জার্মানিতে পুলিশ কেন, কখন গুলি করে
জার্মানিতে পুলিশে গুলি করার প্রবণতা বাড়ছে৷ তাতে আহত এবং নিহত হওয়ার ঘটনাও বাড়ছে৷কেন বাড়ছে? পুলিশ কোন কোন পরিস্থিতিতে গুলি করতে পারে? বিস্তারিত জানুন ছবিঘরে...
পুলিশের গুলি করার প্রবণতা বাড়ছে
জার্মানির বিল্ড পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সারা দেশে পুলিশের মাঝে গুলি করার প্রবণতা আগের তুলনায় বেড়েছে৷ ২০১৮ সালে সারা দেশে পুলিশ গুলি চালিয়েছিল মোট ৫৬টি ঘটনায়, ২০১৯ সালে এমন ঘটনা ৬৭টিতে গিয়ে ঠেকে৷ ওই ৬৭টি ঘটনায় ১৪ জন নিহত এবং ২৯ জন আহত হয়৷ পাঁচ বছর আগের তুলনায় ২০১৯ সালে পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে৷
সম্প্রতি ব্রেমেনে যা ঘটেছে
গত ৩ জুলাই জার্মানির ব্রেমেন শহরে পুলিশের গুলিতে এক ব্যক্তি আহত হন৷ হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়৷ বলা হচ্ছে, ছুরি হাতে ওই ব্যক্তি এক পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলা চালালে বাধ্য হয়েই তাকে গুলি করা হয়৷ ঘটনার তদন্ত চলছে৷
গেলজেনকির্শেনের ঘটনা
এর আগে গত জানুয়ারি মাসে জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গেলজেনকির্শনেও পুলিশের গুলিতে এক ব্যক্তি নিহত হয়৷ পুলিশের ভাষ্য, ৩৭ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির সম্ভবত মানসিক সমস্যা ছিল, ছুরি হাতে তিনিও পুলিশের ওপর হামলা চালাতে উদ্যত হলে তাকে চারবার গুলি করা হয়৷
পুলিশের অস্ত্র
স্বাভাবিক অবস্থায় দায়িত্ব পালনের সময় সব পুলিশ কর্মকর্তার কাছে পিস্তল থাকে৷ তবে কখনো কখনো রিভলভার এবং রাইফেলও সঙ্গে নিতে পারেন তারা৷ এছাড়া বিশেষ পরিস্থিতিতে লাঠি এবং পিপার স্প্রে, এমনকি কোনো কোনো রাজ্যে সঙ্গে স্টানগানও রাখতে পারেন৷ তবে সব পরিস্থিতিতে যখন-তখন গুলি করা আইনসম্মত নয়৷
কখন গুলি করতে পারে পুলিশ?
সন্দেহভাজনকে বাগে আনার বা শান্ত করার বাকি সব চেষ্ট ব্যর্থ হলেই কেবল গুলি করতে পারে পুলিশ৷ ভিড়ের মধ্যে গুলি করার আগে সাধারণ মানুষকে সরে যাওয়ার সুযোগ দিতে হয়৷ কোনো ব্যক্তির গায়ে সরাসরি গুলি চালানোর আগে তাকে সতর্ক করতে অন্য কোনো বস্তুর ওপর গুলি চালানোর নিয়মও আছে কোনো কোনো রাজ্যে৷
বিশেষ প্রশিক্ষণ
আইন অনুযায়ী কখন গুলি করা যাবে তা বোঝাতে পুলিশকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়৷ কোনো পুলিশ গুলি চালালে ঘটনার পর তার মানসিক অবস্থা পরীক্ষা করে দেখা হয়৷ অনেক সময় গুলি চালানো পুলিশ কর্মকর্তা অপরাধবোধে ভুগতে শুরু করে৷ গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি নিহত না হলেও এমন হয়ে থাকে৷ এমন ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাকে মনরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়৷