ভ্যাকসিন বিতরণ কৌশল প্রকাশ করেছেন৷ এর পরপরই বিরোধী দল, জার্মান এথিকস কাউন্সিল, সংসদ, চিকিৎসক ও পুলিশ সংগঠনগুলোর তরফ থেকে সমালোচনা ও উদ্বেগ জানানো হয়েছে৷

এরই মধ্যে বায়োনটেক-ফাইজারের টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ৷ কিছুদিনের মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নও এর অনুমোদন দেয়ার কথা৷ পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জার্মানিতে কেয়ার হোমগুলোতে ২৭ ডিসেম্বর থেকে টিকা দেয়া শুরুর কথা৷

তবে স্পান শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে সবাইকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘‘এখনও দীর্ঘ সময় আমাদেরকে এই ভাইরাসের সঙ্গে বসবাস করতে হবে৷''

ভ্যাকসিন দেয়ার ক্ষেত্রে সরকার অগ্রাধিকারের তিনটি পর্যায় নির্ধারণ করেছে৷ প্রতিটি পর্যায়ে ক্রমান্বরে বিভিন্ন জনগোষ্ঠী ভ্যাকসিন পাবেন৷ 

BG Coronavirus Impfung rund um die Welt | Deutschland Frankfurt
ফ্রাংকফুর্টে প্রস্তুতকৃত একটি ভ্যাকসিন কেন্দ্র৷ছবি: Ralph Orlowski/REUTERS

প্রথম অগ্রাধিকার:

১. আশি বছরোর্ধ্ব মানুষ৷

২. বয়স্ব মানুষ অথবা মানসিকভাবে অসুস্থদের নিয়মিত যারা দেখাশোনা করেন বা সেবা দেন৷

৩. কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা স্বাস্থ্য কর্মী, বিশেষ করে যারা আইসিইউ, ইমারজেন্সি বা জরুরি কক্ষ ও সামনের সারিতে কাজ করেন৷

৪. কোভিড-১৯ এর মৃত্যুঝুঁকিতে থাকা রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া স্বাস্থ্যকর্মীরা৷

দ্বিতীয় অগ্রাধিকার:

১. সত্তর বছরোর্ধ্ব মানুষ৷

২. কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে মৃত্যৃঝুঁকি বেশি এমন শারীরিক অবস্থায় যারা আছেন৷

৩. চলাফেরা করতে অক্ষম এবং গর্ভবতীদের সরাসরি সংস্পর্শে যারা বাস করেন বা সরাসরি তাদের সঙ্গে যারা কাজ করেন৷

৪. চিকিৎসক ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা যাদের কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি৷

৫. সরকারি হাসপাতালগুলো রক্ষণাবেক্ষণকারী জরুরি কর্মী৷

তৃতীয় অগ্রাধিকার:

১. ষাট বছরোর্ধ্ব মানুষ

২. কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হতে পারেন, এমন শারীরিক অবস্থায় রয়েছেন যারা৷ যেমন, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, কিডনি অথবা লিভার, এইচআইভি, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুক্তভোগীরা৷

৩. প্রথম দুই ধাপে যেসব স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা পাননি৷

৪. রাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কর্মী, পুলিশ, অগ্নি নির্বাপণে নিয়োজিতরা, ত্রাণ কর্মী, এবং সংসদ সদস্যরা৷

৫. বিদ্যুৎ, পানি, খাবার সরবরাহ, টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক, যোগাযোগ ব্যবস্থা, ঔষধ নেটওয়ার্কসহ জরুরি অবকাঠামোতে নিয়োজিত কর্মীরা৷

৬. শিক্ষক ও ডেকেয়ার কর্মীরা৷

৭. অনিশ্চিত পার্ট-টাইম চাকুরিতে নিয়োজিতরা, মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ, গুদামে কর্মরত কর্মীরা৷

৮. রিটেইল কর্মী

সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী জানুয়ারির শেষ নাগাদ  জার্মানি ৩০ লাখ থেকে ৪০ লাখ টিকা হাতে পাবে৷ আর মার্চের মধ্যে তা বেড়ে হবে এক কোটি ১০ থেকে ৩০ লাখ৷ সেই হিসাবে শুধু প্রথম অগ্রাধিকারে থাকা সব জনগোষ্ঠীর টিকা পেতে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে৷ এই প্রক্রিয়ায় তিন সপ্তাহর ব্যবধানে দুইবার টিকা ইনজেকশনের প্রয়োজন হবে৷ সব মিলিয়ে জার্মানির গোটা জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আসতে কমপক্ষে এক বছর অপেক্ষায় থাকতে হবে৷

তবে অগ্রাধিকারের ঘোষিত তালিকায় অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন৷ জার্মান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এর প্রেসিডেন্ট ক্লাউস রাইনহার্টড বলেছেন সাধারণ স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে তালিকার এত নীচে রাখাটা ঝুঁকিপূর্ণ৷ একই ধরনের অভিযোগ করেছে পুলিশ ইউনিয়নও৷ পুলিশ অফিসাররা পথেঘাটে অনেক মানুষের সংস্পর্শে আসেন, সেই ভিত্তিতে তাদেরকে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর কাতারে বিবেচনা করা উচিত বলে মত দিয়েছেন তারা৷

অন্যদিকে জার্মান সংসদের প্রেসিডেন্ট ভল্ফগাং শয়েবলে সংসদ সদস্যদের ক্ষেত্রেও একই দাবি জানিয়েছেন৷ রাষ্ট্র পরিচালনার স্বার্থে অগ্রাধিকার তালিকায় সাংসদদের আরো উপরে থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি৷

ভ্যাকসিন প্রদান সংক্রান্ত আইন গঠনের বিষয়ে সংসদে বিতর্কের জোর দাবি জানিয়েছে বিরোধী দল ফ্রি ডেমোক্রেটিক পার্টি-এফডিপি৷

বেন নাইট/এফএস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান