1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে ধর্ম সম্মেলন

১৯ জুন ২০১৯

১৭টি ধর্মের ৯০০ প্রতিনিধি আগস্টে জড়ো হচ্ছেন জার্মানির লিন্ডাউ শহরে৷ সম্মেলনের লক্ষ্য, আন্তঃধর্ম সংলাপ ও শান্তি স্থাপনে একসঙ্গে কাজ করার উপায় নিয়ে আলোচনা করা৷

https://p.dw.com/p/3Kiew
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ওসনাব্র্যুকে অনুষ্ঠিত হয় ধর্ম শান্তি উৎসবছবি: DW/C.Strack

ছবির ছোট্ট সর্পিল এই মডেলটি মাত্র ২০ সেন্টিমিটার উঁচু৷ আসল ভাস্কর্যটি হবে সাড়ে সাত মিটার উঁচু৷ এর মাধ্যমেই আন্তঃধর্ম সম্প্রীতির বার্তা দিতে চান সম্মেলনের আয়োজকরা৷ আর মাত্র দুই মাস পর এটি স্থাপিত হবে লিনডাউ শহরের পাশে কনস্টাৎস হ্রদের এক পার্কে৷ মূল ভাস্কর্যটি তৈরি করা হয়েছে কাঠ দিয়ে৷ মজার ব্যাপার হলো, এই কাঠের বিভিন্ন অংশ এসেছে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে৷

আগস্টের ২০ থেকে ২৩ তারিখ দক্ষিণ জার্মানির শহর লিন্ডাউয়ে অনুষ্ঠিত হবে এ বছরের সবচেয়ে বড় ধর্ম সম্মেলন৷ বিবিন্ন ধর্মের শীর্ষ প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন এতে৷ ‘রিলিজিয়নস ফর পিস'-এর দশম বিশ্ব সম্মেলন এটি৷ আয়োজকরা আশা করছেন, ১০০টি দেশ থেকে ১৭টি ধর্মের অন্তত ৯০০ প্রতিনিধি সম্মেলনে যোগ দেবেন৷

১৯৬১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে প্রতিষ্ঠা হয় সংগঠনটির৷ প্রতি পাঁচ-ছয় বছর পর পর এ ধরনের সম্মেলনের আয়োজন করে এই বেসরকারি সংস্থা৷ তবে এবারই প্রথমবারের মতো এই বিশ্ব ধর্ম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে জার্মানিতে৷

Symbol des Dialogs der Religione
লিন্ডাউয়ের পার্কে স্থাপনের জন্য ভাস্কর্যের মডেলছবি: DW/C. Strack

ইরান ও ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অনেক রাষ্ট্রের কাছেই ইসরায়েল ও ইরানের অবস্থান বিতর্কিত হলেও এই প্ল্যাটফরমে এই দুই দেশকেও অন্যদের সঙ্গে এক জায়গায় নিয়ে আসতে সক্ষম হচ্ছেন আয়োজকরা৷ এরই মধ্যে ইরান ও ইসরায়েল থেকে শিয়া মতাবলম্বী এবং ইহুদি ধর্মের প্রতিনিধিরাও সম্মেলনে অংশ নেয়ার ব্যাপের সম্মতি জানিয়েছেন৷

লিন্ডাই শহরটি জার্মানির মূল রাজনৈতিক কেন্দ্র ও রাজধানী বার্লিন থেকে অনেকটাই দূরে অবস্থিত৷ এমনকি বড় কোনো শহরও নেই আশেপাশে৷ আয়োজকরা বলছেন, এটিই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য৷ একই সঙ্গে সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়া সীমান্তে অবস্থিত হওয়ায় আয়োজনটিকে আন্তর্জাতিক রুপও দেয়া সম্ভব হয়েছে৷

প্রথমবারের মতো নারী প্রতিনিধি

এবারই প্রথম বিভিন্ন ধর্মের নারী প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন সম্মেলনে৷ আয়োজকরা মনে করেন সব ধর্মই পুরুষ নিয়ন্ত্রিত৷ ফলে নারীরা স্বাধীনভাবে তাদের কথা বলতে পারেন না৷ লিন্ডাউ সম্মেলনে যেসব নিয়ে আলোচনার ইস্যুগুলোর মধ্য়ে অন্যতম- ‘শান্তি প্রতিষ্ঠায় নারী'৷  মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা থেকে আসা নারী প্রতিনিধিরা পাবেন বিশেষ গুরুত্ব৷

খ্রিস্টোফ শ্ট্রাক/এডিকে