1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে নিশ্চিন্তে থাকবেন লাদেনের দেহরক্ষী?

২৫ এপ্রিল ২০১৮

প্রশ্ন তোলা হয়েছিল – বিন লাদেনের দেহরক্ষীর মতো একজন বিপজ্জনক লোককে কেন তার দেশে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে না? জবাবে বলা হয়েছে, দেশে ফিরলে নির্যাতনের শিকার হবে না – এই নিশ্চয়তা পেলেই কেবল লাদেনের দেহরক্ষীকে দেশে ফেরানো সম্ভব৷

https://p.dw.com/p/2wbTO
ছবি: Matthias Graben/WAZ

তথাকথিত ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনেরএই দেহরক্ষীর জন্ম টিউনিশিয়ায়৷ সেখান থেকে তিনি জার্মানিতে এসেছিলেন ১৯৯৭ সালে৷ তখন তার বয়স ২১ বছর৷ জানা যায়, জার্মানিতে আসার আট বছর পর, অর্থাৎ ২০০৫ সালে বোখুম শহরে তিনি ছাত্রজীবন শুরু করেন৷ আগের আট বছর রহস্যে ঢাকা৷ শুধু জানা গেছে, মাঝে বড় একটা সময় তিনি জার্মানির বাইরে ছিলেন৷ আরো জানা গেছে, ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের আল-কায়েদা ক্যাম্পে ছিলেন তিনি, ছিলেন বিন লাদেনের দেহরক্ষীর দায়িত্বে৷ অভিযুক্ত ব্যক্তি অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ তার দাবি, তখন তিনি করাচিতে লেখাপড়া করেছেন৷

সম্প্রতি জার্মানির ডানপন্থি দল এএফডির দুই সদস্য জানতে চেয়েছিলেন আল-কায়েদার সাবেক নেতা লাদেনের দেহরক্ষীকেও কেন আশ্রয় দিচ্ছে জার্মানি? কেন তাকে টিউনিশিয়ায় ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে না? এক বিবৃতির মাধ্যমে এর জবাব দিতে গিয়ে নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফিরে গেলে নির্যাতনের শিকার হতে পারেন বলেই লাদেনের দেহরক্ষীকে তার দেশে ফেরানো যাচ্ছে না৷

জার্মানির গোপনীয়তা রক্ষার আইন মেনে বিবৃতিতে লাদেনের দেহরক্ষীর নাম সংক্ষেপে সামি এ. হিসেবে উল্লেখ করা হয়৷ বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দেশে ফিরলে সামি এ.-র ওপর কোনো নির্যাতন চলবে না – টিউনিশিয়া সরকার এমন আশ্বাস দিলেই কেবল তাকে দেশে ফেরানো সম্ভব৷

৪২ বছর বয়সি সামি এ. এখন স্ত্রী, সন্তান নিয়েই জার্মানিতে বসবাস করছেন৷ কল্যাণ ভাতা হিসেবে সরকারের কাছ থেকে প্রতি মাসে ১,১৬৮ ইউরো পান তিনি৷ তবে সব রকমের সুযোগ-সুবিধা দিলেও সামি এ.-কে ‘জনগণের জন্য বিপজ্জনক' হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ৷ প্রতিদিনই স্থানীয় থানায় হাজিরা দিতে হয় তাকে৷

এসিবি/ডিজি (বিল্ড, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান