1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে পোষা প্রাণী কবর দেয়ার জমজমাট ব্যবসা

২০ নভেম্বর ২০১০

বাড়ির পোষা কুকুর, বিড়াল কিংবা ছোট্ট টিয়া পাখিটি, মারা যাওয়ার পর শেষ আশ্রয় তার কোথায় হবে, তা মালিকদের জন্য চিন্তার বিষয়৷ মালিকদের এই দুর্ভাবনা থেকে মুক্ত করতে এগিয়ে এসেছে জার্মানির কিছু প্রতিষ্ঠান৷

https://p.dw.com/p/QE4b
জার্মানিতে অনেক পরিবার কুকুর পুষে থাকেছবি: AP

এখন এমন অনেক মালিক আছেন যারা কফিন সাজিয়ে প্রাণপ্রিয় পোষা বিড়াল বা কুকুরকে চিরবিদায় জানাতেও পিছপা হননা৷ আর তাঁদের কাছে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এইসব প্রতিষ্ঠান৷ এরকম প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উলরিকে মাউটে৷ তিনি বললেন, ‘‘মাঝে মাঝে এদের মালিককে দেখলে মনে হয়, যেন তাঁরা তাঁদের সন্তান কিংবা কাছের কোনো আত্মীয়কেই সমাহিত করছেন৷''

অনেক সময় মৃত পশুর দেহ চলে যায় বিশাল এক গ্রাইন্ডারে অন্যান্য পশু বর্জ্যের সঙ্গে৷ গ্রাইন্ডারে সব কিছু পিষে ফেলে তৈরি হয় পশুপাখির খাবারের মত কিছু জিনিস৷ বার্লিনের পশুপাখিদের সমাধিস্থানে কাজ করেন কারিন মিটশকে৷ তিনি বলেন, ‘‘এতদিনের পোষা ছোট্ট প্রিয় প্রাণীটিকে ময়লা আবর্জনার মতো কেবল ফেলে আসা এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা৷''

Gen Katze
পোষা প্রাণী হিসেবে বিড়াল অনেকেরই প্রিয়ছবি: AP

রাজধানী বার্লিনের শ্টেগলিৎস এলাকায় তিনি যে সমাধিস্থানে কাজ করেন সেখানে প্রায় ৮শ' বিড়াল, কুকুর এবং পাখিকে কবর দেয়ার মতো ব্যবস্থা রয়েছে৷ মিটশকে বলেন, ‘‘অনেক মালিক আছেন যারা মৃত প্রাণীর কবরে ভালোবাসার চিহ্ন হিসেবে ঐ প্রাণীটির প্রিয় খাবার, ছবি, খেলনা এমনকি তাকে উদ্দেশ্য করে চিঠিও রেখে যান৷''

কফিন কেমন হবে, কবর দিতে কতখানি জায়গা লাগবে এসবের উপর নির্ভর করে প্রাণীটিকে সমাধিস্থ করতে কত টাকা দিতে হবে৷ এই কবরস্থানের স্বত্বাধিকারী ক্লেমেনস ভেনার বললেন, সাধারণত চারশ' থেকে ৫শ' ইউরো খরচ করে পশুপাখিদের কবর দেওয়া যায়৷ তবে তাঁর তত্ত্বাবধানে সবচেয়ে ব্যয়বহুল সমাধি দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে৷ খরচ পড়বে সতেরোশ' ইউরো বা প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ করে৷

ভেনার দু'বছর ধরে এই কবরস্থান পরিচালনা করে আসছেন এবং এসময়ের মধ্যে প্রায় সাড়ে তিনশ' পশুপাখিকে এখানে কবর দেওয়া হয়েছে৷ তবে গরু, ছাগল বা ঘোড়া এখানে কবর দেয়ার অনুমতি নেই৷ পশুপাখিদের কবর দেওয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর সংঘ বলছে, পশুপাখিদের কবর দেয়ার ব্যাপারটা দশ বছর আগেও বেশ অজানা ছিলো৷ কিন্তু এখন এই ব্যবসা বেশ রমরমা৷ বর্তমানে জার্মানিতে এইধরণের একশ বিশটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক