1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যের সমালোচনা

৬ জুন ২০১৮

জার্মানিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন জার্মানির এক ঊর্ধ্বতন সাংসদ৷ তিনি ঐ রাষ্ট্রদূতকে তাঁর ‘দায়িত্ব পুনর্বিবেচনা' করার পরামর্শ দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/2z0P6
USA Richard Grenell
ছবি: Imago/ZUMA Press

মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড গ্রেনেল ডানপন্থি সংবাদমাধ্যম ব্রাইটবার্টকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ইউরোপে মূল স্রোতের বাইরে যারা রাজনীতি করতে চাইছেন তাঁদের ‘ক্ষমতাবান' করা ও ‘জাগিয়ে' তোলা তাঁর লক্ষ্য৷

গ্রেনেলের এই বক্তব্য ‘খুবই অনুপযোগী' বলে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন জার্মান সাংসদ আন্দ্রেয়াস নিক৷ তিনি চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দলের সদস্য৷ এছাড়া জার্মান সংসদের ‘ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি'তেও আছেন নিক৷

তিনি বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের ভাষা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়কার কথা মনে করিয়ে দেয়৷ ‘‘আপনি যদি বর্তমান প্রেক্ষাপটে ‘জাগিয়ে তোলা' ও ‘ক্ষমতাবান করা' শব্দের অনুবাদ করেন, তাহলে জার্মান ভাষায় খুব কুৎসিত শব্দ বেরিয়ে আসে, যা গত শতকের ২০ ও ৩০-এর দশকের কথা মনে করিয়ে দেয়,'' ডয়চে ভেলেকে বলেন তিনি৷

জার্মানিতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করার যে দায়িত্ব গ্রেনেলের, তা আবারও ভেবে দেখার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি৷ ‘‘তা না হলে তিনি একজন ‘খুবই অকার্যকর' রাষ্ট্রদূত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকবেন,'' বলে মনে করেন নিক৷ গ্রেনেলকে জার্মানির ইতিহাস ভালোভাবে পড়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি৷

এর আগে গত মাসে গ্রেনেলের আরেকটি বক্তব্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল৷মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেয়ার পর গ্রেনেল জার্মান কোম্পানিগুলোকে ‘অবিলম্বে' ইরান থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ার কথা বলেছিলেন৷

গ্রেনেলকে জার্মানি থেকে বহিষ্কার করা উচিত কিনা এই প্রশ্নের জবাবে নিক বলেন, এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের নিতে হবে৷

এদিকে, জার্মানির বামপন্থি দলগুলো গ্রেনেলকে বহিষ্কারের আহ্বান জানিয়েছে৷

ইউরোপীয় সংসদের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জার্মান রাজনীতিক মার্টিন শ্যুলৎসও মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন৷ ‘‘এই ব্যক্তি যা করছেন তা সাধারণত আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে শোনা যায় না,'' জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ'কে বলেন তিনি৷

বুধবার জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গ্রেনেলের যাওয়ার কথা রয়েছে৷ সেই সময় তাঁর কাছে তাঁর সাম্প্রতিক বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাওয়া হতে পারে৷

এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গ্রেনেলের বক্তব্য সমর্থন করেছে৷ মুখপাত্র হিদার নাওয়ার্ট বলেছেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতদের তাঁদের মতামত প্রকাশের অধিকার রয়েছে৷

আলেকজান্ডার পেয়ার্সন/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য